ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
টিউলিপের পাশে দাঁড়ালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চাইলেন টিউলিপ
ট্রাম্পের খেলা শুরু, মোদীর প্রতিপক্ষ ট্রুডোর বিদায়: ড. ইউনুস কি পরবর্তী টার্গেট?
ট্রুডোর পদত্যাগে কানাডাকে ফের ৫১তম রাজ্য বানানোর প্রস্তাব ট্রাম্পের
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আলোচনায় কারা?
অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা জাস্টিন ট্রুডোর
ইন্টারনেট সেবা বন্ধে অর্থনৈতিক ক্ষতিতে বিশ্বে শীর্ষে পাকিস্তান
জেক সুলিভানের ভারত সফর: ট্রাম্পের ফিরে আসার আগেই যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) জেক সুলিভান আগামী ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ভারত সফরে যাচ্ছেন। এই সফরটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বাইডেন প্রশাসনের অধীনে তার শেষ ভারত সফর হবে এবং একই সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার মাত্র দু’সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সফরটি যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যত নির্ধারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হতে পারে, বিশেষ করে উভয় দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে ওঠা প্রযুক্তিগত এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার খাতগুলোর দিকে।
সুলিভানের সফরের কেন্দ্রবিন্দু হবে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিস ইনিশিয়েটিভ (আইসিইটি)। ২০২২ সালের মে মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই উদ্যোগটি চালু করেছিলেন। এর লক্ষ্য
হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জৈবপ্রযুক্তি, সেমিকন্ডাক্টর এবং প্রতিরক্ষা উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে গভীর সহযোগিতা গড়ে তোলা। এই উদ্যোগটি একটি শক্তিশালী প্রযুক্তিগত এবং প্রতিরক্ষা জোট গঠনের লক্ষ্য নিয়ে চলছে, যা আন্তর্জাতিক মঞ্চে দুই দেশের অবস্থান শক্তিশালী করবে। সুলিভানের এই সফর ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন, উন্নত টেলিযোগাযোগ এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সংক্রান্ত সহযোগিতা বৃদ্ধি করাকে গুরুত্ব দেবে, যেগুলি বর্তমানে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে। এটি বাইডেন প্রশাসনের ভারত সফরের শেষ হওয়ার সাথে সঙ্গতি রেখে, আমেরিকা-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে। জেক সুলিভানের ভূমিকা গত বছর, সুলিভান ভারতে তার সফরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর আলোচনা করেছিলেন, যেমন সন্ত্রাসবাদ
বিরোধী অভিযান, বিশেষ করে খালিস্তানি সন্ত্রাসী গুরুপতওয়ান্ট সিং পন্নু সম্পর্কে উদ্বেগ, যা আগে সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছিল। তবে এবার তার সফরের মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে উদীয়মান প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার কৌশলগত কাঠামো দৃঢ় করা। ক্ষমতার হস্তান্তর: মাইকেল ওয়াল্টজের ভূমিকা সুলিভানের পদত্যাগের পর যুক্তরাষ্ট্রে নেতৃত্বের পরিবর্তন আসছে, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে মাইকেল ওয়াল্টজ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন। ওয়াল্টজ, যিনি ভারতীয় স্বার্থের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থনের জন্য পরিচিত, ইতিমধ্যেই ভারতীয় কূটনীতির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন। এটি ভারতীয় নীতির জন্য একটি সহায়ক পদক্ষেপ হতে পারে, বিশেষ করে উভয় দেশ যখন পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে কাজ করছে। জয়শঙ্করের কূটনীতি: ট্রাম্পের আগমন প্রস্তুতি এদিকে,
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সুলিভান এবং মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা আগামী নেতৃত্বের পরিবর্তনের সময় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রস্তুতির প্রতিফলন। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার গুরুত্ব বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা। আগামী দিনের দিকে: যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের কৌশলগত পুনঃসামঞ্জস্য সুলিভানের ভারত সফরটি শুধুমাত্র একটি সাধারণ কূটনৈতিক সফর নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা গত কয়েক বছরে গড়ে ওঠা কৌশলগত কাঠামোকে দৃঢ় করতে সাহায্য করবে। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যত কীভাবে এগিয়ে যাবে, তা নির্ধারণে এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মাইকেল ওয়াল্টজের এনএসএ হিসেবে নিয়োগ ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের কৌশলগত দিক বজায় রাখবে, বিশেষ করে
প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও শক্তিশালী হবে। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত উন্নতি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা আগামী দিনে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠবে।
হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জৈবপ্রযুক্তি, সেমিকন্ডাক্টর এবং প্রতিরক্ষা উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে গভীর সহযোগিতা গড়ে তোলা। এই উদ্যোগটি একটি শক্তিশালী প্রযুক্তিগত এবং প্রতিরক্ষা জোট গঠনের লক্ষ্য নিয়ে চলছে, যা আন্তর্জাতিক মঞ্চে দুই দেশের অবস্থান শক্তিশালী করবে। সুলিভানের এই সফর ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন, উন্নত টেলিযোগাযোগ এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সংক্রান্ত সহযোগিতা বৃদ্ধি করাকে গুরুত্ব দেবে, যেগুলি বর্তমানে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে। এটি বাইডেন প্রশাসনের ভারত সফরের শেষ হওয়ার সাথে সঙ্গতি রেখে, আমেরিকা-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে। জেক সুলিভানের ভূমিকা গত বছর, সুলিভান ভারতে তার সফরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর আলোচনা করেছিলেন, যেমন সন্ত্রাসবাদ
বিরোধী অভিযান, বিশেষ করে খালিস্তানি সন্ত্রাসী গুরুপতওয়ান্ট সিং পন্নু সম্পর্কে উদ্বেগ, যা আগে সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছিল। তবে এবার তার সফরের মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে উদীয়মান প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার কৌশলগত কাঠামো দৃঢ় করা। ক্ষমতার হস্তান্তর: মাইকেল ওয়াল্টজের ভূমিকা সুলিভানের পদত্যাগের পর যুক্তরাষ্ট্রে নেতৃত্বের পরিবর্তন আসছে, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে মাইকেল ওয়াল্টজ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন। ওয়াল্টজ, যিনি ভারতীয় স্বার্থের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থনের জন্য পরিচিত, ইতিমধ্যেই ভারতীয় কূটনীতির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন। এটি ভারতীয় নীতির জন্য একটি সহায়ক পদক্ষেপ হতে পারে, বিশেষ করে উভয় দেশ যখন পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে কাজ করছে। জয়শঙ্করের কূটনীতি: ট্রাম্পের আগমন প্রস্তুতি এদিকে,
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সুলিভান এবং মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা আগামী নেতৃত্বের পরিবর্তনের সময় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রস্তুতির প্রতিফলন। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার গুরুত্ব বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা। আগামী দিনের দিকে: যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের কৌশলগত পুনঃসামঞ্জস্য সুলিভানের ভারত সফরটি শুধুমাত্র একটি সাধারণ কূটনৈতিক সফর নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা গত কয়েক বছরে গড়ে ওঠা কৌশলগত কাঠামোকে দৃঢ় করতে সাহায্য করবে। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যত কীভাবে এগিয়ে যাবে, তা নির্ধারণে এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মাইকেল ওয়াল্টজের এনএসএ হিসেবে নিয়োগ ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের কৌশলগত দিক বজায় রাখবে, বিশেষ করে
প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও শক্তিশালী হবে। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত উন্নতি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা আগামী দিনে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠবে।