জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২৮ এপ্রিল – ইউ এস বাংলা নিউজ




জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২৮ এপ্রিল

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৪৭ 8 ভিউ
অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ এই বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশ দেন। এদিন সকালে জিয়াউল আহসানসহ এই মামলার ৮ জন আসামিকে আদালতের হাজির করার পর ১১টা ২৬ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে পরিদর্শন করে বিভিন্ন ধরনের ছাড়পত্র, সার্টিফিকেট এবং নিহত কিংবা আহতদের শরীর থেকে উদ্ধারকৃত বুলেটসহ নানা আলামত জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রসিকিউশনের হাতে

আছে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও, যা ফরেন্সিক ও যাচাই বাছাই করার কাজ চলছে এবং এরপর তা তদন্ত প্রতিবেদনে সম্পৃক্ত করা হবে। এই বিষয়ে বিস্তৃত তদন্ত চলা দরকার, যা অত্যন্ত জটিল এবং সময় সাপেক্ষ হওয়ার কারণে এই সময়ের প্রয়োজন।’ শুনানির একপর্যায়ে জিয়াউলের আইনজীবী নাজনীন নাহার তাকে জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি ফটোকপি এবং একটি আইনি বই সরবরাহ করার আবেদন জানালে এতে আপত্তি জানায় প্রসিকিউশন। আইনজীবী নাজনীন নাহার বলেন, ‘আমার মক্কেলকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ হয়েছে, তা জানা প্রয়োজন এবং আইন পড়ার অধিকার যেহেতু সবার আছে তাই এই বই তাকে দিলে কোনো অসুবিধা নেই বলে আমি মনে করি। বই দুটির কোনোটিই ক্ষতিকর নয়।

গত সাত মাস ধরে জেল কর্তৃপক্ষ আমাকে এই বইগুলো নিতে কিংবা আমার মক্কেলকে সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাই আমি আজ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। এই বিষয়ে আমি আদালতের সুনির্দিষ্ট অর্ডার চাই।’ চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এর বিরোধিতা করে বলেন, ‘তিনি সত্যিই জেলগেটে এই দুটি বইই নিতে চেয়েছেন কিনা এবং কারা কর্তৃপক্ষ ঠিক এই দুটি বইয়ের কারণেই তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন কিনা- সেটির কোনো প্রমাণ নেই। সেই সঙ্গে জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো চার্জ গঠিত হয়নি। সুতরাং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ এখনো তৈরি হয়নি বলে আমরা মনে করি। তাই এই আবেদন মঞ্জুর করার কোনো যুক্তি নেই।’ শুনানি শেষে আদালত সাবেক সেনা কর্মকর্তার এই আইনজীবীকে যথাযথ

প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডাকযোগে কিংবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বই দুটি তার মক্কেলকে প্রেরণ করার জন্য একটি আবেদন করতে বলেন এবং জানান এরপরও যদি কারা কর্তৃপক্ষ এই বই দুটি তাকে সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানায় তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল সাপেক্ষে আদালত এই বিষয়ে প্রয়োজনে লিখিত নির্দেশনা দেবে। উল্লেখ্য, হাসিনার পতনের পর গত বছর ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় জিয়াউল আহসানকে। অব্যাহতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত জিয়াউল আহসান ২০২২ সাল থেকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি কারাগারে আছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কুয়েট প্রশাসন ও ছাত্র রাজনীতিকে ‘লাল কার্ড’ বাকি এগারো মাস কেউ খোঁজ রাখেন না একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির লোমহর্ষক বর্ণনা ম্যাচ শেষে শামির পরামর্শ নিলেন তাসকিন প্রথম শুনানিতে আদালতে ইউন যুক্তরাজ্যে রেকর্ড ছাড়িয়েছে মুসলিমবিদ্বেষ ভারত নিয়ে ট্রাম্প মাস্কের ‘মতানৈক্য’ মালয়েশিয়ায় অনলাইন প্রতারণা: বাংলাদেশিসহ ৪৬ অভিবাসী গ্রেফতার চীনা ঋণ পুনঃতফসিলের অনুরোধ পাকিস্তানের পোস্টারের পর সিনেমাতেও কাটা পড়লেন উর্বশী বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘গুপ্তচর ক্যামেরা’ বানিয়ে সাড়া ফেলল চীন ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা ‘দেশে বিরাজনীতিকরণের চক্রান্তে লিপ্তরা কুয়েটকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে’ গাজায় যাচ্ছে ১৫টি ভ্রাম্যমাণ বাড়ি বহনকারী ট্রাক জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২৮ এপ্রিল মিসরে আবারও আবিষ্কৃত হল ফারাওয়ের সমাধি ট্রাম্পের হুমকিকে ভয় পাই না: শেইনবাউম যোগী আদিত্যনাথকে একহাত নিলেন গায়ক বিশাল সালমানের বিরুদ্ধে জ্যাকুলিনকে নকল করার অভিযোগ