ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
রাজপথে নেই আওয়ামী লীগ, তবুও ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিতে অভূতপূর্ব সমর্থন
ঢাকা লকডাউন: গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের ভোগান্তি
এবার হংকং ভিত্তিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে সাক্ষাৎকার দিলেন শেখ হাসিনা
দিল্লীতে বিস্ফোরণ: তদন্তে বাংলাদেশি সংযোগের ইঙ্গিত ভারতের
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে
সরকার উৎখাতের ‘এলজিবিটি ষড়যন্ত্র
ইউনুস সরকারের কাউন্টডাউন শুরু, পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
ঢাকায় আইএসআই প্রধান: দিল্লির হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আঞ্চলিক রাজনীতির মেরুকরণ ও নতুন ধরনের সম্পর্কের সূচনা হয়েছে। বিশেষত, সম্প্রতি ঢাকায় পাকিস্তানের আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম এবং তার প্রতিনিধি দলের গোপন সফর ও সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ ঘিরে দিল্লি এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনা সম্পর্কে কড়া সতর্কতা দিয়েছে এবং দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না বলে জানিয়েছে।
ইউনুস সরকারের নতুন দিকনির্দেশনা
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে মুহাম্মদ ইউনুসের উত্থান এবং তার রাজনৈতিক কৌশল নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একাত্তরের গণহত্যার দগদগে স্মৃতি ভুলে,
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্কের উন্নয়ন ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এমনকি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ইসলামাবাদ সফর করেছে এবং গাজীপুরে অস্ত্র কারখানায় পাকিস্তানের ‘শাহীন’ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বাংলাদেশের হাতে গেলে আঞ্চলিক ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। ভারত এই অবস্থাকে ‘দুই সীমান্তে চাপ’ বলে ব্যাখ্যা করছে। ভারতের উদ্বেগ এবং প্রতিক্রিয়া ভারত বরাবরই বাংলাদেশকে তার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি জামাত পরিচালিত ইউনুস সরকারের ভারত-বিরোধী নীতি ও পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দিল্লিকে ভাবিয়ে তুলেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের মন্তব্যে স্পষ্ট, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। “আমাদের চারপাশে কী হচ্ছে আমরা সব
সময় নজরে রাখি। পড়শি দেশে যা হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কেও আমরা অবগত। যদি আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয় তাহলে প্রয়োজনে যেকোনও পদক্ষেপ করা হবে,” বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সন্ত্রাসবাদ এবং আনসারুল্লা বাংলা টিমের উত্থান বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধির প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষত, আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি) এবং তাদের পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংযোগ গভীর উদ্বেগের কারণ। আল কায়েদার ছায়া সংগঠন এবিটি এখন ভারতজুড়ে স্লিপার সেল তৈরির পরিকল্পনা করছে এবং তরুণ প্রজন্মকে জেহাদের পথে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। মহম্মদ ফারহান ইসরাকের নেতৃত্বে এবিটির সক্রিয়তা এবং তাদের প্রধান জসীমউদ্দিন রহমানিকে ইউনুস সরকারের উদ্যোগে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার ঘটনা আরও আশঙ্কাজনক। আন্তর্জাতিক
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান আঁতাত: আঞ্চলিক প্রভাব বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা শুধুমাত্র ভারতের জন্যই নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ভারসাম্যের জন্য চ্যালেঞ্জ। ভারতের কূটনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে, ইউনুস সরকারের এই নীতিগত পরিবর্তন শুধু ভৌগোলিক কৌশলগত অবস্থানের জন্য নয়, বরং ইসলামাবাদের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চলেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক মজবুত করা, ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের প্রস্তাব, এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের উত্থান আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর উচিত এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনীয়
কৌশলগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্কের উন্নয়ন ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এমনকি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ইসলামাবাদ সফর করেছে এবং গাজীপুরে অস্ত্র কারখানায় পাকিস্তানের ‘শাহীন’ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বাংলাদেশের হাতে গেলে আঞ্চলিক ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। ভারত এই অবস্থাকে ‘দুই সীমান্তে চাপ’ বলে ব্যাখ্যা করছে। ভারতের উদ্বেগ এবং প্রতিক্রিয়া ভারত বরাবরই বাংলাদেশকে তার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি জামাত পরিচালিত ইউনুস সরকারের ভারত-বিরোধী নীতি ও পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দিল্লিকে ভাবিয়ে তুলেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের মন্তব্যে স্পষ্ট, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। “আমাদের চারপাশে কী হচ্ছে আমরা সব
সময় নজরে রাখি। পড়শি দেশে যা হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কেও আমরা অবগত। যদি আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয় তাহলে প্রয়োজনে যেকোনও পদক্ষেপ করা হবে,” বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সন্ত্রাসবাদ এবং আনসারুল্লা বাংলা টিমের উত্থান বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধির প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষত, আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি) এবং তাদের পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংযোগ গভীর উদ্বেগের কারণ। আল কায়েদার ছায়া সংগঠন এবিটি এখন ভারতজুড়ে স্লিপার সেল তৈরির পরিকল্পনা করছে এবং তরুণ প্রজন্মকে জেহাদের পথে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। মহম্মদ ফারহান ইসরাকের নেতৃত্বে এবিটির সক্রিয়তা এবং তাদের প্রধান জসীমউদ্দিন রহমানিকে ইউনুস সরকারের উদ্যোগে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার ঘটনা আরও আশঙ্কাজনক। আন্তর্জাতিক
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান আঁতাত: আঞ্চলিক প্রভাব বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা শুধুমাত্র ভারতের জন্যই নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ভারসাম্যের জন্য চ্যালেঞ্জ। ভারতের কূটনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে, ইউনুস সরকারের এই নীতিগত পরিবর্তন শুধু ভৌগোলিক কৌশলগত অবস্থানের জন্য নয়, বরং ইসলামাবাদের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চলেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক মজবুত করা, ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের প্রস্তাব, এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের উত্থান আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর উচিত এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনীয়
কৌশলগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।



