নিমসার বাজার থেকে শতকোটি টাকার খাজনা লুট – ইউ এস বাংলা নিউজ




নিমসার বাজার থেকে শতকোটি টাকার খাজনা লুট

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:১৩ 84 ভিউ
কুমিল্লার যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন। একসময় বাজারে বাজারে ২০০ টাকা বেতনে খাজনা তুলতেন। তিনিই এখন অঢেল সম্পদের মালিক। শুধু নিমসার বাজার এক যুগ দখলে রেখেই প্রায় শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বাজারের ইজারায় শেয়ার দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় ৭-৮ জনের কাছ থেকেও নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। পরে তা আর ফেরত দেননি। এছাড়া অনেকের জমি দখল করে গড়েছেন পর্যটনকেন্দ্র ও মাছের খামার। নিজ গ্রামে দুই স্ত্রীর জন্য বানিয়েছেন দুটি বিলাসবহুল বাড়ি। মামুন ময়নামতীর আকাবপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি ময়নামতী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা

হয়। জানা যায়, ২০১২ সালে কুমিল্লার নিমসার কাঁচাবাজার ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে মামুন দলবল নিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকেন। বাজারের ইজারামূল্য ১ কোটি টাকা হলেও মামুন হাঁকান ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা। ফলে তিনিই ইজারা পেয়ে যান। কিন্তু পরে মাত্র কয়েক লাখ টাকা দিয়ে বাকি টাকা ঝুলিয়ে রাখেন। প্রশাসনের কাছে বাকি টাকা পরিশোধের জন্য বারবার সময় চান। এভাবে কোটি টাকার বাজার দখলে নেন তিনি। প্রতিদিন মামুন নিমসার কাঁচাবাজার থেকে তার লোকজনের মাধ্যমে খাজনা বাবদ আদায় করতেন ২ লাখ টাকা, যা মাসে দাঁড়ায় ৬০ লাখ টাকা। বছরে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২০১২ সাল থেকে বাজারটি দখলে নিয়ে খাজনা তুলছেন মামুন। ১২

বছরে বাজারটি থেকে হাতিয়ে নেন প্রায় শতকোটি টাকা। এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান, আবদুল্লাহ আল মামুন এখনো ইজারার টাকা পরিশোধ করেননি। ইজারার পুরো টাকা জমা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ২০১৫ সালে মামলা হয়েছে। সেই মামলা এখনো চলমান। জানা যায়, মামুন নিমসার বাজার ইজারা নিয়ে শেয়ার দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় অনেকের কাছ থেকে টাকাও ধার নিয়েছেন। কিন্তু তাদের শেয়ার বা লভ্যাংশ দেওয়া তো দূরের কথা, তাদের আসল টাকাই আর ফেরত দেননি। ময়নামতী ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের অ্যাডভোকেট মাহাবুবের কাছ থেকে নিয়েছেন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আকাবপুর গ্রামের আবদুল হালিমের কাছ থেকে নিয়েছেন সাড়ে ১০ লাখ টাকা। একই এলাকার

পাগড়ি সবুজের কাছ থেকে ৪০ লাখ, কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ৫০ লাখ এবং হোটেল মালিক তাজুল ইসলাম বাশুরীর কাছ থেকে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। শংকরপুরের মতিন মেম্বারের কাছ থেকে ২০ লাখ, বারাইর গ্রামের মনির হোসেনের কাছ থেকে ৫০ লাখ এবং তাজুল ইসলামের কাছ থেকে নিয়েছেন ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে মুহূর্তে বিলীন ১৯ স্থাপনা উত্তাল সমুদ্রে নেমে ভেসে গেলেন চবির ৩ শিক্ষার্থী নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে নেতানিয়াহুর মনোনয়ন পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণ, ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত নজিরবিহীন অনিয়মের নজির জনস্বাস্থ্যের প্রকল্পে মশা নিধন চোখে পড়ে না, চিকিৎসা নিয়ে কত কিছু! এনবিআর কর্মীরা উৎকণ্ঠায় ২ বিলিয়ন ডলার চায় বিপিসি চাঁদার টাকাসহ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার, অতঃপর… আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি হবে গাজায় বোমা বিস্ফোরণে ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত পাকিস্তান সেনাপ্রধানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালো হোয়াইট হাউস ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় পর্যায়ে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কক্সবাজার সৈকতে নেমে চবির ৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ, একজনের লাশ উদ্ধার টসে হেরে শেষ ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ লোহিত সাগরে মালবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে ডুবানোর দাবি বিদ্রোহীদের ভারতের না, বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান, দল ঘোষণা রাজধানীসহ ৪ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির আভাস অ্যাসিড নিক্ষেপ ও মারধরের অভিযোগে ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা ‘চেয়ারম্যানের ডিকলারের পরই সবাই হামলা চালায়’, ভিডিওতে বললেন বেঁচে যাওয়া তরুণী