ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সংখ্যালঘুর জমি দখল-চেষ্টায় সহযোগিতা, যশোরে ওসি-এসআই’র বিরুদ্ধে মামলা
কারাগারে চিকিৎসাবঞ্চিত অসুস্থ লীগ নেতাকর্মীদের ‘অসুস্থ নয়’ লিখিয়ে নিচ্ছে পুলিশ: জানাল পরিবার
পিবিডিএফ কেলেঙ্কারি: ৫ মাসে ২৩৮৮ জনকে নিয়োগ, কোটি কোটি টাকার ঘুষের বিনিময়ে সরকারি চাকরি!
আবারও বাংলাদেশি জেলে অপহৃত: সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বাংলাদেশ?
দুর্নীতি দমন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ বাদ দিয়েই খসড়া অনুমোদন, টিআইবির উদ্বেগ
বিদ্যুৎ আমদানির বিল পরিশোধে সহজীকরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ শিথিল
ভারতের সাথে আন্তঃদেশীয় রেলসেবা পুনরায় চালু করতে উদগ্রীব ‘দিল্লির দাসত্ব’ বিরোধী ইউনূস সরকার
ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে আইসিএসআইডি-তে এস আলম গ্রুপের সালিশি আবেদন
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলামের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলাম (এস আলম) এবং তার পরিবারের পক্ষে আইনজীবীরা সোমবার ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশ্বব্যাঙ্কের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি কেন্দ্রে (আইসিএসআইডি) সালিশি আবেদন জমা দিয়েছেন। এতে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পদ জব্দ, তদন্ত এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের অভিযোগ তুলে তারা কয়েকশো মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
এই আবেদন শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পদ পুনরুদ্ধার অভিযানের বিরুদ্ধে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফিনান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এস আলাম গ্রুপের এই দাবিতে বলা হয়েছে যে, ড. ইউনুসের সরকার গত বছর শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে “টার্গেট করে” সম্পদ জব্দ, দখল এবং তদন্তের অভিযান চালিয়েছে। এতে
গ্রুপটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ হারানো এবং ঋণ প্রদানে সীমাবদ্ধতা সহ বিভিন্ন ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন, এসব ব্যবস্থা “অযৌক্তিক এবং ন্যায়বিচার ছাড়াই” নেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের ২০০৪ সালের দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির লঙ্ঘন। এস আলাম পরিবার সিঙ্গাপুর নাগরিকত্বের দাবি করে এই চুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন। এই আবেদন গত ডিসেম্বরে পাঠানো “নোটিশ অব ডিসপিউট” এর ফলাফল, যাতে ৬ মাসের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে না নেওয়ায় আইসিএসআইডি-তে যাওয়ার সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল। আইসিএসআইডি, বিশ্বব্যাঙ্কের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক সালিশি প্রতিষ্ঠান, যা বিনিয়োগকারী এবং রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কাজ করে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে আলোচনা বা সালিশির চেষ্টা করা হয়, ব্যর্থ হলে আনুষ্ঠানিক আরবিট্রেশন
চলে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এস আলাম গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এবং ব্যাঙ্কিং খাতে টাকা পাচার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অক্টোবরে ফিনান্সিয়াল টাইমসের সাথে আলাপদে দাবি করেন, এস আলাম এবং তার সহযোগীরা শেখ হাসিনার আমলে ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা (প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার) সরিয়ে নিয়েছে। তার সরকারের একটি কথিত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে মোট ২৩৪ বিলিয়ন ডলারের লুটপাটের অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এর সপক্ষে কোনো শক্ত প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি ইউনূস সরকার। এই আবেদন সেই পুনরুদ্ধার পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এস আলাম গ্রুপের এই পদক্ষেপ অন্যান্য বড়
ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোর জন্যও উদাহরণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, যারা শেখ হাসিনার আমলে অর্থনৈতিক সুবিধা পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ আগেও আইসিএসআইডি-তে কয়েকটি মামলার মুখোমুখি হয়েছে, সবই শক্তি ও জ্বালানি খাতে। এই নতুন মামলা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বিদেশি বিনিয়োগের আস্থাকে প্রভাাবিত করতে পারে। তবে ইউনূস সরকার ও তার স্টেক হোল্ডারদের কারণে বিপর্যয়ের শিকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পক্ষে এমন শক্ত অবস্থানকে জরুরি বলে আখ্যা দিয়েছে বেশ কয়েকটি শিল্প গ্রুপের মালিক।
গ্রুপটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ হারানো এবং ঋণ প্রদানে সীমাবদ্ধতা সহ বিভিন্ন ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন, এসব ব্যবস্থা “অযৌক্তিক এবং ন্যায়বিচার ছাড়াই” নেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের ২০০৪ সালের দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির লঙ্ঘন। এস আলাম পরিবার সিঙ্গাপুর নাগরিকত্বের দাবি করে এই চুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন। এই আবেদন গত ডিসেম্বরে পাঠানো “নোটিশ অব ডিসপিউট” এর ফলাফল, যাতে ৬ মাসের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে না নেওয়ায় আইসিএসআইডি-তে যাওয়ার সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল। আইসিএসআইডি, বিশ্বব্যাঙ্কের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক সালিশি প্রতিষ্ঠান, যা বিনিয়োগকারী এবং রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কাজ করে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে আলোচনা বা সালিশির চেষ্টা করা হয়, ব্যর্থ হলে আনুষ্ঠানিক আরবিট্রেশন
চলে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এস আলাম গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এবং ব্যাঙ্কিং খাতে টাকা পাচার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অক্টোবরে ফিনান্সিয়াল টাইমসের সাথে আলাপদে দাবি করেন, এস আলাম এবং তার সহযোগীরা শেখ হাসিনার আমলে ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা (প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার) সরিয়ে নিয়েছে। তার সরকারের একটি কথিত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে মোট ২৩৪ বিলিয়ন ডলারের লুটপাটের অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এর সপক্ষে কোনো শক্ত প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি ইউনূস সরকার। এই আবেদন সেই পুনরুদ্ধার পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এস আলাম গ্রুপের এই পদক্ষেপ অন্যান্য বড়
ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোর জন্যও উদাহরণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, যারা শেখ হাসিনার আমলে অর্থনৈতিক সুবিধা পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ আগেও আইসিএসআইডি-তে কয়েকটি মামলার মুখোমুখি হয়েছে, সবই শক্তি ও জ্বালানি খাতে। এই নতুন মামলা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বিদেশি বিনিয়োগের আস্থাকে প্রভাাবিত করতে পারে। তবে ইউনূস সরকার ও তার স্টেক হোল্ডারদের কারণে বিপর্যয়ের শিকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পক্ষে এমন শক্ত অবস্থানকে জরুরি বলে আখ্যা দিয়েছে বেশ কয়েকটি শিল্প গ্রুপের মালিক।



