গতানুগতিকতা অতিক্রম করতে পারেনি – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৩ জুন, ২০২৫
     ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

আরও খবর

ভারত থেকে পোশাক কেনা স্থগিত করছে মার্কিন কোম্পানি

জুলাইয়ে আবারও বেড়েছে মূল্যস্ফীতি

শুল্ক ইস্যুতে বিশ্ববাজারে বাড়ল সোনার দাম

পোশাক রপ্তানি কমেছে ১২ শতাংশ

গাজীপু‌রের টঙ্গীতে একটি ট্রাভেল ব্যাগের মধ্যে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির খ‌ণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্টেশন রোডের সামনের রাস্তা থেকে ব‌্যাগের ভেতরে থাকা মরদেহ উদ্ধার ক‌রেন পূর্ব থানা পু‌লিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ট্রাভেল ব্যাগ পড়ে ছিল। প‌রে ব্যাগ‌টি দে‌খে স‌ন্দেহ হ‌লে পু‌লিশ‌কে খবর দেন তারা। পু‌লিশ জানায়, স্থানীয়রা ব্যাগ‌টি দে‌খে পু‌লিশ‌কে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাগ খুলে অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তির খ‌ণ্ডিত মরদেহ দেখতে পায়। ব্যাগটি শেষ রাতের কোনো এক সময় স্টেশন রোড এলাকায় দুর্বৃত্তরা ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

দেশে আজ কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ

আজকের স্বর্ণের দাম: ৭ আগস্ট ২০২৫

গতানুগতিকতা অতিক্রম করতে পারেনি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩ জুন, ২০২৫ | ৬:৩৯ 51 ভিউ
বাংলাদেশে জুন মাস ঘনিয়ে এলে মিডিয়ায় পরবর্তী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে বাজেটের অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। সরকারি কর্তৃপক্ষ জানতে চায় অংশীজনরা বাজেটে কী পরিবর্তন কামনা করেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে অতীত বছরের তুলনায় খুব কমই আলোচনা হয়েছে। এর কারণ সম্ভবত বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মনোযোগ নিবদ্ধ করেছে ক্রান্তিকালীন রাজনীতির ওপর। এই রাজনীতির মূল বিবেচ্য বিষয় হলো, ফ্যাসিবাদ থেকে গণতন্ত্রে কীভাবে উত্তরণ ঘটবে। বাজেট প্রণয়নে ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ ও কিছু সামাজিক গোষ্ঠীর সঙ্গে ডায়ালগ হলেও বাংলাদেশের বিশাল কৃষক-জনতার সঙ্গে অথবা তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো আলোচনা

অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য গড়ে ওঠেনি। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও বেদনাদায়ক। যে কৃষক সমাজ মজুরি পণ্য (wage good) উৎপাদন করে, তাদের সঙ্গে পরামর্শহীনতার সংস্কৃতি মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। বাংলাদেশে বাজেট আলোচনায় যে বিষয়টি উপেক্ষিত সেটি হলো বাজেট দর্শন। কী দর্শনের আলোকে এবং কোন ধরনের কল্যাণ অর্জনের লক্ষ্যে বাজেট প্রণীত হয় তা কদাচিৎই বর্ণিত হয়। এই অবহেলা কাকতালীয় অথবা ইচ্ছাকৃত তা বলা সহজ নয়। বস্তুত যখন কোনো কিছু লুকানোর প্রয়োজন হয়, তখনই সে বিষয়ে নীরবতা পালন করা হয়। বাজেটের আকার কত, বাজেটে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ কত, বাজেটে বিভিন্ন ধরনের করের তাৎপর্য কী, বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য কী-বিষয়গুলো নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ হলেও আমার কাছে মনে হয়,

বাজেটে এসব ব্যাপ্ত উদ্দেশ্যের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যয়ের গুণমান বাজেটে যে অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তা সঠিকভাবে ব্যয় করা হয়েছে কিনা, টার্গেট গ্রুপের কাছে বরাদ্দকৃত অর্থের বেনিফিট পৌঁছেছে কিনা এবং বরাদ্দকৃত অর্থ নিয়ে কারচুপি, জালিয়াতি ও দুর্নীতি হয়েছে কিনা-এসব বিষয় বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য বিশেষভাবে বিবেচ্য। বাজেটকেন্দ্রিক সুশাসন নিশ্চিত না হলে জনগণের করের টাকার সদ্ব্যবহার নিশ্চিতকরণ সম্ভব নয়। দেশে একটি অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগ থাকলেও এই বিভাগের পক্ষে ব্যষ্টিক পর্যায়ে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের গুণমান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। দেশে একটি সুষ্ঠু ও জনদরদি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ছাড়া বরাদ্দকৃত অর্থের ওপর দেখভাল সম্ভব

হবে না। এক্ষেত্রে মিডিয়া একটি ওয়াচ ডগের ভূমিকা পালন করতে পারে। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাবে গত অর্থবছরের চেয়ে বাজেটের আকার কমেছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ঢাউস আকারের বাজেট দেওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছিল। এখন আমরা বুঝতে পারি ঢাউস আকারের বাজেট কার্যত ঢাউস আকারের দুর্নীতির শামিল ছিল। সে সময় গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র অবকাঠামো নির্মাণে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয়ের জন্য কোনো ধরনের টেন্ডার আহ্বানের প্রয়োজন ছিল না। এই নীতির মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে আওয়ামী মস্তানরা বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে নেয়। এমন প্রেক্ষাপটে বাজেটের আকার সাত হাজার কোটি টাকা কমে যাওয়া কোনো

উদ্বেগের বিষয় নয়। বাজেটের আকার রাজস্ব সংগ্রহের সক্ষমতার ওপরও নির্ভর করে। বাংলাদেশে এই সক্ষমতা লজ্জাজনকভাবে খুবই দুর্বল। এবার রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর জোগান দেবে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৮৮.৪৭ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে আসবে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা মোট লক্ষ্যমাত্রার ১১.৫৩ শতাংশ। এখন দেখার বিষয় কতটা দক্ষতার সঙ্গে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়াস চালানো হবে। অতীত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা বলে, এই প্রয়াস কখনোই সফল হয়নি। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৩.৬২ ভাগ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ থেকে আসবে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা যা মোট

ঘাটতির ৫৫.৩ শতাংশ। আর বিদেশি ঋণ থেকে আসবে এক লাখ এক হাজার কোটি টাকা বা ৪৪.৭ শতাংশ। যদিও ঘাটতি বাজেট অর্থনৈতিক বিচারে নিয়মবহির্ভূত কিছু নয়, তবুও ঘাটতি অর্থায়ন সীমিত রাখা মূল্যস্ফীতি রোধ ও প্রকৃত খরচের সংকুলান করার জন্য প্রয়োজন। প্রতিবছরের বাজেটে একটি বড় অঙ্কের টাকা চলে যায় ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে। এর ফলে বাজেটে উল্লিখিত বরাদ্দের একটি অংশ প্রত্যক্ষভাবে জনকল্যাণে আসে না। নতুন বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১০ থেকে ২০ ভাগ মহার্ঘ-ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্যমান অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের সময় মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ঘোষণা অভিনন্দনযোগ্য। তবে অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ঘোষণার পরপরই বাজারে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ে।

বাজেট বাস্তবায়নে লক্ষ্য রাখতে হবে মহার্ঘ-ভাতা থেকে প্রাপ্ত সুবিধা যেন মূল্যস্ফীতির তোড়ে হারিয়ে না যায়। ঘোষিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি সহনশীল পর্যায়ে রাখার ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে তা কতটুকু সম্ভব হবে সেটি নিয়ে সন্দেহ পোষণের সুযোগ রয়েছে। ঘোষিত বাজেটে পুঁজিবাজারকে চাঙা করার জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো কাঠামোগতভাবে ভেঙে পড়া পুঁজিবাজারকে এসব প্রণোদনার মাধ্যমে কতটা চাঙা করা সম্ভব হবে। অর্থ উপদেষ্টা কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে না আগে বললেও গত বছরের মতো এবারও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে। এ সুযোগের ব্যবহার সামান্যই হয় এবং এটি অনৈতিকও বটে। প্রকৃত মূল্যে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিতে করহার হ্রাস করা একটি সৃজনশীল উদ্যোগ। করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ ৫০ হাজার টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আশা করা গিয়েছিল, করমুক্ত আয়সীমা আরও বর্ধিত করে মূল্যস্ফীতির বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে কিছুটা স্বস্তি প্রদান করা হবে, তা হয়নি। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকার প্রায় ৯৫ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারে, যা মোট বাজেটের ১২.১৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৯০ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা, যা ছিল মোট বাজেটের ১১.৩৫ শতাংশ। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় হ্রাস মোটেও অভিনন্দনযোগ্য নয়। তবে এ খাতের অন্তর্নিহিত দুর্নীতি রোধ করতে পারলে প্রকৃত অর্থেও অধিকতর কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব। তবে এ ধরনের উচ্চাশা না করাই শ্রেয়। সবমিলিয়ে ঘোষিত বাজেটটি গতানুগতিক। সম্ভবত দেশের অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় নিয়ে বৃহত্তর আকারের বাজেটের ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থেকেছেন অর্থ উপদেষ্টা। আশা করব, ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে বাজেট প্রণয়নে Quality of expenditure-এর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অল্পস্বল্প গাঁজা সেবনে মিলবে ছাড়! ট্রাম্পই তা চাইছেন? ঘনিষ্ঠ মহলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে জল্পনা ট্রাম্পের ‘ডেটিং’ প্রস্তাব নিয়ে মুখ খুললেন এমা থম্পসন গণশুনানিতে দুদক চেয়ারম্যানকে জুতা নিক্ষেপ করে ‘ক্ষোভ ঝারলেন’ বৃদ্ধ ‘শিক্ষার্থীরা হলে এআই ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছে, প্রিন্সিপাল বসে চা খাচ্ছেন’ পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনেরসন মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৪৮ চাঁদাবাজির মামলায় মোজাম্মেল বাবু গ্রেপ্তার প্রাণনাসের হুমকিতে ফুলবাড়ীতে ১৩ বছর ধরে অনাবাদি জমি দুর্গাপুরে হত্যাকাণ্ডের জেরে ফের হামলায় নিহত ১ যুবককে তিন টুকরো করে খালে ফেলে দিলো দম্পতি ভুয়া তথ্য দিয়ে ভাইরাল আনিসা, পরীক্ষায় বসতে দেবে না বোর্ড সারাদিন মোটরসাইকেলে ঘুরিয়ে রাতে ছেলেকে পুকুরে ফেলে দিলেন বাবা ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমেছে হলে রাজনীতি বিরোধিতার পেছনে নিপীড়নের স্মৃতি ও নতুন তৎপরতা হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টাদের সততার ওপরের পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করল বিএনপি রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে ১১০০ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার সিঙ্গাপুরের সামনে যত চ্যালেঞ্জ গাজীপুরে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এনসিপি নেতার পদত্যাগ