জন্মসনদ পেতে ঘুষ, কমছে না ভোগান্তি – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
     ২:৩৭ অপরাহ্ণ

আরও খবর

সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা

ইউনূস সরকারের আমলে বাড়ছে অপরাধ, বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতাঃ অক্টোবরে ৫% বৃদ্ধি

১০ই নভেম্বর, শহিদ নূর হোসেন দিবসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক বিচার বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি

ইউনুস সরকারের মুখপাত্রের মন্তব্যে ক্ষোভ — ক্ষমা চাইতে বললেন প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া

সরকারি সফরে পাকিস্তান গিয়ে অতিরিক্ত দিন অবস্থান, আলোচনায় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আওয়ামী লীগকে ফাঁসাতে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্র।

জন্মসনদ পেতে ঘুষ, কমছে না ভোগান্তি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ | ২:৩৭ 91 ভিউ
বছরখানেক আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অঞ্চল-৫-এর কার্যালয়ে ছেলের জন্মসনদ সংগ্রহ করেন যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা মেহেদী হাসান। স্কুলে ভর্তির জন্য জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক হওয়ায় সেটি নিয়ে যান তিনি। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই জন্মসনদ ভুয়া। একই রকম সমস্যার কথা জানিয়ে শারমিন সুলতানা নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে বাচ্চার জন্মনিবন্ধন করিয়েছি। বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তির আবেদনে তা নেওয়া হচ্ছে না। নতুন করে আবেদন করতে বলা হয়েছে।’ ডিএসসিসির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের একরোখা সিদ্ধান্তের কারণে সনদ নিয়ে বিপদে পড়েছে ৮০ হাজার নাগরিক। নিয়মের বেড়াজালে আটকা পড়ে জন্মসনদের জন্য নতুন করে নিবন্ধন করতে হচ্ছে তাদের। মেয়র তাপসের সময় কেন্দ্রীয় সার্ভার

উপেক্ষা করে নিজস্ব ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করায় দেখা দিয়েছে জটিলতা। ডিএসসিসির সার্ভার থেকে নেওয়া জন্ম ও মৃত্যুসনদ কাজে লাগছে না। সিটির একজন কর্মকর্তা জানান, জাতীয় সার্ভার প্রায়ই ডাউন থাকত। তাই মেয়র এটা করেছিলেন। তবে মেয়র তাপস ও সরকারি অন্য দপ্তরের পরস্পরবিরোধী অবস্থানও এর জন্য দায়ী। শুধু ডিএসসিসি নয়, জন্ম ও মৃত্যুসনদ পেতে সারা দেশে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তির যেন অন্ত নেই। মূলত জটিল নিয়ম এবং সার্ভার জটিলতার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নিবন্ধন ও সংশোধনে সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে ওয়ার্ড সচিব ও অফিস সহকারীরা কয়েকগুণ বাড়তি টাকা নিচ্ছেন। জন্মনিবন্ধন ও সংশোধনে সরকারি ফি ৫০ ও ১০০ টাকা হলেও সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে এক

হাজার টাকা বা তার বেশিও নেওয়া হচ্ছে। সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, জন্ম-মৃত্যু ও নাগরিকত্ব সনদ পাওয়া এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, সেবা প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে, যিনি ওয়ার্ডের লোকজনকে চেনেন না। এজন্য একটি জন্মসনদ নিতে ১০ দিনের বেশি লেগে যাচ্ছে। সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে গিয়ে বাবা-মা জানতে পারছেন, তাদের নিবন্ধন করাতে হবে নিজের স্থায়ী ঠিকানায় গিয়ে। সন্তানের বাবা ও মা দুটি ভিন্ন জেলার বাসিন্দা হলে সেই বিড়ম্বনা আরও বেশি। ভুক্তভোগীরা প্রশ্ন তুলছেন, বর্তমান ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্র করা গেলে জন্মনিবন্ধন কেন করা যাবে না। আর নিবন্ধনের আবেদনে স্থানীয় ঠিকানা তো আছেই। স্কুলে ভর্তি, চাকরিতে নিয়োগ, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ১৯টি ক্ষেত্রে জন্মসনদ আবশ্যক।

যে কারণে বছরজুড়ে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মসনদ নিতে ভিড় লেগে থাকে। পদ্ধতি নিয়ে ধারণার অভাব, প্রয়োজনীয় নথিপত্র জোগাড় করতে না পারাসহ নানা সমস্যায় ঘুরপাক খাচ্ছেন জন্মসনদ করতে যাওয়া ব্যক্তিরা। ভোগান্তির আরেকটি দিক হলো, একবার জন্মনিবন্ধন করা হলেও সেটি অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন করে নিবন্ধন করাতে হচ্ছে। সন্তানদের জন্মনিবন্ধন করাতে গিয়ে বাবা-মায়ের জন্মসনদ তৈরি, সংশোধন করতে হচ্ছে। এমনও দেখা যাচ্ছে, কারও বাংলায় সনদ থাকলেও ইংরেজিতে নেই। কারও আবার ইংরেজি থাকলে বাংলা করা নেই। নিবন্ধনকারী কর্মীদের ভুলে সংশোধন করতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে নাগরিকদের। সংশোধনে অনলাইনে আবেদনের একটি পদ্ধতি আছে। কিন্তু নানা জটিলতায় কাজ শেষ করতে পারে

না ভুক্তভোগীরা। সব ভুল আবার তৃণমূল পর্যায়ে সংশোধন করা যায় না, ইউনিয়ন পরিষদের ভুল সংশোধন করতে আসতে হয় উপজেলায়। সেটিও এক দিনে বা এক সপ্তাহে হবে, সেই নিশ্চয়তা নেই। দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে সংশোধনের আবেদন বেড়েছে। ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মমতাজ পারভীন তার দুই সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাবেন। জন্মসনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক কার্যালয় ঘুরেও করাতে পারেননি। সম্প্রতি ডিএনসিসির ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা যায়, পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকার হালিম কমিউনিটি সেন্টারের চারতলায় সিটি করপোরেশনের সেবা নিতে প্রায় ৩০ জন অপেক্ষা করছেন। তাদের বেশিরভাগই জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত কাজে এসেছেন। জানতে চাইলে সেবাপ্রার্থীরা বলেন, টাকা ছাড়া কোনো

সেবা দিচ্ছেন না ওয়ার্ড সচিব দ্বীন ইসলাম। তিনি জন্মনিবন্ধন নতুন কিংবা সংশোধনের জন্য ২০০ থেকে ২ হাজার করে টাকা নিচ্ছেন। হাসানুজ্জামান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘মেয়ের জন্মনিবন্ধন সংশোধন করার জন্য আবেদন করেছি। তারা বলেছেন, জন্মনিবন্ধন সংশোধন করতে যেতে হবে সদরঘাটে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। আমি না গেলে তাদের এক হাজার টাকা দিতে হবে। আমি চাকরি করি, ওদিকে যাওয়া একটু কঠিন। ঝামেলা এড়াতে এক হাজার টাকা দিয়েছি।’ নাখালপাড়ার বাসিন্দা সালমা পারভীন বলেন, জন্মনিবন্ধন সংশোধন করতে আমার কাছ থেকে ওয়ার্ড সচিব এক হাজার টাকা নিয়েছে। এর আগে কাউন্সিলর শামিম থাকাকালীন আমার ছেলের জন্মনিবন্ধন সংশোধন করতে এসেছিলাম। তখন ২৫ হাজার টাকা চেয়েছিল এই ওয়ার্ড

সচিব। তখন আমি কাউন্সিলর শামিমের কাছে গেলে তিনি বলেন, এই কাজ হবেই না। এরপর সারোয়ার নামে তাদেরই একজন ৩০ হাজার টাকা নিয়ে সংশোধন করে দেয়।’ অভিযোগ আছে, অফিস সহকারী মো. হোসেন ও খাদিজাকে নিয়ে এই অনিয়ম কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ওয়ার্ড সচিব দ্বীন ইসলাম। এর আগে কাউন্সিলর থাকাকালীন এই সচিব আওয়ামী লীগ নেতা রবিন ও সারোয়ারের মাধ্যমে একটি অনিয়ম ও দুর্নীতির বলয় গড়ে তুলেছিলেন। তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমন অনিয়ম নিয়ে কেউ কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ দিলে উল্টো তাকে সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হতো। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সারোয়ার সিন্ডিকেটের সবুজ নামে এক সদস্যকে। জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদের বাইরে অন্যান্য সেবা নিতে যারা আসেন, তাদের সঙ্গে টাকা-পয়সার বিষয়টি দেখেন এই সবুজ। এসব অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএনসিসির ২৬ নম্বর ওয়ার্ড সচিব দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘সরকার থেকে আমাদের কোনো কিছু দেওয়া হয়নি। নিজের টাকায় প্রিন্টার, কালি ও কাগজ কিনতে হয়। তাই অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়।’ হাজার হাজার টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা যাতায়াত খরচ বাবদ নেওয়া হয়। আমাদের সদরঘাট ও মোহাম্মদপুরে যেতে হয়। সরকার কোনো বাজেট দেয় না।’ একই চিত্র দেখা যায় নগরীর আরও কয়েকটি ওয়ার্ডে। ডিএনসিসির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাজ চলছে মোহাম্মদপুরের আদাবরের একটি বাড়ির দোতলায়। সরেজমিন দেখা যায়, এখানে জন্মনিবন্ধন নতুন কিংবা সংশোধন এবং নাগরিক সনদ দিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন ওয়ার্ড সচিব মাহবুবুল হক। শম্পা নামে এক বাসিন্দা তার কোলের বাচ্চা নিয়ে ওয়ার্ড অফিসে এসেছেন জন্মসনদ সংশোধন করার জন্য। তার কাছ থেকে আবেদনের জন্য সাড়ে তিনশ টাকা নিয়েছেন ওয়ার্ড সচিব মাহবুবুল হক। আর ডিসি অফিস থেকে সংশোধন করে আনতে আরও এক হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড সচিব মাহবুবুল হক বলেন, ‘সরকার থেকে আমাদের কোনো লোক দেওয়া হয়নি। আমার পকেটের টাকা দিয়ে একজন কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস স্টাফ রাখা হয়েছে। তাদের তো খরচ আছে। এজন্য সংশোধনের আবেদন ফি সাড়ে তিনশ টাকা রাখা হয়। এর মধ্যে ১০০ টাকা সরকারি ফি দিতে হয়।’ ডিসি অফিসে যাওয়ার কথা বলে এক হাজার টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্নে ওয়ার্ড সচিব বলেন, ‘আমি তো ডিসি অফিসে যাই না। যারা যায় তাদের আসা-যাওয়ার খরচ আছে।’ জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সেবাগ্রহীতা নাগরিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি দাবি করার অভিযোগে আল আমিন নামে এক ওয়ার্ড সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ডিএনসিসি। তিনি ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সচিব পদে শিক্ষানবিশ হিসেবে কর্মরত আছেন। ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জন্মনিবন্ধনসহ অন্যান্য সনদ সরবরাহ কার্যক্রমে জড়িত অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএনসিসির ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। ঢাকার বাইরে: ভোগান্তির চিত্র ঢাকার বাইরেও। চট্টগ্রাম নগরের জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা রাহেলা শারমিন তিন দিন ঘুরেও সন্তানের জন্য জন্মনিবন্ধন করাতে পারেননি। কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, কাউন্সিলর না থাকায় তাদের দায়িত্ব পালন করছেন সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা। তিনি এই কাউন্সিলর অফিসে আসেন না, তাই ওয়ার্ড অফিসের সব নথিতে স্বাক্ষর নিতে যেতে হয় সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে। একই অবস্থা চট্টগ্রামের বেশিরভাগ ওয়ার্ড অফিসের। সিটি করপোরেশনের যেসব কর্মকর্তাকে ওয়ার্ড অফিস দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই যান না ওয়ার্ড অফিসে। যে কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, জন্মনিবন্ধন করতে সরকারি ফির বাইরে ওয়ার্ড সচিবদের সিটি করপোরেশনে যাওয়ার ভাড়াও দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের সচিব রেজাউল করিম বলেন, কাউন্সিলর না থাকায় সাধারণ জনগণের পাশাপাশি আমাদেরও ভোগান্তি বেড়েছে। জন্মনিবন্ধন থেকে শুরু করে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজের ফাইল দিয়ে সিটি করপোরেশনে যেতে হয়। এতে আমাদের অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রংপুর সিটি করপোরেশনে দিনের পর দিন ঘুরেও জন্মসনদ পাচ্ছেন না সেবাপ্রত্যাশীরা। সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ১৮ বছরের নিচের বয়সীদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন ফি ৭০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ২০০-৩০০ টাকা। প্রতিদিন কয়েকশ আবেদন পড়লেও জমা নেওয়া হচ্ছে মাত্র ২০০ জনের। নগরীর কামাল কাছনার বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম রকি বলেন, ভাতিজির জন্মনিবন্ধনের জন্য তাকে ১১ দিন ঘুরতে হয়েছে। আবেদন করার পর নগর ভবনে গেলে তার কাছ থেকে কয়েক দফায় বিভিন্ন কাগজপত্র চাওয়া হয়। তার পরও হয়রানির মাত্রা বেড়ে গেলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে প্রধান নির্বাহী ডেকে সমস্যার সমাধান করে দেন। নগরীর গুড়াতিপাড়ার বাসিন্দা ফাতেমা তুজ জোহরা অভিযোগ করে বলেন, মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে জন্মনিবন্ধন আবেদন করার পর ১৫ দিন ঘুরেও তা হাতে পাইনি। এখন প্রতিদিনই এ অফিস থেকে অন্য অফিসে ঘুরছি। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মকর্তাদের অদক্ষতা বা অবহেলার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আমরা প্রায়ই দেখি এসব গুরুত্বপূর্ণ সনদে নানা ভুল হয়ে থাকে। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। সঠিকভাবে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন করা সম্ভব হলে সরকারের অনেক খরচ কমে যাবে।’ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন শাখার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৭১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৭৭ জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। এ সময় জন্মনিবন্ধন সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৬টি। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. যাহিদ হোসেন বলেন, ‘চলতি বছর প্রায় ৩৯ লাখ জন্মনিবন্ধন সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। যারা সংশোধন করেন তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নাগরিকেরা যেন সহজে সেবা পান, সে জন্য সিস্টেমের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। কাজে গতি এসেছে। সংশোধনের কাজ বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। জালিয়াতির অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’ দক্ষিণ সিটির নাগরিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের দোষ নেই। ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে কাজটা করেছিল। আমরা তাদের বারবার বলেছি, তোমরা এটা বন্ধ করো। তখন করেনি। এখন অটোমেটিক্যালি তারা এসে পড়েছে। যেসব নাগরিক দক্ষিণ সিটির সার্ভারে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন, আমরা সেই ডাটাগুলো ট্রান্সফার করব।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত আওয়ামী লীগ-জাপাকে নির্বাচনের বাইরে রাখলে ভোটে যাবেন না কাদের সিদ্দিকী, রাজনীতির মোড় কী ঘুরছে? সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচী: শান্তা-মরিয়ম, এআইইউবি’তে ১২-১৩ নভেম্বরের ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল ইউনূস সরকারের আমলে বাড়ছে অপরাধ, বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতাঃ অক্টোবরে ৫% বৃদ্ধি যে আওয়ামীলীগ তোমরা দেখো নাই, চেনো না… ছিলেন জুলাই আন্দোলনের সমর্থক, ধর্ষণের হুমকি পেয়ে তাকেই ছাড়তে হলো খেলা আগামী তিনমাসের মধ্যে খাদ্যসংকটে দেড় কোটিরও বেশি মানুষ ১০ই নভেম্বর, শহিদ নূর হোসেন দিবসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক বিচার বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি ইউনুস সরকারের মুখপাত্রের মন্তব্যে ক্ষোভ — ক্ষমা চাইতে বললেন প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া সরকারি সফরে পাকিস্তান গিয়ে অতিরিক্ত দিন অবস্থান, আলোচনায় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র ব্রাশফায়ার করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ আওয়ামী লীগকে ফাঁসাতে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্র। মশাল মিছিলে অংশগ্রহণ: সিলেটে সাবেক মেয়রের বাসা থেকে আ.লীগ নেতার ছেলে আটক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী বাংলাদেশের গার্মেন্টসশিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছে অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রধান উপদেষ্টা ২৭৫ মেগাওয়াট অন্ধকার : এনজিও অভিজ্ঞতায় দেশ চালানোর ফলাফল প্রতিদিন এগারোটা খুন: জুলাই সন্ত্রাসীদের রক্তাক্ত উপহার বাংলাদেশকে ঘাঁটি করে ভারতে হামলার ছক হাফিজ সইদের, কাশ্মীরের নামে মহিলা আত্মঘাতী বাহিনী গড়ছে জৈশ