ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আওয়ামী লীগ-দিল্লি-বিএনপি এখন এক হয়ে যাচ্ছে: সারোয়ার তুষার
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ, দিল্লি এবং বিএনপির বক্তব্য যেন একই সুরে মিশে যাচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, দিল্লি যেভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে, তা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সহায়ক নয়।
এক আলোচনা সভায় সারোয়ার তুষার বলেন, “বিএনপি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে যে নির্যাতন সহ্য করেছে, তা অস্বীকারের সুযোগ নেই। তবে আমি তাদের নেতাকর্মীদের অনুরোধ করব, তারা যেন নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। দিল্লি এখন বিএনপির ওপর ভর করছে কারণ তাদের পুরনো মিত্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা আর সম্ভব নয়। তবে এই সহায়তা বিএনপির জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলন এবং গণপরিষদ
নির্বাচনের দাবির বিষয়ে বিএনপির দ্বিধা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। “ছাত্ররা যে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে, তাতে গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট। অথচ বিএনপি এটিকে পাশ কাটিয়ে সরাসরি সংসদ নির্বাচনের দাবিতে স্থির রয়েছে,” বলেন তিনি। সারোয়ার তুষার দাবি করেন, ছাত্রদের আন্দোলন একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ছিল। “ছাত্ররা যেভাবে নতুন রাষ্ট্র গঠনের দাবি তুলেছে, তা একটি বড় পরিবর্তনের বার্তা। কিন্তু বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা এই বিষয়ে অস্পষ্ট। তারা শুধু নির্বাচনের দাবিতে সীমাবদ্ধ থেকে বৃহত্তর সংস্কার এড়িয়ে যাচ্ছে।” তিনি আওয়ামী লীগ ও দিল্লির সাম্প্রতিক অবস্থানকেও কটাক্ষ করেন। “দিল্লি, যা ছয় মাস আগেও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে উদাসীন ছিল, এখন হঠাৎ কেন এত সক্রিয় হয়ে উঠেছে? এর পেছনে একটাই
কারণ—গণতান্ত্রিক বিকাশ ব্যাহত রাখা,” বলেন তুষার। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যেসব দল নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে, তারা গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি এড়িয়ে চলার মাধ্যমে কি নিজেদের বিরোধিতা করছে না? গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য শুধু নির্বাচনের দাবি যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন বড় কাঠামোগত পরিবর্তনের।” তিনি বিএনপি ও অন্যান্য দলকে আহ্বান জানান, গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে ছাত্রদের তোলা দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে এবং দেশের স্বার্থে সঠিক পদক্ষেপ নিতে। সারোয়ার তুষার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান এবং বলেন, “দেশের জনগণই সকল রাজনৈতিক দলের আসল ভরসা হওয়া উচিত, কোনো বাইরের শক্তি নয়।”
নির্বাচনের দাবির বিষয়ে বিএনপির দ্বিধা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। “ছাত্ররা যে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে, তাতে গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট। অথচ বিএনপি এটিকে পাশ কাটিয়ে সরাসরি সংসদ নির্বাচনের দাবিতে স্থির রয়েছে,” বলেন তিনি। সারোয়ার তুষার দাবি করেন, ছাত্রদের আন্দোলন একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ছিল। “ছাত্ররা যেভাবে নতুন রাষ্ট্র গঠনের দাবি তুলেছে, তা একটি বড় পরিবর্তনের বার্তা। কিন্তু বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা এই বিষয়ে অস্পষ্ট। তারা শুধু নির্বাচনের দাবিতে সীমাবদ্ধ থেকে বৃহত্তর সংস্কার এড়িয়ে যাচ্ছে।” তিনি আওয়ামী লীগ ও দিল্লির সাম্প্রতিক অবস্থানকেও কটাক্ষ করেন। “দিল্লি, যা ছয় মাস আগেও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে উদাসীন ছিল, এখন হঠাৎ কেন এত সক্রিয় হয়ে উঠেছে? এর পেছনে একটাই
কারণ—গণতান্ত্রিক বিকাশ ব্যাহত রাখা,” বলেন তুষার। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যেসব দল নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে, তারা গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি এড়িয়ে চলার মাধ্যমে কি নিজেদের বিরোধিতা করছে না? গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য শুধু নির্বাচনের দাবি যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন বড় কাঠামোগত পরিবর্তনের।” তিনি বিএনপি ও অন্যান্য দলকে আহ্বান জানান, গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে ছাত্রদের তোলা দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে এবং দেশের স্বার্থে সঠিক পদক্ষেপ নিতে। সারোয়ার তুষার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান এবং বলেন, “দেশের জনগণই সকল রাজনৈতিক দলের আসল ভরসা হওয়া উচিত, কোনো বাইরের শক্তি নয়।”