ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা
ইউনূস সরকারের আমলে বাড়ছে অপরাধ, বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতাঃ অক্টোবরে ৫% বৃদ্ধি
১০ই নভেম্বর, শহিদ নূর হোসেন দিবসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক বিচার বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি
ইউনুস সরকারের মুখপাত্রের মন্তব্যে ক্ষোভ — ক্ষমা চাইতে বললেন প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া
সরকারি সফরে পাকিস্তান গিয়ে অতিরিক্ত দিন অবস্থান, আলোচনায় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
আওয়ামী লীগকে ফাঁসাতে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্র।
ঈদের বেতন-বোনাস দেয়নি ৭ কারখানা
প্রায় শতভাগ কারখানায় ঈদের বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটির তথ্য মতে, সদস্যভুক্ত ২ হাজার ১০৭টি কারখানার মধ্যে মাত্র ৭টি কারখানায় ঈদের বেতন-বোনাস দেওয়া বাকি আছে। এসব কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে শ্রম ভবনের সামনে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি ছুটির দিনে জরুরি বৈঠক করে শ্রম ভবনের কর্মকর্তারা। বৈঠকে শ্রমিকদের বেতন না দেওয়া পর্যন্ত কারখানার শীর্ষ ৩ কর্মকর্তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রাখা এবং বেতন হিসাবে ৩ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শনিবার শ্রম ভবনের সামনে বিক্ষোভরত টিএনজেড অ্যাপারেলের অপারেটর লালমনিরহাটের নাজমুল মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন,
কারখানায় কাজ থাকলেও ৩ মাসের বেতন দেয়নি মালিক। বারবার তারিখ দিলেও এখনো বেতন পাইনি। মালিক হয় সৌদি আরব থাকেন অথবা কানাডায় থাকেন। ওইখানে তার ব্যবসা আছে। ১১ বছর ধরে এই কারখানায় কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসাবে চাকরি করেন সুমন আহমেদ। তিনি বলেন, গত ৩ বছর ধরে বেতন-ভাতা নিয়ে গড়িমসি চলছে। কেউ ধার করে চলছে, কেউ গ্রামের বাড়ি থেকে টাকা এনে সংসার চালাচ্ছে। সাদিকুর রহমান নামের আরেক শ্রমিক বলেন, প্রতি মাসে ২০ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও দিত ৩০ তারিখ। তাও ৭ দিন কারখানা বন্ধ রেখে আন্দোলন করে বেতন আদায় করতে হয়েছে। কারও ২ মাস, কারও ৩ মাস আবার কোনো কোনো শ্রমিকের
এখনো ২০২৩ সালের বেতন বকেয়া আছে। এদিকে টিএনজেড গ্রুপের ৩টি কারখানার বেতন-পরিস্থিতি নিয়ে শ্রম ভবনে শ্রম সচিবের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কারখানা প্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের শ্রম সচিব বলেন, টিএনজেডের মালিকরা ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য তাদের কিছু মেশিন বিক্রি করে ৩ কোটি টাকার ব্যবস্থা করতে সম্মত হয়েছেন। টাকা আজকের মধ্যে শ্রমিকদের বিকাশ একাউন্টে পাঠানো হবে। অন্যদিকে কোম্পানির তিন প্রতিনিধি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে থাকবেন। এরা হলেন-গ্রুপ ডিরেক্টর শরিফুল ইসলাম শামিন; নির্বাহী পরিচালক আলী হোসেন এবং গ্রুপ সিএইচও এনামুল হক। তবে টিএনজেডের কর্মীরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, শ্রমিকরা যদি
ঈদ উদযাপন করতে না পারেন, তাহলে কারখানার কর্মকর্তাদেরও ঈদ উদযাপন করতে দেওয়া হবে না। টিএনজেডের মালিক দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বসবাস করছেন এবং তিনি দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত তিন কর্মকর্তাকে হেফাজতে রাখা হবে। শ্রম সচিব আরও বলেন, ঈদের ছুটির পরে ৮ এপ্রিল টিএনজেড গ্রুপের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আরেকটি বৈঠক করা হবে। মে দিবসের আগে নিশ্চিতভাবেই টিএনজেড সমস্যার সমাধান হবে। বৈঠকের পরে টিএনজেড অ্যাপারেলসের কাটিং অপারেটর শহীদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাদের সমস্ত বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে ঈদের দিনও শ্রম ভবনের সামনে বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে শ্রমিকরা। প্রসঙ্গত, টিএনজেড
গ্রুপের তিনটি ইউনিট টিএনজেড অ্যাপারেল, অ্যাপারেল ইকো প্লাস ও অ্যাপারেল আর্টে ৩ হাজারের বেশি শ্রমিকের মোট ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। শ্রমিক নেতারা বলছেন, বিজিএমইএ’র তরফ থেকে প্রায় শতভাগ কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি করা হচ্ছে, যা আদৌও সঠিক নয়। অনেক কারখানা শ্রমিকের বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে। শনিবারও কয়েকটি কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের স্বার্থে যথাযথ উদ্যোগ নিলে এমন পরিস্থিতি হতো না। তারা অতীতের ন্যায় এবারও মালিকের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। বিজিএমইএ’র তথ্য মতে, যেসব কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া হয়নি, সেগুলো হচ্ছে- টিএনজেড অ্যাপারেলস, অ্যাপারেলস প্লাস
ইকো লিমিটেড, বেসিক ক্লোথিং, বেসিক নিট লিমিটেড, সাইন অ্যাপারেলস, হাগ অ্যাপারেল ও রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড।
কারখানায় কাজ থাকলেও ৩ মাসের বেতন দেয়নি মালিক। বারবার তারিখ দিলেও এখনো বেতন পাইনি। মালিক হয় সৌদি আরব থাকেন অথবা কানাডায় থাকেন। ওইখানে তার ব্যবসা আছে। ১১ বছর ধরে এই কারখানায় কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসাবে চাকরি করেন সুমন আহমেদ। তিনি বলেন, গত ৩ বছর ধরে বেতন-ভাতা নিয়ে গড়িমসি চলছে। কেউ ধার করে চলছে, কেউ গ্রামের বাড়ি থেকে টাকা এনে সংসার চালাচ্ছে। সাদিকুর রহমান নামের আরেক শ্রমিক বলেন, প্রতি মাসে ২০ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও দিত ৩০ তারিখ। তাও ৭ দিন কারখানা বন্ধ রেখে আন্দোলন করে বেতন আদায় করতে হয়েছে। কারও ২ মাস, কারও ৩ মাস আবার কোনো কোনো শ্রমিকের
এখনো ২০২৩ সালের বেতন বকেয়া আছে। এদিকে টিএনজেড গ্রুপের ৩টি কারখানার বেতন-পরিস্থিতি নিয়ে শ্রম ভবনে শ্রম সচিবের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কারখানা প্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের শ্রম সচিব বলেন, টিএনজেডের মালিকরা ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য তাদের কিছু মেশিন বিক্রি করে ৩ কোটি টাকার ব্যবস্থা করতে সম্মত হয়েছেন। টাকা আজকের মধ্যে শ্রমিকদের বিকাশ একাউন্টে পাঠানো হবে। অন্যদিকে কোম্পানির তিন প্রতিনিধি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে থাকবেন। এরা হলেন-গ্রুপ ডিরেক্টর শরিফুল ইসলাম শামিন; নির্বাহী পরিচালক আলী হোসেন এবং গ্রুপ সিএইচও এনামুল হক। তবে টিএনজেডের কর্মীরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, শ্রমিকরা যদি
ঈদ উদযাপন করতে না পারেন, তাহলে কারখানার কর্মকর্তাদেরও ঈদ উদযাপন করতে দেওয়া হবে না। টিএনজেডের মালিক দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বসবাস করছেন এবং তিনি দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত তিন কর্মকর্তাকে হেফাজতে রাখা হবে। শ্রম সচিব আরও বলেন, ঈদের ছুটির পরে ৮ এপ্রিল টিএনজেড গ্রুপের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আরেকটি বৈঠক করা হবে। মে দিবসের আগে নিশ্চিতভাবেই টিএনজেড সমস্যার সমাধান হবে। বৈঠকের পরে টিএনজেড অ্যাপারেলসের কাটিং অপারেটর শহীদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাদের সমস্ত বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে ঈদের দিনও শ্রম ভবনের সামনে বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে শ্রমিকরা। প্রসঙ্গত, টিএনজেড
গ্রুপের তিনটি ইউনিট টিএনজেড অ্যাপারেল, অ্যাপারেল ইকো প্লাস ও অ্যাপারেল আর্টে ৩ হাজারের বেশি শ্রমিকের মোট ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। শ্রমিক নেতারা বলছেন, বিজিএমইএ’র তরফ থেকে প্রায় শতভাগ কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি করা হচ্ছে, যা আদৌও সঠিক নয়। অনেক কারখানা শ্রমিকের বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে। শনিবারও কয়েকটি কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের স্বার্থে যথাযথ উদ্যোগ নিলে এমন পরিস্থিতি হতো না। তারা অতীতের ন্যায় এবারও মালিকের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। বিজিএমইএ’র তথ্য মতে, যেসব কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া হয়নি, সেগুলো হচ্ছে- টিএনজেড অ্যাপারেলস, অ্যাপারেলস প্লাস
ইকো লিমিটেড, বেসিক ক্লোথিং, বেসিক নিট লিমিটেড, সাইন অ্যাপারেলস, হাগ অ্যাপারেল ও রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড।



