ঈদের বেতন-বোনাস দেয়নি ৭ কারখানা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ঈদের বেতন-বোনাস দেয়নি ৭ কারখানা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৩১ 41 ভিউ
প্রায় শতভাগ কারখানায় ঈদের বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটির তথ্য মতে, সদস্যভুক্ত ২ হাজার ১০৭টি কারখানার মধ্যে মাত্র ৭টি কারখানায় ঈদের বেতন-বোনাস দেওয়া বাকি আছে। এসব কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে শ্রম ভবনের সামনে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি ছুটির দিনে জরুরি বৈঠক করে শ্রম ভবনের কর্মকর্তারা। বৈঠকে শ্রমিকদের বেতন না দেওয়া পর্যন্ত কারখানার শীর্ষ ৩ কর্মকর্তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রাখা এবং বেতন হিসাবে ৩ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার শ্রম ভবনের সামনে বিক্ষোভরত টিএনজেড অ্যাপারেলের অপারেটর লালমনিরহাটের নাজমুল মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন,

কারখানায় কাজ থাকলেও ৩ মাসের বেতন দেয়নি মালিক। বারবার তারিখ দিলেও এখনো বেতন পাইনি। মালিক হয় সৌদি আরব থাকেন অথবা কানাডায় থাকেন। ওইখানে তার ব্যবসা আছে। ১১ বছর ধরে এই কারখানায় কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসাবে চাকরি করেন সুমন আহমেদ। তিনি বলেন, গত ৩ বছর ধরে বেতন-ভাতা নিয়ে গড়িমসি চলছে। কেউ ধার করে চলছে, কেউ গ্রামের বাড়ি থেকে টাকা এনে সংসার চালাচ্ছে। সাদিকুর রহমান নামের আরেক শ্রমিক বলেন, প্রতি মাসে ২০ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও দিত ৩০ তারিখ। তাও ৭ দিন কারখানা বন্ধ রেখে আন্দোলন করে বেতন আদায় করতে হয়েছে। কারও ২ মাস, কারও ৩ মাস আবার কোনো কোনো শ্রমিকের

এখনো ২০২৩ সালের বেতন বকেয়া আছে। এদিকে টিএনজেড গ্রুপের ৩টি কারখানার বেতন-পরিস্থিতি নিয়ে শ্রম ভবনে শ্রম সচিবের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কারখানা প্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের শ্রম সচিব বলেন, টিএনজেডের মালিকরা ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য তাদের কিছু মেশিন বিক্রি করে ৩ কোটি টাকার ব্যবস্থা করতে সম্মত হয়েছেন। টাকা আজকের মধ্যে শ্রমিকদের বিকাশ একাউন্টে পাঠানো হবে। অন্যদিকে কোম্পানির তিন প্রতিনিধি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে থাকবেন। এরা হলেন-গ্রুপ ডিরেক্টর শরিফুল ইসলাম শামিন; নির্বাহী পরিচালক আলী হোসেন এবং গ্রুপ সিএইচও এনামুল হক। তবে টিএনজেডের কর্মীরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, শ্রমিকরা যদি

ঈদ উদযাপন করতে না পারেন, তাহলে কারখানার কর্মকর্তাদেরও ঈদ উদযাপন করতে দেওয়া হবে না। টিএনজেডের মালিক দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বসবাস করছেন এবং তিনি দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত তিন কর্মকর্তাকে হেফাজতে রাখা হবে। শ্রম সচিব আরও বলেন, ঈদের ছুটির পরে ৮ এপ্রিল টিএনজেড গ্রুপের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আরেকটি বৈঠক করা হবে। মে দিবসের আগে নিশ্চিতভাবেই টিএনজেড সমস্যার সমাধান হবে। বৈঠকের পরে টিএনজেড অ্যাপারেলসের কাটিং অপারেটর শহীদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাদের সমস্ত বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে ঈদের দিনও শ্রম ভবনের সামনে বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে শ্রমিকরা। প্রসঙ্গত, টিএনজেড

গ্রুপের তিনটি ইউনিট টিএনজেড অ্যাপারেল, অ্যাপারেল ইকো প্লাস ও অ্যাপারেল আর্টে ৩ হাজারের বেশি শ্রমিকের মোট ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। শ্রমিক নেতারা বলছেন, বিজিএমইএ’র তরফ থেকে প্রায় শতভাগ কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি করা হচ্ছে, যা আদৌও সঠিক নয়। অনেক কারখানা শ্রমিকের বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে। শনিবারও কয়েকটি কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের স্বার্থে যথাযথ উদ্যোগ নিলে এমন পরিস্থিতি হতো না। তারা অতীতের ন্যায় এবারও মালিকের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। বিজিএমইএ’র তথ্য মতে, যেসব কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া হয়নি, সেগুলো হচ্ছে- টিএনজেড অ্যাপারেলস, অ্যাপারেলস প্লাস

ইকো লিমিটেড, বেসিক ক্লোথিং, বেসিক নিট লিমিটেড, সাইন অ্যাপারেলস, হাগ অ্যাপারেল ও রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ইরানের এক হামলায় ইসরাইলের ৩০ বৈমানিক নিহত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, ১৪৪ ধারা জারি পলাতক ৮ আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পদত্যাগ করলেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিন তদন্ত কমিশনের তিন সদস্য গাজায় ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে নিহত ২১ ফিলিপাইনে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এআই ও ভুয়া তথ্য যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা সকল দায় ঢাকার ওপর চাপাতে চায় জাতিসংঘ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের মোহাম্মদপুরের গ্যাং প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৪২ সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মামদানির জয়ে নিউইয়র্কের আবাসন খাতে আতঙ্ক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে বিভক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন