
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

গাইবান্ধার সাবেক এমপি গ্রেফতার

সেই খাইরুল এখন প্রধানমন্ত্রী হতে চান!

জামায়াতের নিবন্ধন আটকে থাকার দুই কারণ

সরকারি কর্মচারীকে পিটিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বললেন, ‘রাগ কন্ট্রোল করতে পারিনি’

‘অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ভয় পাচ্ছে’

জানা গেল জামায়াত আমিরের প্রথম আলোকে ক্ষমা চাইতে বলার কারণ

আল্লাহর কাছে আর্জি, বাঙালি মুসলমানের তাকদির খুলে যাক, খুলে যাক বরকত ও রহমতের দুয়ার: আবু সাদিক
অর্থদাতাদের নাম যে কারণে প্রকাশ করতে চাইছে না এনসিপি

দমন-পীড়ন সংস্কৃতির কারণে ডোনারদের (অর্থদাতাদের) নাম আমরা প্রকাশ করতে পারছি না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন।
গত ৪ এপ্রিল ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন এনসিপির এই যুগ্ম আহ্বায়ক।
রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে, নির্বাচনের সময়সীমা প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে এক ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে এনসিপি। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিসের মতো ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতের মিল বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন দাবি করেন, তাদের দল ধর্মভিত্তিক রাজনীতির চর্চা করবে না।
তিনি বলেন, ‘এনসিপি মধ্যপন্থি দল হতে চায়। অনেক রকম মানুষ এসেছেন ছাত্র-জনতার এই
দলে। আমরা সবাইকে নিয়ে এগোতে চাই। যারা বাংলাদেশপন্থি তাদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করতে চাই।’ এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি। সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের নানা প্রশ্নের জবাব দেন দুই অতিথি। সংস্কার কমিশন যেসব প্রস্তাব করেছে, তার অনেক বিষয়েই ভিন্নমত জানিয়েছে বিএনপি। বিশেষ করে কোনো ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, এমন সংস্কার মানতে রাজি নয় তারা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাবেক সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি বলেন, কেউ একাধারে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, কিন্তু বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন, বিএনপি এমন সংস্কারে রাজি আছে। তিনি আরও যোগ
করেন, সংস্কার উদ্যোগে অন্তর্বর্তী সরকার অনেক ভুল করছে। বিশেষ করে যখন সংস্কার কমিশনগুলো কাজ করছিল, তার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকে যুক্ত করলে ভালো হতো। তাহলে দলগুলো তখনি নিজেদের মতামত জানিয়ে রাখতে পারত। এখন সুপারিশ জমার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসা হচ্ছে, তাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে, এতে অনেক সময়ক্ষেপণ হচ্ছে, জটিলতাও তৈরি হচ্ছে- বলে মন্তব্য করেন নিলোফার চৌধুরী মনি। এদিকে এনসিপি নেতারা রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছেন। কিন্তু তাদের অনেক কার্যক্রমেই পুরনো ধারার রাজনীতির চর্চা দেখা যাচ্ছে। অভিজাত হোটেলে ইফতার পার্টি, কোনো কোনো নেতার শোডাউন- এসব অনুষ্ঠানের খরচ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসা পেশা থেকে রাজনীতিতে আসা ডা. তাজনূভা জাবীন
বলেন, ‘আর্থিক স্বচ্ছতা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। এর মাধ্যমেই আমরা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি থেকে আমাদের রাজনীতির পার্থক্য গড়ে তুলব। কারণ আমাদের আগে প্রতিষ্ঠিত দলগুলো শোডাউন, পেশি শক্তি-এসব চর্চা করেছে। আমরা এসব করতে চাই না। আগে থেকে চলে আসা দমন-পীড়ন সংস্কৃতির কারণে আমাদের ডোনারদের নাম আমরা প্রকাশ করতে পারছি না।’ তার ভাষ্যমতে, সুশীল সমাজের বড় একটি অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। বিভিন্ন পেশাজীবী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবীরা আছেন, তারা দলে ডোনেট করছেন। শুভাকাঙক্ষীরা ডোনেশন দিচ্ছেন। দলের ব্যয় সংকুলানের বিষয়টি কিভাবে জনগণের সামনে স্পষ্ট রাখা যায়, তা নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান ডা. তাজনূভা জাবীন।
দলে। আমরা সবাইকে নিয়ে এগোতে চাই। যারা বাংলাদেশপন্থি তাদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করতে চাই।’ এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি। সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের নানা প্রশ্নের জবাব দেন দুই অতিথি। সংস্কার কমিশন যেসব প্রস্তাব করেছে, তার অনেক বিষয়েই ভিন্নমত জানিয়েছে বিএনপি। বিশেষ করে কোনো ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, এমন সংস্কার মানতে রাজি নয় তারা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাবেক সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি বলেন, কেউ একাধারে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, কিন্তু বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন, বিএনপি এমন সংস্কারে রাজি আছে। তিনি আরও যোগ
করেন, সংস্কার উদ্যোগে অন্তর্বর্তী সরকার অনেক ভুল করছে। বিশেষ করে যখন সংস্কার কমিশনগুলো কাজ করছিল, তার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকে যুক্ত করলে ভালো হতো। তাহলে দলগুলো তখনি নিজেদের মতামত জানিয়ে রাখতে পারত। এখন সুপারিশ জমার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসা হচ্ছে, তাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে, এতে অনেক সময়ক্ষেপণ হচ্ছে, জটিলতাও তৈরি হচ্ছে- বলে মন্তব্য করেন নিলোফার চৌধুরী মনি। এদিকে এনসিপি নেতারা রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছেন। কিন্তু তাদের অনেক কার্যক্রমেই পুরনো ধারার রাজনীতির চর্চা দেখা যাচ্ছে। অভিজাত হোটেলে ইফতার পার্টি, কোনো কোনো নেতার শোডাউন- এসব অনুষ্ঠানের খরচ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসা পেশা থেকে রাজনীতিতে আসা ডা. তাজনূভা জাবীন
বলেন, ‘আর্থিক স্বচ্ছতা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। এর মাধ্যমেই আমরা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি থেকে আমাদের রাজনীতির পার্থক্য গড়ে তুলব। কারণ আমাদের আগে প্রতিষ্ঠিত দলগুলো শোডাউন, পেশি শক্তি-এসব চর্চা করেছে। আমরা এসব করতে চাই না। আগে থেকে চলে আসা দমন-পীড়ন সংস্কৃতির কারণে আমাদের ডোনারদের নাম আমরা প্রকাশ করতে পারছি না।’ তার ভাষ্যমতে, সুশীল সমাজের বড় একটি অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। বিভিন্ন পেশাজীবী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবীরা আছেন, তারা দলে ডোনেট করছেন। শুভাকাঙক্ষীরা ডোনেশন দিচ্ছেন। দলের ব্যয় সংকুলানের বিষয়টি কিভাবে জনগণের সামনে স্পষ্ট রাখা যায়, তা নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান ডা. তাজনূভা জাবীন।