ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
গাজীপুরে কেয়া গ্রুপের চারটি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা, ১ মে থেকে কার্যকর
পাঁচ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র মানবাধিকার প্রতিবেদনে
মেজর সিনহা হত্যার; দ্রুত মামলার শুনানি করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে মায়ের আবেদন
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের দুই প্রস্তাব অনুমোদন
ঢাকায় বায়ুদূষণ: একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি
২০২৪ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি
নতুন করে অনুপ্রবেশ লক্ষাধিক ছাড়িয়েছে !
মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। সরকারি হিসাবেই প্রায় ৮০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করা হয়েছে, যা বেসরকারি মতে লাখ ছাড়িয়েছে। তবে এবারের অনুপ্রবেশ আগের মতো প্রকাশ্যে দল বেঁধে না ঘটায় তা সহজে গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে না।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পদ্ধতি
সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে। অভিযোগ রয়েছে, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি নির্যাতন ও কৌশলের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন যে, সীমান্তে দুর্নীতির কারণে দালালদের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে নতুন করে ১৭ হাজার ৪৭৮টি রোহিঙ্গা পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
দালালদের ভূমিকা
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত এলাকার
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই দেশের দালালরা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে। তারা আগে আরাকান আর্মির জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করত এবং বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সীমান্ত পাড়ি দিতে সহায়তা করছে। হ্নীলা ইউনিয়নের ২৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান জাফর জানান, রাখাইনে যুদ্ধের নামে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হচ্ছে। নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের অনেকে জানান, তাদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। জীবন বাঁচাতে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে বিত্তশালী রোহিঙ্গারা বাসা ভাড়া করে বসবাস করছে, আর অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। সীমান্ত নজরদারি ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ নাফ নদ ও পাহাড়ি পথ দিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রবেশের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি
থাকা সত্ত্বেও দালালদের কার্যক্রম বন্ধ করা যাচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন ২৬ ডিসেম্বর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের (আরআরআরসি) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৬৪ হাজার ৭১৮ জন রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তবে তাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন না হওয়ায় সঠিক হিসাব নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। সম্প্রতি ন্যাশনাল টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) বৈঠকে এই রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ জাতিসংঘের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হওয়ার আশায় নতুন করে আরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে। মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ও দালালদের সমন্বয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সীমান্তে দালাল চক্র বন্ধ করা না গেলে এই সংকট আরও বাড়বে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাংলাদেশের জন্য মানবিক ও
প্রশাসনিক উভয় ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সীমান্তে কড়া নজরদারি ও দালালদের কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা নিয়ে এই সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই দেশের দালালরা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে। তারা আগে আরাকান আর্মির জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করত এবং বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সীমান্ত পাড়ি দিতে সহায়তা করছে। হ্নীলা ইউনিয়নের ২৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান জাফর জানান, রাখাইনে যুদ্ধের নামে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হচ্ছে। নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের অনেকে জানান, তাদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। জীবন বাঁচাতে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে বিত্তশালী রোহিঙ্গারা বাসা ভাড়া করে বসবাস করছে, আর অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। সীমান্ত নজরদারি ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ নাফ নদ ও পাহাড়ি পথ দিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রবেশের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি
থাকা সত্ত্বেও দালালদের কার্যক্রম বন্ধ করা যাচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন ২৬ ডিসেম্বর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের (আরআরআরসি) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৬৪ হাজার ৭১৮ জন রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তবে তাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন না হওয়ায় সঠিক হিসাব নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। সম্প্রতি ন্যাশনাল টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) বৈঠকে এই রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ জাতিসংঘের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হওয়ার আশায় নতুন করে আরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে। মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ও দালালদের সমন্বয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সীমান্তে দালাল চক্র বন্ধ করা না গেলে এই সংকট আরও বাড়বে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাংলাদেশের জন্য মানবিক ও
প্রশাসনিক উভয় ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সীমান্তে কড়া নজরদারি ও দালালদের কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা নিয়ে এই সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।