ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আবারও বাংলাদেশি জেলে অপহৃত: সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বাংলাদেশ?
বিদ্যুৎ আমদানির বিল পরিশোধে সহজীকরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ শিথিল
ভারতের সাথে আন্তঃদেশীয় রেলসেবা পুনরায় চালু করতে উদগ্রীব ‘দিল্লির দাসত্ব’ বিরোধী ইউনূস সরকার
রয়টার্সকে সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা: নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না থাকলে বিপুল সংখ্যক ভোটার নির্বাচন বর্জন করবেন
নির্বাচন থেকে দল নিষিদ্ধ হওয়ায় গণ-ভোটার বর্জনের হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের শেখ হাসিনা
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার || সরকার উৎখাত করতে গিয়ে নিহতের ঘটনায় ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
ড. ইউনূসের ম্যাজিকেল আমলে বন্ধ হয়েছে ২৫৮টি তৈরি পোশাক কারখানা, কর্মহীন লাখো শ্রমিক
দুর্নীতি দমন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ বাদ দিয়েই খসড়া অনুমোদন, টিআইবির উদ্বেগ
দুদক সংস্কার কমিশনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ বাদ দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও বিস্ময় জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ ২৯শে অক্টোবর, বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে একটি স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত দুদক সংস্কার কমিশন যে সুপারিশমালা তৈরি করেছিল, তার যথাযথ প্রতিফলন খসড়ায় দেখা যায়নি।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, খসড়া অধ্যাদেশটি বিদ্যমান আইনের তুলনায় কিছুটা উন্নত হলেও এতে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সুপারিশ বাদ দেওয়া হয়েছে বা অবমূল্যায়ন করা হয়েছে, যা হতাশাজনক।
তিনি বলেন, কমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও
জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সংস্কার কমিশন ‘বাছাই ও পর্যালোচনা কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সরকার ‘পর্যালোচনা অংশটি’— অর্থাৎ দুদকের কার্যক্রমের ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রস্তাব বাতিল করেছে। এর ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যে রাজনৈতিক প্রভাবের অধীনে ছিল, তা থেকে মুক্তির কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় না। টিআইবির মতে, অধ্যাদেশে যেসব সীমিত সংশোধন আনা হয়েছে, তা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর আংশিক প্রতিফলন মাত্র। দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, জনবল নিয়োগে স্বচ্ছতা, অভ্যন্তরীণ অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সম্পূরক আইনি কাঠামোর সংস্কারে সরকারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় টিআইবির হতাশা আরও গভীর হয়েছে। ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, বাছাই কমিটিতে সংসদের বিরোধীদলীয় প্রতিনিধি মনোনয়নের ক্ষমতা বিরোধীদলীয় নেতার পরিবর্তে স্পিকারের হাতে দেওয়া
হয়েছে, যা সরকারি প্রভাব বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে বলে মনে হয়। একইভাবে দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডে অভিজ্ঞ একজন নাগরিককে কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দায়িত্ব প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ায় স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হবে। এছাড়া, শর্টলিস্ট করা প্রার্থীদের নাম প্রকাশের বিধান বাতিল করায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাও বাধাগ্রস্ত হবে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা হিসেবে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু খসড়ায় তা বাড়িয়ে ২৫ বছর করা হয়েছে। তাছাড়া কমিশনারের সংখ্যা তিনজন থেকে পাঁচজনে উন্নীত করার প্রস্তাবও উপেক্ষা করা হয়েছে, যা হতাশার। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাদ দেওয়া সুপারিশগুলোর অধিকাংশের পক্ষে রাজনৈতিক ঐকমত্য ছিল। তবুও সেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া
হয়েছে— সম্ভবত দুদক ও সরকারের ভেতরে কিছু প্রভাবশালী মহল নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সংস্কার ঠেকিয়ে রাখতে চাইছে। রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারের জন্য এটি এক ধরনের স্ববিরোধী ও সংস্কারবিরোধী দৃষ্টান্ত। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যেসব বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য বিদ্যমান, সেগুলো উপেক্ষা বা গোপন করার নৈতিক ও রাজনৈতিক ভিত্তি কী? সরকার নিজেই সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, আবার নিজেই তার সুপারিশ অগ্রাহ্য করছে— এটি পরস্পরবিরোধী ও উদ্বেগজনক অবস্থান।
জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সংস্কার কমিশন ‘বাছাই ও পর্যালোচনা কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সরকার ‘পর্যালোচনা অংশটি’— অর্থাৎ দুদকের কার্যক্রমের ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রস্তাব বাতিল করেছে। এর ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যে রাজনৈতিক প্রভাবের অধীনে ছিল, তা থেকে মুক্তির কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় না। টিআইবির মতে, অধ্যাদেশে যেসব সীমিত সংশোধন আনা হয়েছে, তা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর আংশিক প্রতিফলন মাত্র। দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, জনবল নিয়োগে স্বচ্ছতা, অভ্যন্তরীণ অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সম্পূরক আইনি কাঠামোর সংস্কারে সরকারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় টিআইবির হতাশা আরও গভীর হয়েছে। ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, বাছাই কমিটিতে সংসদের বিরোধীদলীয় প্রতিনিধি মনোনয়নের ক্ষমতা বিরোধীদলীয় নেতার পরিবর্তে স্পিকারের হাতে দেওয়া
হয়েছে, যা সরকারি প্রভাব বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে বলে মনে হয়। একইভাবে দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডে অভিজ্ঞ একজন নাগরিককে কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দায়িত্ব প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ায় স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হবে। এছাড়া, শর্টলিস্ট করা প্রার্থীদের নাম প্রকাশের বিধান বাতিল করায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাও বাধাগ্রস্ত হবে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা হিসেবে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু খসড়ায় তা বাড়িয়ে ২৫ বছর করা হয়েছে। তাছাড়া কমিশনারের সংখ্যা তিনজন থেকে পাঁচজনে উন্নীত করার প্রস্তাবও উপেক্ষা করা হয়েছে, যা হতাশার। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাদ দেওয়া সুপারিশগুলোর অধিকাংশের পক্ষে রাজনৈতিক ঐকমত্য ছিল। তবুও সেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া
হয়েছে— সম্ভবত দুদক ও সরকারের ভেতরে কিছু প্রভাবশালী মহল নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সংস্কার ঠেকিয়ে রাখতে চাইছে। রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারের জন্য এটি এক ধরনের স্ববিরোধী ও সংস্কারবিরোধী দৃষ্টান্ত। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যেসব বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য বিদ্যমান, সেগুলো উপেক্ষা বা গোপন করার নৈতিক ও রাজনৈতিক ভিত্তি কী? সরকার নিজেই সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, আবার নিজেই তার সুপারিশ অগ্রাহ্য করছে— এটি পরস্পরবিরোধী ও উদ্বেগজনক অবস্থান।



