
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ বুয়েটের

শিক্ষার্থীদের যমুনায় যেতে বাধা দেওয়ায় আট পুলিশ সদস্য আহত

চীনা নাগরিকের ওয়ালেট চুরি, গ্রেপ্তার ২

৩ দিনে ৩৩ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

বাড়িতে পুরুষের তুলনায় নারীরা ৪ গুণ বেশি কাজ করে

আসন্ন জাতিসংঘ অধিবেশনে ড. ইউনুসকে প্রত্যাখান করার আহ্বান জানিয়েছে একাত্তরের প্রহরী ফাউন্ডেশন

ক্রমেই জটিল হচ্ছে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
ঢাকা–ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠতা: দক্ষিণ এশিয়ার নতুন সমীকরণ, উদ্বেগে নয়াদিল্লি

সম্প্রতি পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকা সফরে এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনায় উঠে আসে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং বাংলাদেশ–পাকিস্তান সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালুর পরিকল্পনা।
তবে শুধু সরকার নয়, দার বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আলাপ করেন—যার মধ্যে ছিল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং আন্দোলনে সক্রিয় ছাত্রনেতাদের প্রতিনিধিরা। এই রাজনৈতিক যোগাযোগকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লিতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, বিশেষত ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে।
দীর্ঘ শাসনামলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রধান সমালোচনা ছিল—ভারতের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা। ফলে বিরোধী শিবিরে ভারতবিরোধী মনোভাব জোরালো হয়। সেই প্রেক্ষাপটে ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সাম্প্রতিক যোগাযোগ
নয়াদিল্লির কূটনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ইতোমধ্যে সংকেত দিয়েছেন—ঢাকার সঙ্গে নতুনভাবে কাজ করার পথ খুঁজে বের করা জরুরি, নইলে পাকিস্তানের প্রভাব নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সার্ক ইস্যু ও কূটনৈতিক পরিবর্তন গত বছর ওমানের মাস্কাটে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গ তোলা হয়। কিন্তু জয়শঙ্কর তখন স্পষ্ট করেন, সার্ক নিয়ে আলোচনা মানেই পাকিস্তানের সুরে সুর মেলানো। সেই বৈঠকের পর থেকে ঢাকা–ইসলামাবাদ সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। এরপর পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি, ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল, সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগসহ দুই দেশের সম্পর্ক দ্রুত অগ্রসর হতে থাকে। এমনকি সামরিক ও বেসামরিক পর্যায়ের প্রতিনিধিদের পারস্পরিক সফরও
শুরু হয়েছে। ইসহাক দার তাঁর সর্বশেষ ঢাকা সফরে শুধু রাজনৈতিক আলাপই করেননি, বরং ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে ‘অতীতের বিষয়’ আখ্যা দিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগোনোর আহ্বান জানিয়েছেন। দিল্লির নিরাপত্তা শঙ্কা ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল অনিল চৌহান সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন—চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে এক ধরনের ঘনিষ্ঠতা দেখা যাচ্ছে, যা ভারতের স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তায় বাংলাদেশের অবস্থান ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সাবেক কূটনীতিক ভিনা সিক্রি অতীতের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন—২০০৩–০৬ সালে বিএনপি–জামায়াত সরকার আমলে ঢাকা–ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠতা ভারতের জন্য বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল। তাঁর মতে, বর্তমান পরিস্থিতি সেই সময়ের পুনরাবৃত্তির মতো মনে হচ্ছে। ভারতের উদ্বেগ আরও বাড়ছে এ কারণে যে, সীমান্তের দুর্বল অংশগুলো
ব্যবহার করে আবারও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় হতে পারে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়টিও এখন দিল্লির আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে। তথ্যসূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ ও বিবিসি
নয়াদিল্লির কূটনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ইতোমধ্যে সংকেত দিয়েছেন—ঢাকার সঙ্গে নতুনভাবে কাজ করার পথ খুঁজে বের করা জরুরি, নইলে পাকিস্তানের প্রভাব নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সার্ক ইস্যু ও কূটনৈতিক পরিবর্তন গত বছর ওমানের মাস্কাটে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গ তোলা হয়। কিন্তু জয়শঙ্কর তখন স্পষ্ট করেন, সার্ক নিয়ে আলোচনা মানেই পাকিস্তানের সুরে সুর মেলানো। সেই বৈঠকের পর থেকে ঢাকা–ইসলামাবাদ সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। এরপর পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি, ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল, সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগসহ দুই দেশের সম্পর্ক দ্রুত অগ্রসর হতে থাকে। এমনকি সামরিক ও বেসামরিক পর্যায়ের প্রতিনিধিদের পারস্পরিক সফরও
শুরু হয়েছে। ইসহাক দার তাঁর সর্বশেষ ঢাকা সফরে শুধু রাজনৈতিক আলাপই করেননি, বরং ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে ‘অতীতের বিষয়’ আখ্যা দিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগোনোর আহ্বান জানিয়েছেন। দিল্লির নিরাপত্তা শঙ্কা ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল অনিল চৌহান সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন—চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে এক ধরনের ঘনিষ্ঠতা দেখা যাচ্ছে, যা ভারতের স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তায় বাংলাদেশের অবস্থান ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সাবেক কূটনীতিক ভিনা সিক্রি অতীতের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন—২০০৩–০৬ সালে বিএনপি–জামায়াত সরকার আমলে ঢাকা–ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠতা ভারতের জন্য বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল। তাঁর মতে, বর্তমান পরিস্থিতি সেই সময়ের পুনরাবৃত্তির মতো মনে হচ্ছে। ভারতের উদ্বেগ আরও বাড়ছে এ কারণে যে, সীমান্তের দুর্বল অংশগুলো
ব্যবহার করে আবারও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় হতে পারে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়টিও এখন দিল্লির আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে। তথ্যসূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ ও বিবিসি