ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বরিশালে আ.লীগ নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন গ্রেপ্তার
ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৯০
আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের এমপি চয়ন ইসলাম গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
অবশেষে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বিএনপির কর্মসূচি
চাল চুরির দায়ে বহিষ্কারের পর এবার সড়কের ইট তুলে নিলেন সেই যুবদল নেতা
বড় অর্থনীতিবিদ হয়েও দেশের অর্থনীতিকে ভালো করতে পারেন নাই: মান্না
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ‘নিখোঁজ’
প্রণব মুখার্জির হস্তক্ষেপে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ!
ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এবং বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি শুধু ভারতেই নয়, বাংলাদেশেও সুপরিচিত ছিলেন। তার লেখা বই ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস’-এ উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা ও প্রভাবের নানা দিক।
২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও প্রণব মুখার্জি
২০০৭ সালে বাংলাদেশে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে, সে সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন প্রণব মুখার্জি। তার বই অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ ভারত সফরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
প্রণব মুখার্জি লিখেছেন, ওই বৈঠকে মইন ইউ আহমেদ তার চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি চাকরিচ্যুত হতে পারেন—এই আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। তবে, প্রণব মুখার্জি তাকে আশ্বস্ত করেন
যে, শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পরেও তাঁর চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে চাপ বইয়ে উল্লেখ রয়েছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা কারাগারে ছিলেন। তাদের মুক্তির জন্য প্রণব মুখার্জি সক্রিয় ভূমিকা নেন। তিনি আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ-এর হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে, ২০০৮ সালের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসে। শেখ হাসিনার প্রতি ব্যক্তিগত সহানুভূতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকলেও, প্রণব মুখার্জি ও শেখ হাসিনার সম্পর্ক ছিল পারিবারিক পর্যায়ের। তিনি তার বইতে
শেখ হাসিনাকে ‘ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকবার্তায় তাঁকে "অভিভাবক ও পারিবারিক বন্ধু" হিসেবে বর্ণনা করেন। মইন ইউ আহমেদের নীরবতা ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস’-এ প্রণব মুখার্জির উল্লিখিত ঘটনাগুলো নিয়ে তখনকার সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি। অবসর গ্রহণের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাস জীবন বেছে নেন এবং সেখানে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রণব মুখার্জির প্রভাব প্রণব মুখার্জির লেখা থেকে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে, ২০০৭-২০০৮ সালের সময়কালে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার সক্রিয় সম্পৃক্ততা ও বিভিন্ন কূটনৈতিক তৎপরতা দেশের রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছে। ভারতের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ
একজন ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ প্রসঙ্গ সবসময়ই ছিল উল্লেখযোগ্য। তাঁর লেখা বই ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস’ থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোর পেছনে তাঁর ভূমিকা কতটা গভীর ছিল।
যে, শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পরেও তাঁর চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে চাপ বইয়ে উল্লেখ রয়েছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা কারাগারে ছিলেন। তাদের মুক্তির জন্য প্রণব মুখার্জি সক্রিয় ভূমিকা নেন। তিনি আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ-এর হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে, ২০০৮ সালের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসে। শেখ হাসিনার প্রতি ব্যক্তিগত সহানুভূতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকলেও, প্রণব মুখার্জি ও শেখ হাসিনার সম্পর্ক ছিল পারিবারিক পর্যায়ের। তিনি তার বইতে
শেখ হাসিনাকে ‘ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকবার্তায় তাঁকে "অভিভাবক ও পারিবারিক বন্ধু" হিসেবে বর্ণনা করেন। মইন ইউ আহমেদের নীরবতা ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস’-এ প্রণব মুখার্জির উল্লিখিত ঘটনাগুলো নিয়ে তখনকার সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি। অবসর গ্রহণের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাস জীবন বেছে নেন এবং সেখানে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রণব মুখার্জির প্রভাব প্রণব মুখার্জির লেখা থেকে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে, ২০০৭-২০০৮ সালের সময়কালে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার সক্রিয় সম্পৃক্ততা ও বিভিন্ন কূটনৈতিক তৎপরতা দেশের রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছে। ভারতের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ
একজন ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ প্রসঙ্গ সবসময়ই ছিল উল্লেখযোগ্য। তাঁর লেখা বই ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস’ থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোর পেছনে তাঁর ভূমিকা কতটা গভীর ছিল।