ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে ভোট: মির্জা ফখরুল
সেই তাহেরীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না: ভারতকে ডা. শফিকুর রহমান
‘আওয়ামী লীগ দালাল না, ভারতেরই সরকার ছিল’
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি
খুলনায় ‘অনুকূল’ পরিবেশে দল গোছাচ্ছে জামায়াত
ইসলামি দলগুলোর ঐক্যই বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি: মুফতি ফয়জুল করিম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, দেশের মানুষ এখন বিএনপি-আওয়ামী লীগের বাইরে বিকল্প কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। ইসলামি দলগুলোর ঐক্যই হবে সেই বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি। ইসলাম, মানবতা ও দেশ-এ তিন তত্ত্বের ভিত্তিতে আমরা সেই ঐক্যের প্রত্যাশায় রয়েছি। আমাদের ভেতরে আলোচনাও চলছে। ইনশাআল্লাহ, খুব শিগ্গিরই আপনারা সুখবর পাবেন। তিনি রোববার এসব কথা বলেন চরমোনাই পিরের দল হিসাবে পরিচিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই শীর্ষ নেতা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং আগস্ট বিপ্লব-পরবর্তী নানা বিষয় নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বরিশাল ব্যুরোপ্রধান আকতার ফারুক শাহিন।
প্রশ্নকর্তা : ইতঃপূর্বের নিরপেক্ষ নির্বাচনগুলোয় দেখা গেছে,
প্রাপ্ত ভোটের ৮০-৮৫ শতাংশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। সেখানে ইসলামি দলগুলোর ঐক্য বিকল্প শক্তি হিসাবে কতটুকু শক্তিশালী হবে? ফয়জুল করিম : ৫ আগস্টের আগে যদি সুষ্ঠু একটা নির্বাচন হতো, তাহলে চোখ বন্ধ করে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেত বিএনপি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাদের সেই জনসমর্থন এখন আর নেই। কেন নেই, তা আপনারাও জানেন। ঘুরেফিরে বিএনপি আর আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছে না দেশের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো দেখুন, এখন তো আর মতপ্রকাশে বাধা নেই। সাধারণ মানুষ কী কী মন্তব্য করছে। তারা এক ফ্যাসিস্টকে তাড়িয়ে আরেকটিকে ক্ষমতায় আনতে চায় না। আগস্টের লড়াই কারা করেছে? এদেশের ছাত্র-জনতা। তারা কী চায়? সবাই চায় একটি
দুর্নীতিমুক্ত দেশ। যেখানে লুটপাট থাকবে না, অবৈধ দখল থাকবে না, হামলা-ভাঙচুর থাকবে না। দেশ চলবে আইনের শাসনে। পুলিশ ও বিচার বিভাগ হবে ন্যায়ভিত্তিক। অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কি এগুলো নিশ্চিত করতে পেরেছে? একটা কথা মনে রাখবেন-সাতচল্লিশের দেশবিভাগের সময় এদেশের মানুষ যেমন পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, তেমনই সত্তরের নির্বাচনে তারাই আবার পশ্চিম পাকিস্তানকে ‘না’ বলে দিয়েছে। ২০/২৫ বছর আগে ভোটের পরিসখ্যান কী ছিল, তা বর্তমানের সঙ্গে মেলালে চলবে না। ২০০৮ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ৫৩ বছরের অপশাসনে অতিষ্ঠ মানুষ তাই বিকল্প চায়। সব সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে, এমন একটা ইসলামি শাসনভিত্তিক দেশ দেখান, যেখানে
এমন একটা অভিযোগ আছে? দেশের মানুষ যেমন চাইছে তৃতীয় কারও হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে পরখ করতে, তেমনই আমরাও চাইছি সাধারণ জনগণকে দেখাতে যে একমাত্র ইসলামই পারে সব ধর্ম আর মতের মানুষকে শান্তি-সমৃদ্ধি দিতে।’ প্রশ্নকর্তা : জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক মধুর ছিল না। তাদের সঙ্গে ঐক্য হবে কি না? ফয়জুল করিম : আমরা তো স্পষ্ট করেই বলেছি, ইসলাম, মানবতা ও দেশ-এ তিন ইস্যুতে একমত সবার সঙ্গেই ঐক্য হবে আমাদের। ইসলামি দলগুলো এ তিন আদর্শের বাইরে নয় বলে বিশ্বাস করি। প্রশ্নকর্তা : এ ধারণায় কি বিএনপির সঙ্গে ঐক্য হতে পারে? ফয়জুল করিম : বিএনপি যদি বলে, ক্ষমতায় গিয়ে ইসলাম ও শরিয়াবিরোধী কোনো আইন পাশ
করবে না এবং ইসলাম ও শরিয়াবিরোধী যেসব আইন আছে, তা পর্যায়ক্রমে বাতিল করবে; তাহলে তাদের সঙ্গে ঐক্যে বাধা কোথায়? আমরা আসলে বিগত সময়ে ক্ষমতায় থাকা দলগুলোর কার্যক্রমে কোনো পার্থক্য খুঁজে না পেয়ে হতাশায় ভুগছি। দেশের মানুষও এ হতাশার বাইরে নয়। প্রশ্নকর্তা : সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চাচ্ছেন কেন? ফয়জুল করিম : ১৬ বছর আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশই দেশে প্রথম সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছিল। দেখেন, দেশে এমন অনেক রাজনৈতিক দল আছে, যারা আসনভিত্তিক পদ্ধতিতে ভোটের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকে। অথচ দেশের জন্য তাদেরও অনেক কিছু করার আছে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে মোট ভোটের ভিত্তিতে তারাও সংসদে গিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবে। প্রশ্নকর্তা : সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে
নির্বাচন না হলে কী করবেন? ফয়জুল করিম : সেটা নিয়ে তো কাজ চলছে, ইসলামি দলগুলোর এক প্ল্যাটফরমে আসা। এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের শাসন যেমন দেখেছে, তেমনই বিএনপির শাসনও দেখেছে। দুটোই ফ্যাসিস্টের আলাদা রূপ। আওয়ামী লীগ আমলে যেমন লুটপাট, খুন, জখম, গুম, হামলা, মিথ্যা মামলা, মারধর, নির্যাতন হয়েছে; তেমনই বিএনপির শাসনও কিন্তু সুখকর ছিল না। আজ দেখুন দেশের মানুষ চাইছে বিকল্প কোনো রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতায় আসুক। স্বাধীনতা-পরবর্তী ৫৩ বছর মানুষ যাদের ওপর ভরসা করেছে, তারা সবাই হতাশ করেছে। প্রশ্নকর্তা : যদি ঐক্য বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন কোনোটিই না হয়? ফয়জুল করিম : সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের তিনশ আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের। প্রশ্নকর্তা :
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি প্রসঙ্গে কী বলেন? ফয়জুল করিম : কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে আমি নই। তবে গণহত্যা, গুম, খুন আর ফ্যাসিস্টের চরম রূপ নিয়ে যদি কোনো দল প্রতিষ্ঠিত হয়; তাহলে সেই দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকে না। এমনটা আমি করলে আমার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। প্রশ্নকর্তা : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন, সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে আপনার মত কী? ফয়জুল করিম : তাদের চেষ্টা আছে ভালো কিছু করার। আমরা সেটিকে সমর্থন যেমন করছি, তেমনই নির্বাচনের ভাবনা থেকেও বেরিয়ে আসছি না। প্রয়োজনীয়, যুক্তিযুক্ত সব সংস্কার সম্পন্ন করে তারা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় যাবে, এটাই চাওয়া। এটাও তো মানতে হবে যে ১৬/১৭ বছরের জঞ্জাল এক ফুঁতে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। বর্তমানে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন, তাদের ওপর ভরসা আছে। তাড়াহুড়োর কিছু নেই। তবে এখনো যারা ফ্যাসিবাদী ভাবনায় আছেন, তাদের নিয়ে শঙ্কা আছে আমাদের। ফ্যাসিস্ট সরকারের রেখে যাওয়া রাষ্ট্রপতি এখনো আসীন। তাকে সরানোর আলোচনা যখন উঠল, তখন দেখা গেল বিরোধিতা। ফ্যাসিস্টদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতেও বিরোধিতা দেখেছি। ৫৩ বছর পর যখন দেশকে সঠিক পথে আনার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে, তখন সেই সুযোগকে সহায়তা না দিয়ে তড়িঘড়ি ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টাও দেখছি। এর কোনোটিই কিন্তু দেশ কিংবা দেশের মানুষের জন্য ভালো নয়। এসব চেষ্টা পুনরায় ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার লক্ষণ। আমরা এ শঙ্কার জায়গা থেকে বের হতে চাই। আমরা চাই-দেশ ইসলাম, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি আর মানবাধিকার নিশ্চিত করে এগিয়ে যাক। সেজন্য যা করা দরকার, তা করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
প্রাপ্ত ভোটের ৮০-৮৫ শতাংশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। সেখানে ইসলামি দলগুলোর ঐক্য বিকল্প শক্তি হিসাবে কতটুকু শক্তিশালী হবে? ফয়জুল করিম : ৫ আগস্টের আগে যদি সুষ্ঠু একটা নির্বাচন হতো, তাহলে চোখ বন্ধ করে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেত বিএনপি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাদের সেই জনসমর্থন এখন আর নেই। কেন নেই, তা আপনারাও জানেন। ঘুরেফিরে বিএনপি আর আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছে না দেশের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো দেখুন, এখন তো আর মতপ্রকাশে বাধা নেই। সাধারণ মানুষ কী কী মন্তব্য করছে। তারা এক ফ্যাসিস্টকে তাড়িয়ে আরেকটিকে ক্ষমতায় আনতে চায় না। আগস্টের লড়াই কারা করেছে? এদেশের ছাত্র-জনতা। তারা কী চায়? সবাই চায় একটি
দুর্নীতিমুক্ত দেশ। যেখানে লুটপাট থাকবে না, অবৈধ দখল থাকবে না, হামলা-ভাঙচুর থাকবে না। দেশ চলবে আইনের শাসনে। পুলিশ ও বিচার বিভাগ হবে ন্যায়ভিত্তিক। অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কি এগুলো নিশ্চিত করতে পেরেছে? একটা কথা মনে রাখবেন-সাতচল্লিশের দেশবিভাগের সময় এদেশের মানুষ যেমন পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, তেমনই সত্তরের নির্বাচনে তারাই আবার পশ্চিম পাকিস্তানকে ‘না’ বলে দিয়েছে। ২০/২৫ বছর আগে ভোটের পরিসখ্যান কী ছিল, তা বর্তমানের সঙ্গে মেলালে চলবে না। ২০০৮ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ৫৩ বছরের অপশাসনে অতিষ্ঠ মানুষ তাই বিকল্প চায়। সব সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে, এমন একটা ইসলামি শাসনভিত্তিক দেশ দেখান, যেখানে
এমন একটা অভিযোগ আছে? দেশের মানুষ যেমন চাইছে তৃতীয় কারও হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে পরখ করতে, তেমনই আমরাও চাইছি সাধারণ জনগণকে দেখাতে যে একমাত্র ইসলামই পারে সব ধর্ম আর মতের মানুষকে শান্তি-সমৃদ্ধি দিতে।’ প্রশ্নকর্তা : জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক মধুর ছিল না। তাদের সঙ্গে ঐক্য হবে কি না? ফয়জুল করিম : আমরা তো স্পষ্ট করেই বলেছি, ইসলাম, মানবতা ও দেশ-এ তিন ইস্যুতে একমত সবার সঙ্গেই ঐক্য হবে আমাদের। ইসলামি দলগুলো এ তিন আদর্শের বাইরে নয় বলে বিশ্বাস করি। প্রশ্নকর্তা : এ ধারণায় কি বিএনপির সঙ্গে ঐক্য হতে পারে? ফয়জুল করিম : বিএনপি যদি বলে, ক্ষমতায় গিয়ে ইসলাম ও শরিয়াবিরোধী কোনো আইন পাশ
করবে না এবং ইসলাম ও শরিয়াবিরোধী যেসব আইন আছে, তা পর্যায়ক্রমে বাতিল করবে; তাহলে তাদের সঙ্গে ঐক্যে বাধা কোথায়? আমরা আসলে বিগত সময়ে ক্ষমতায় থাকা দলগুলোর কার্যক্রমে কোনো পার্থক্য খুঁজে না পেয়ে হতাশায় ভুগছি। দেশের মানুষও এ হতাশার বাইরে নয়। প্রশ্নকর্তা : সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চাচ্ছেন কেন? ফয়জুল করিম : ১৬ বছর আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশই দেশে প্রথম সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছিল। দেখেন, দেশে এমন অনেক রাজনৈতিক দল আছে, যারা আসনভিত্তিক পদ্ধতিতে ভোটের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকে। অথচ দেশের জন্য তাদেরও অনেক কিছু করার আছে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে মোট ভোটের ভিত্তিতে তারাও সংসদে গিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবে। প্রশ্নকর্তা : সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে
নির্বাচন না হলে কী করবেন? ফয়জুল করিম : সেটা নিয়ে তো কাজ চলছে, ইসলামি দলগুলোর এক প্ল্যাটফরমে আসা। এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের শাসন যেমন দেখেছে, তেমনই বিএনপির শাসনও দেখেছে। দুটোই ফ্যাসিস্টের আলাদা রূপ। আওয়ামী লীগ আমলে যেমন লুটপাট, খুন, জখম, গুম, হামলা, মিথ্যা মামলা, মারধর, নির্যাতন হয়েছে; তেমনই বিএনপির শাসনও কিন্তু সুখকর ছিল না। আজ দেখুন দেশের মানুষ চাইছে বিকল্প কোনো রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতায় আসুক। স্বাধীনতা-পরবর্তী ৫৩ বছর মানুষ যাদের ওপর ভরসা করেছে, তারা সবাই হতাশ করেছে। প্রশ্নকর্তা : যদি ঐক্য বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন কোনোটিই না হয়? ফয়জুল করিম : সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের তিনশ আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের। প্রশ্নকর্তা :
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি প্রসঙ্গে কী বলেন? ফয়জুল করিম : কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে আমি নই। তবে গণহত্যা, গুম, খুন আর ফ্যাসিস্টের চরম রূপ নিয়ে যদি কোনো দল প্রতিষ্ঠিত হয়; তাহলে সেই দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকে না। এমনটা আমি করলে আমার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। প্রশ্নকর্তা : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন, সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে আপনার মত কী? ফয়জুল করিম : তাদের চেষ্টা আছে ভালো কিছু করার। আমরা সেটিকে সমর্থন যেমন করছি, তেমনই নির্বাচনের ভাবনা থেকেও বেরিয়ে আসছি না। প্রয়োজনীয়, যুক্তিযুক্ত সব সংস্কার সম্পন্ন করে তারা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় যাবে, এটাই চাওয়া। এটাও তো মানতে হবে যে ১৬/১৭ বছরের জঞ্জাল এক ফুঁতে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। বর্তমানে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন, তাদের ওপর ভরসা আছে। তাড়াহুড়োর কিছু নেই। তবে এখনো যারা ফ্যাসিবাদী ভাবনায় আছেন, তাদের নিয়ে শঙ্কা আছে আমাদের। ফ্যাসিস্ট সরকারের রেখে যাওয়া রাষ্ট্রপতি এখনো আসীন। তাকে সরানোর আলোচনা যখন উঠল, তখন দেখা গেল বিরোধিতা। ফ্যাসিস্টদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতেও বিরোধিতা দেখেছি। ৫৩ বছর পর যখন দেশকে সঠিক পথে আনার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে, তখন সেই সুযোগকে সহায়তা না দিয়ে তড়িঘড়ি ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টাও দেখছি। এর কোনোটিই কিন্তু দেশ কিংবা দেশের মানুষের জন্য ভালো নয়। এসব চেষ্টা পুনরায় ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার লক্ষণ। আমরা এ শঙ্কার জায়গা থেকে বের হতে চাই। আমরা চাই-দেশ ইসলাম, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি আর মানবাধিকার নিশ্চিত করে এগিয়ে যাক। সেজন্য যা করা দরকার, তা করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।