চীন জার্মানি বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে : জার্মান চ্যান্সেলর সাথে ফোনালাপে সি – ইউ এস বাংলা নিউজ




চীন জার্মানি বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে : জার্মান চ্যান্সেলর সাথে ফোনালাপে সি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৫ মে, ২০২৫ | ৫:৫২ 48 ভিউ
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ২৩ মে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জের অনুরোধে তার সাথে টেলিফোনে কথা বলেন। ফোনালাপে সি আবারও জার্মান চ্যান্সেলর হওয়ায় মার্জকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শতাব্দীতে অদেখা পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন ও অস্থিরতার জটিল সংমিশ্রণ ঘটছে। চীন-জার্মানি এবং চীন-ইউরোপ সম্পর্কের কৌশলগত ও সামগ্রিক তাৎপর্য আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একটি সুস্থ ও স্থিতিশীল চীন-জার্মান সম্পর্ক উভয় দেশের স্বার্থে এবং চীন ও ইউরোপের সকল ক্ষেত্রের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জসপূর্ণ। চীন, জার্মানির সাথে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করতে, চীন-ইইউ সম্পর্ককে নতুন উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে এবং বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধিতে নতুন অবদান রাখতে ইচ্ছুক। সি

বলেন, চীন ও জার্মানি সর্বদা পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনা মেনে চলা, মতবিরোধ পাশে রেখে মতৈক্য অন্বেষণ করা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে জয়-জয় সহযোগিতার চেতনা দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন করে। আমাদের পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা সুসংহত করতে হবে। চীন, জার্মানিকে অংশীদার হিসেবে দেখে এবং জার্মানির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দেখে আনন্দিত। চীন জার্মানির সাথে ঘনিষ্ঠ উচ্চ-স্তরের বিনিময় বজায় রাখতে, একে অপরের মূল স্বার্থকে সম্মান করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি সুসংহত করতে ইচ্ছুক। আমাদের সম্পর্কের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে হবে। উভয়পক্ষের উচিত কেবল অটোমোবাইল, যন্ত্রপাতি উৎপাদন এবং রাসায়নিকের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা নয়, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কোয়ান্টাম প্রযুক্তিসহ নানা অত্যাধুনিক ক্ষেত্রগুলোতে ক্রমবর্ধমান

সহযোগিতা গড়ে তোলা, জলবায়ু পরিবর্তন ও সবুজ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় এবং সহযোগিতা জোরদার করা এবং বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়নে চীনা ও জার্মান জ্ঞান এবং পরিকল্পনা প্রদান করা। আমাদের সহযোগিতার গতি বাড়াতে হবে। চীন উচ্চ-স্তরের উন্মুক্তকরণের ফলে সৃষ্ট উন্নয়নের সুযোগগুলো জার্মানির সাথে ভাগ করে নিতে ইচ্ছুক। জার্মানি দুই দেশের দ্বিমুখী বিনিয়োগ ও সহযোগিতার জন্য আরও বেশি নীতিগত সহায়তা এবং সুবিধা প্রদান করবে এবং চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য একটি ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং বৈষম্যহীন ব্যবসায়িক পরিবেশ প্রদান করবে বলে প্রেসিডেন্ট সি আশা প্রকাশ করেন। সি আরো বলেন, বাস্তবতা সম্পূর্ণরূপে প্রমাণ করেছে যে, চীন-জার্মানি এবং চীন-ইইউ সম্পর্কের সঠিক অবস্থান হল অংশীদারিত্ব। একটি স্থিতিশীল এবং অনুমানযোগ্য নীতিগত

পরিবেশ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিশ্চয়তা। এই বছর চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী। উভয়পক্ষের উচিত চীন-ইইউ সম্পর্কের উন্নয়নে সফল অভিজ্ঞতার সারসংকলন করা, বহুপাক্ষিকতাবাদ ও মুক্ত বাণিজ্য বজায় রাখা এবং উন্মুক্ত ও পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা গভীর করার ইতিবাচক সংকেত পাঠানো। মার্জ বলেন, চীন বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। জার্মান-চীনা সম্পর্ক ভালোভাবে বিকশিত হচ্ছে, সহযোগিতা গভীর ও ফলপ্রসূ হচ্ছে। বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে, বিশ্বের দুটি প্রধান অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে, জার্মানি এবং চীনের মধ্যে সহযোগিতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নতুন জার্মান সরকার এক-চীন নীতি মেনে চলে এবং গঠনমূলক ও বাস্তববাদী মনোভাব নিয়ে দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে ইচ্ছুক।

জার্মানি বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সাথে বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করতে, উন্মুক্ততা ও পারস্পরিক সুবিধা মেনে চলতে, ন্যায্য বাণিজ্য প্রচার করতে, বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যৌথভাবে মোকাবেলা করতে আগ্রহী। ইইউ-চীন সম্পর্কের সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়ন উভয় পক্ষের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং জার্মানি এই বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক। দুই নেতা ইউক্রেন সংকট নিয়েও মতবিনিময় করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নীলক্ষেতেই ছাপা ডাকসুর ব্যালট: সংখ্যায় বিশাল গরমিল, নির্বাচনে ঘাপলা ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ: আটক নেতা-কর্মীদের পাশে কেন্দ্রীয় যুবলীগ ১০৪ সদস্যের লটবহর নিয়ে ড. ইউনূসের নিউইয়র্ক সফর: জনগণের অর্থের শ্রাদ্ধ করে প্রাপ্তিযোগ কী? প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়ক ও উপদেষ্টাদের এলাকাপ্রীতিতে বঞ্চিত সমস্যাগ্রস্ত জেলার মানুষ ইউনূস আমলে ভিসা পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা, বিদেশি ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে অনেককে শান্তিপূর্ণ ভিন্নমত প্রকাশ ও সমাবেশের উপর দমন-পীড়ন মানবাধিকারের লঙ্ঘন ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৫% হারে বৈদেশিক ঋণ: সরকারের নতুন ‘অর্থনৈতিক ঝুঁকি’ নিয়ে উদ্বেগ থানায় পুলিশ কর্মকর্তার সামনেই দুই বিএনপি নেতার হাতে লাঞ্ছিত আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী পিপিআরসি জরিপ: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ৭০% মানুষের উদ্বেগ ও শঙ্কা কালীগঞ্জে হিন্দু নারী ধর্ষণ: মিমাংসার প্রস্তাবে রাজি না হলে গুম করার হুমকি ১০৪ সদস্যের লটবহর নিয়ে ড. ইউনূসের নিউইয়র্ক সফর: জনগণের অর্থের শ্রাদ্ধ করে প্রাপ্তিযোগ কী? দেশে থেমে গেছে বিনিয়োগ: সংকোচন, স্থবিরতা ও অনিশ্চয়তার দুষ্টচক্রে অর্থনীতি জাতিসংঘে ট্রাম্পের বক্তৃতার সময় ‘নাশকতার’ অভিযোগ: তদন্তের দাবি জেএফকের মতোই ড. ইউনুস একদিন সঙ্গীদের ছেড়ে দেশ থেকে পালাবেন! আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফেরার প্রত্যাশা বাড়ছে ‘অন্যায় চলতে থাকলে প্রতিক্রিয়া আসবেই’— মোহাম্মদ এ. আরাফাতের হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক অপশক্তির সাথে সম্পৃক্ত শিশু বক্তার দম্ভোক্তি: আমরা এখন আর আঞ্চলিক খেলোয়াড় না বন্ধ হচ্ছে সিইপিজেডের কারখানাগুলো: সংকট ধামাচাপায় সংবাদ প্রকাশে বাধা দিলেও দাবিয়ে রাখা যায়নি শ্রমিকদের অপহরণসহ সকল অপরাধ বেড়েছে কয়েক গুণ: ইউনূস-আমলে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি নিজ ভূখণ্ডে পাকি বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণ: নারী-শিশুসহ নিহত ৩০, অস্বীকার সরকারের