
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

এনসিপি’র ‘মুজিববাদ মূর্দাবাদ’ স্লোগানে গোপালগঞ্জে জনবিস্ফোরণ, বিক্ষোভে সেনার গুলি-নিহত ৪

বুটের শব্দে নির্ঘুম রাত পার গোপালগঞ্জবাসীর: এ যেন একাত্তরের এক যুদ্ধবিধস্থ জনপদ

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর সমাধি রক্ষায় গিয়ে সেনার গুলিতে শহিদ ৪, আহত শতাধিক

গত জুলাইয়ে জনতার পাশে দাঁড়ানো সেনার এই জুলাইয়ে গোপালগঞ্জে জনতার ওপর বর্বরতা, নির্বিচার গুলি-হত্যা

এনসিপি’র ‘মুজিববাদ মূর্দাবাদ’ স্লোগানে গোপালগঞ্জে জনবিস্ফোরণ, বিক্ষোভে সেনার গুলি-নিহত ৪

আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে ধরে নিয়ে বুট দিয়ে পিষে মারলো সেনাবাহিনী

জামায়াত-শিবির এনসিপি প্রতিরোধে গোপালগঞ্জে গৃহবধূ-বৃদ্ধা-কিশোরীরাও রাজপথে
জাতির পিতার সমাধি ধ্বংসের ডাক দেওয়া দুর্বৃত্তদের রক্ষায় জনতার ওপর সেনার গুলি

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি রক্ষায় রাস্তায় নেমে আসা জনসাধারণের ওপর সেনাবাহিনীর সরাসরি গুলি চালানোর ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই নির্মম ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জনতার লাঠিসোটা ও ঢিলের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যা অনেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ঘটনার সূত্রপাত এনসিপির একটি উস্কানিমূলক সমাবেশকে কেন্দ্র করে। সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর সমাধি ভাঙার হুমকি এবং মুজিববাদকে ‘কবর দেওয়ার’ ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া হয়। এই অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামে। কিন্তু এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে
অংশ নেওয়া নিরস্ত্র জনতার ওপর সেনাবাহিনী সরাসরি গুলি চালায়, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র (লিথ্যাল উইপন) ব্যবহার করেনি। এই বিবৃতি থেকে স্পষ্ট, গুলি চালানোর ঘটনায় সেনাবাহিনীই দায়ী। স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বিক্ষোভকারীদের হাতে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না; তারা লাঠিসোটা ও ঢিল ছুড়ে প্রতিবাদ করছিল। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী বুলেট ব্যবহার অযৌক্তিক এবং অমানবিক বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেওয়া মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন হিসাবে দাবি করলেও, জনমানুষের ওপর সরাসরি গুলি করা নিয়ে কোন বক্তব্য দেওয়া হয়নি, রাষ্ট্রীয়ভাবে নিহত ও
আহতদের নিয়ে জানানো হয়নি কোনো শোক, এমনকি এ নিয়ে তদন্তেরও কোনো নির্দেশনা আসেনি। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা জাতির পিতার সম্মান রক্ষার জন্য রাস্তায় নেমেছিলাম। আমাদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না, তবু তারা আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। এটা কি আমাদের দেশের সেনাবাহিনী, নাকি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী?” তিনি আরও বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে গোপালগঞ্জের মানুষ চুপ থাকবে না।” মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, “নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালানো যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি।” বঙ্গবন্ধুর সমাধি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি পবিত্র স্থান। এই সমাধি রক্ষার জন্য জনতার
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল তাদের জাতীয় চেতনার প্রতিফলন। কিন্তু এই প্রতিবাদকে নির্মমভাবে দমন করার ঘটনা দেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। জনগণ এখন এই নৃশংসতার বিচার এবং দায়ীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ জনতা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, সেনাবাহিনী জাতির পিতার সমাধি রক্ষার জন্য নয় বরং জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে, তাদের এই কর্মকাণ্ড কি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? এই প্রশ্নের উত্তর সন্ধান এখন সময়ের দাবি।
অংশ নেওয়া নিরস্ত্র জনতার ওপর সেনাবাহিনী সরাসরি গুলি চালায়, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র (লিথ্যাল উইপন) ব্যবহার করেনি। এই বিবৃতি থেকে স্পষ্ট, গুলি চালানোর ঘটনায় সেনাবাহিনীই দায়ী। স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বিক্ষোভকারীদের হাতে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না; তারা লাঠিসোটা ও ঢিল ছুড়ে প্রতিবাদ করছিল। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী বুলেট ব্যবহার অযৌক্তিক এবং অমানবিক বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেওয়া মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন হিসাবে দাবি করলেও, জনমানুষের ওপর সরাসরি গুলি করা নিয়ে কোন বক্তব্য দেওয়া হয়নি, রাষ্ট্রীয়ভাবে নিহত ও
আহতদের নিয়ে জানানো হয়নি কোনো শোক, এমনকি এ নিয়ে তদন্তেরও কোনো নির্দেশনা আসেনি। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা জাতির পিতার সম্মান রক্ষার জন্য রাস্তায় নেমেছিলাম। আমাদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না, তবু তারা আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। এটা কি আমাদের দেশের সেনাবাহিনী, নাকি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী?” তিনি আরও বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে গোপালগঞ্জের মানুষ চুপ থাকবে না।” মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, “নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালানো যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি।” বঙ্গবন্ধুর সমাধি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি পবিত্র স্থান। এই সমাধি রক্ষার জন্য জনতার
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল তাদের জাতীয় চেতনার প্রতিফলন। কিন্তু এই প্রতিবাদকে নির্মমভাবে দমন করার ঘটনা দেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। জনগণ এখন এই নৃশংসতার বিচার এবং দায়ীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ জনতা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, সেনাবাহিনী জাতির পিতার সমাধি রক্ষার জন্য নয় বরং জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে, তাদের এই কর্মকাণ্ড কি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? এই প্রশ্নের উত্তর সন্ধান এখন সময়ের দাবি।