ইজতেমা শেষে ফিরতি যাত্রায় বিড়ম্বনা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইজতেমা শেষে ফিরতি যাত্রায় বিড়ম্বনা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৩:৩৪ 109 ভিউ
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। মোনাজাত শেষে ঘরে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে ফিরতি যাত্রায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন ঘরে ফেরারা। গাড়ি না পেয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনেক মুসল্লি। অনেকে আবার পিকআপ, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে যাচ্ছেন গন্তব্যস্থলে। গাড়ি না পেয়ে কেউ কেউ পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন। রোববার সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হয়ে আখেরি মোনাজাত। শেষ হয় ৯টা ৩৫ মিনিটে। মোনাজাত শেষেই ফিরতে শুরু করে মুসল্লিরা। একসঙ্গে লাখ লাখ মানুষের যাত্রার ফলে সড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট। টঙ্গী স্টেশনে ফিরতি যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছিল ট্রেন। সেই ট্রেনে উঠতে মুসল্লিদের জীবনবাজির লড়াইও দেখা

গেছে। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে ছাদ ও দরজা-জানালায় ঝুলে গন্তব্যে ফিরছেন মুসল্লিরা। এ সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, একপর্যায়ে মানুষের জন্য ট্রেনই দেখা যাচ্ছিল না। এদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আশুলিয়া সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ফিরতি মুসল্লিদের বিড়ম্বনা ও কষ্টের সীমা ছিল না। আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে সকাল থেকে মুসল্লিরা আসতে থাকে ইজতেমা মাঠে। জায়গা না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মোনাজাতে অংশ নেন অনেকে। আর মোনাজাত শেষে সেখান থেকেই ফিরতে থাকেন তারা। মোনাজাতের পর সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও করেছেন অনেক মুসল্লি। সিলেট থাকা মুসল্লি আব্দুর রহমান বলেন, ‘মোনাজাত শেষে বাড়ি যাওয়ার

জন্য দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু বাস ভাড়া বেশি চাচ্ছে।’ ময়মনসিংহের মুসল্লি আব্দুল করিম বলেন, ‘প্রকৃত ভাড়ার থেকে দ্বিগুণ ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। তাই দাঁড়িয়ে আছি। লোকজন কমলে পরে যাব।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
উপদেষ্টা মাহফুজের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ: অস্ট্রেলিয়ায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন তদন্তাধীন! জুলাইয়ের ২৬ দিনে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ৯ ব্যাংকে শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ১২০ দেশকে পাশে পেয়েছিল ইরান খামেনিকে হত্যার হুমকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যাংককে পাঁচজনকে গুলি করে হামলাকারীর আত্মহত্যা ওয়েবসাইটে জাল নথি তুলে ৬৭ কোটির কর ফাঁকি ভয়ের দেয়ালে আটকে গেছে শৈশব চলতি সপ্তাহে ‘নির্বাচনের তারিখ’ রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এনসিপিতে কোনো পদ নেই, তবুও পদত্যাগের ঘোষণা নিলা ইসরাফিলের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চীনে হুয়াওয়ের উত্থান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণে ২২ সদস্যের কমিশন গঠন দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজধানীর গুলশানে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলায় পাঁচজনকে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে এ কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাড্ডা থানা শাখার সদস্য (বহিষ্কৃত) ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে প্রথম চারজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপরজনকে আটক রাখার আবেদন করা হয় পৃথক আবেদনে। দুটি আবেদনেই তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিসহ তাঁদের একটি সংঘবদ্ধ দল দীর্ঘদিন ধরে গুলশান এলাকায় বিভিন্ন বাসায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, এই সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। তারা আরও কিছু মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে এবং এই সংঘবদ্ধ দলের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার জন্য চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আবেদনে লেখেন, মামলার এজাহারে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইতিমধ্যে মামলার বাদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা উদ্ধারের জন্যও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান চারজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। ‘গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে একটি গ্রুপ’ চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে কণ্ঠশিল্পী রাতুল আর নেই সারাদেশে ইসির ৭১ কর্মকর্তা বদলি ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি কোম্পানির কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা হামাসকে নির্মূল করে পূর্ণ বিজয় অর্জনে ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: নেতানিয়াহু চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন আসামিরা