‘আমি ছাত্রলীগ নেতা, সবাইকে দেখে নেব’ – ইউ এস বাংলা নিউজ




‘আমি ছাত্রলীগ নেতা, সবাইকে দেখে নেব’

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯:০৮ 38 ভিউ
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক ও চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনজিল হাসানের বিরুদ্ধে শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে কোম্পানিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের দাবি, তিনি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছেন। গত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিরাসারস্থ প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন কোম্পানির এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নেতৃবৃন্দ। অভিযোগের সঙ্গে মো. মনজিল হাসানের ছাত্রলীগের পদে থাকার প্রমাণস্বরূপ বিভিন্ন নথিও সংযুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মো. নূর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার আহমদের স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে বলা হয়,

সহকারী ব্যবস্থাপক মনজিল হাসান দীর্ঘদিন ধরে কম্প্রেসর অ্যান্ড জেনারেটর ডিভিশনের কম্প্রেসর মেকানিক্যাল মেইনটেন্যান্স শাখার শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছেন। তারা একাধিকবার ভদ্রভাবে আচরণ করতে অনুরোধ করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। ফলে মানসিকভাবে অতিষ্ঠ হয়ে কর্মচারীরা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের দ্বারস্থ হন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন নেতারা সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সহকারী ব্যবস্থাপক মনজিল হাসানের সঙ্গেও তাদের দেখা হয়। তখন তাকে যখন শ্রমিক নির্যাতনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তিনি সিবিএ নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ডিপার্টমেন্ট নিজের মতো করে চালাব, কারো কাছে জবাবদিহি করব না। কারো বাবার সাধ্য নেই আমাকে প্রশ্ন করার। এ সময় তিনি উচ্চস্বরে বলেন,

‘আমি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, সিবিএ গোনার টাইম আমার নাই। সব শালাকে দেখে নেব।’ এ ঘটনার সময় উপ-মহাব্যবস্থাপক (কম্প্রেসর অপারেশন), তিতাস অফিসের একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইলে, মনজিল হাসান তাকে রুম থেকে ধাক্কিয়ে বের করে দিয়ে বলেন, ‘এখানে কিছু হয়নি, আপনি চলে যান। আমি বিষয়টা সামাল দেব।’ অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আল নাহিয়ান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত একপত্রে মনজিল হাসানকে চুয়েট শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মনজিল হাসান বলেন, তিনি ছাত্রলীগের কমিটি থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে পদত্যাগপত্রটি

বর্তমানে আছে কি না, তা খুঁজে দেখবেন বলে জানান। তিনি অভিযোগগুলোকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জন্মদিনে ‘ধুরন্ধর’ রূপে দেখা দিলেন রণবীর গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ইলন মাস্ককে রাজনীতির বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না ইসরাইল: নেতানিয়াহু ইসরাইলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন শুরু করলেন লুলা গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।