তিব্বতে চীনের জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের ঘোষণা – ইউ এস বাংলা নিউজ




তিব্বতে চীনের জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের ঘোষণা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:১০ 9 ভিউ
চীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী তিব্বতে ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নভাগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের ঘোষণা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। চীন এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে প্রায় তিনশো বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও এটি চীনের কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়তা করবে, কিন্তু এই প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। প্রকল্পের আকার ও সম্ভাবনা ইয়ারলুং জাংবো নদীর একটি অংশে পানিপ্রবাহের মধ্যে ২০০০ মিটারের মতো পতন জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের এক বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। নতুন বাঁধটি চীনের থ্রি জর্জেস বাঁধের তিনগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ধারণ করবে। এতে প্রকৌশল ও কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে চীনের দাবি। তবে এই প্রকল্পের

জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি প্রায় পনের লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করতে হবে। প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে এখনও বিস্তারিত কোনো গবেষণা বা তথ্য প্রকাশ করেনি চীনা কর্তৃপক্ষ। পরিবেশগত ও ভৌগোলিক উদ্বেগ ইয়ারলুং জাংবো নদী ভারতের অরুণাচল ও আসাম হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ নামে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়। বাংলাদেশ ও ভারত আশঙ্কা করছে, এই প্রকল্পের ফলে নদীর পানিপ্রবাহ ও গতিপথে পরিবর্তন আসতে পারে, যা নিম্নভাগের পরিবেশ, কৃষি ও মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। নদীর নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ঘাটতির ফলে নদী অববাহিকার বাস্তুসংস্থান এবং জীববৈচিত্র্যে বিরূপ প্রভাব দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রভাব বাংলাদেশ মূলত ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সেচ, পানি সরবরাহ এবং পরিবহন নির্ভরশীল। চীনের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন

হলে নদীর পানিপ্রবাহ কমে যেতে পারে, যা বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য এবং জনজীবনে সংকট তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পানিপ্রবাহে পরিবর্তনের ফলে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন এবং প্লাবন বাড়তে পারে, যা আরও জটিলতা তৈরি করবে। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও কূটনৈতিক উদ্যোগ বাংলাদেশ ও ভারত ইতোমধ্যেই তাদের উদ্বেগ চীনকে জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, এই প্রকল্প তিব্বতের পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে প্রকল্পের ফলে সৃষ্ট কোনো নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করা যায়। চীনের তিব্বত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প শক্তি উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে, তবে এর বহুমুখী প্রভাব নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটি কেবল

পরিবেশগত সমস্যা নয়, বরং কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক ফোরামে এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা জোরদার করতে হবে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
হাসিনাকে সহজে ফেরত দেবে না ভারত পাঁচ দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পঞ্চগড়, বিপর্যস্ত জনজীবন চোখ ধাঁধানো বিলবোর্ড বসিয়ে ৫ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মিশন কারও ক্যারিয়ার সায়াহ্নে, কারও সূর্য উদিত ইউক্রেনে উত্তর কোরীয় সেনাদের ব্যাপক প্রাণহানি: হোয়াইট হাউস সাফজয়ী কোচ গোলাম রব্বানীকে ফেরাচ্ছে বাফুফে আমি প্লেন থেকে ঝাঁপ মারছি, সরি মা! আজারবাইজানি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইউক্রেনের দিকে আঙুল রুশ বিমান প্রধানের উত্তর গাজার শেষ হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা শনিবার রাজধানীর কোন কোন এলাকার মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ সচিবালয়ে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিবৃতি গাজায় হাসপাতালের কাছে হামলায় নিহত ৫০ ঘুরেফিরে সেই আটজনই স্বাস্থ্যের কেনাকাটায় হজ কোটা এবারও পূরণ হচ্ছে না সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না সাংবাদিকরা, বেসরকারি পাসও বাতিল দেশের বাস্তব চিত্র প্রকাশে চলচ্চিত্র বানাব: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন চায় জামায়াত বিশৃঙ্খল অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়া হবে ভয়াবহ: হোসেন জিল্লুর ‘ক্লাউন কোহলি’, সংবাদ মাধ্যম থেকে মেলবোর্নে দুয়ো বৃষ্টি সাদপন্থি ও জুবায়েরপন্থি গ্রুপের দ্বন্দ্ব, সতর্ক অবস্থানে যৌথ বাহিনী