ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নারী-শিশুসহ আটক ১৬
অপরাধী ধরতে গিয়ে মিলল বিদেশি রিভলভার, গুলি
বালু সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক ছাত্রদল নেতা, ভাগ দেন পুলিশ-সাংবাদিককেও
গর্ত খুঁড়ে ‘নারীর’ মরদেহ পোড়াচ্ছিলেন যুবলীগ নেতার ছেলে
গুলি করে হত্যা: স্বজনদের দাবি ছাত্রদল কর্মী, পুলিশ বলছে মাদক ব্যবসায়ী
গাজীপুরে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু
সাদপন্থি নেতা মুয়াজ বিন নূর ৩ দিনের রিমান্ডে
অনলাইনে চাকরির প্রলোভনে লাখ–লাখ টাকা আত্মসাৎ, চীনা নাগরিকসহ গ্রেপ্তার ৩
অনলাইনে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে চীনা নাগরিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজধানীর উত্তরখান থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোর্শেদ আলম, জামাল উদ্দিন ও মি. কুকি।
সোমবার বিকেল ও রোববার রাতে উত্তরখান ও গুলশান থানা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, ৪ হাজার ডলারসহ বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা, চারটি মোবাইল ফোন ও কয়েকটি চেক বইয়ের পাতা উদ্ধার করা হয়।
উত্তরখান থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রলোভন দেখিয়ে নাহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে অনলাইনে চাকরির জন্য প্রস্তাব দেয়। তিনি সরল বিশ্বাসে অনলাইনে কাজ শুরু করেন। কাজের শুরুতে তারা ৮২০
টাকা কমিশন দেয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন অফারের কথা বলে তারা নাহিদুলের কাছ থেকে ডাচ–বাংলা ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে কয়েক দফায় চার লাখ ৪৩ হাজার ৩৭৭ টাকা নেয়। এরপর তাকে আর কমিশন না দিয়ে আবারও ৩ লাখ ১৯ হাজার ১৩০ টাকা চাইলে যুবকের সন্দেহ হয়। তিনি ডাচ–বাংলা ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন, অ্যাকাউন্টটি উত্তরখানের বাবুর্চি বাড়ির আনাস এন্টারপ্রাইজের নামে। তখন তিনি বিষয়টি উত্তরখান থানায় জানান। রোববার রাতে আনাস এন্টারপ্রাইজের মালিক মোর্শেদ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পুলিশকে জানান, জামাল উদ্দিন নামের একজনের সহযোগিতায় তার নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত ২২ ডিসেম্বর প্রায় ৩২ লাখ টাকা যোগ হয়েছে। যার মধ্যে ৯
লাখ ৪৩ হাজার টাকা মোর্শেদের নিজের এবং অবশিষ্ট টাকা জামাল উদ্দিনের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। থানা পুলিশ মোর্শেদ আলমকে হেফাজতে নেয় এবং তার কাছ থেকে ৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং কিছু চেকের পাতা জব্দ করে। পুলিশ জানায়, মোর্শেদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই বাবুর্চি বাড়ির গফুর মুন্সী রোডের বাসা থেকে জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পুলিশ তার কাছ থেকে ৪ হাজার ডলারসহ অন্যান্য বিদেশি মুদ্রা, দুটি মোবাইল ফোন এবং ব্যাংকের চেকবইয়ের কিছু পাতা জব্দ করে। পরবর্তীতে জামালের তথ্যমতে পুলিশের দক্ষিণখান অঞ্চলের সহকারী কমিশনার নাসিম এ-গুলশানের নেতৃত্বে উত্তরখান
থানার একটি দল সোমবার বিকেলে গুলশান থানা পুলিশের সহায়তায় গুলশান-১ নম্বর থকে চীনা নাগরিক মি. কুকিকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চীনে বেড়াতে গিয়ে মি. কুকির সঙ্গে জামালের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে ১৫-২০ দিন আগে উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় দুজনের সাক্ষাৎ হয়। সেখানে জামালকে কয়েকটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে বলে কুকি। ওইসব নম্বরে টাকা আসবে এবং সেজন্য জামাল কমিশন পাবেন। জামাল এ প্রস্তাবে রাজি হয়ে মোর্শেদ আলমের আনাস এন্টারপ্রাইজের বিজনেস অ্যাকাউন্ট নাম্বার কুকিকে দেন। গ্রেপ্তার কুকি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন।
টাকা কমিশন দেয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন অফারের কথা বলে তারা নাহিদুলের কাছ থেকে ডাচ–বাংলা ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে কয়েক দফায় চার লাখ ৪৩ হাজার ৩৭৭ টাকা নেয়। এরপর তাকে আর কমিশন না দিয়ে আবারও ৩ লাখ ১৯ হাজার ১৩০ টাকা চাইলে যুবকের সন্দেহ হয়। তিনি ডাচ–বাংলা ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন, অ্যাকাউন্টটি উত্তরখানের বাবুর্চি বাড়ির আনাস এন্টারপ্রাইজের নামে। তখন তিনি বিষয়টি উত্তরখান থানায় জানান। রোববার রাতে আনাস এন্টারপ্রাইজের মালিক মোর্শেদ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পুলিশকে জানান, জামাল উদ্দিন নামের একজনের সহযোগিতায় তার নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত ২২ ডিসেম্বর প্রায় ৩২ লাখ টাকা যোগ হয়েছে। যার মধ্যে ৯
লাখ ৪৩ হাজার টাকা মোর্শেদের নিজের এবং অবশিষ্ট টাকা জামাল উদ্দিনের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। থানা পুলিশ মোর্শেদ আলমকে হেফাজতে নেয় এবং তার কাছ থেকে ৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং কিছু চেকের পাতা জব্দ করে। পুলিশ জানায়, মোর্শেদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই বাবুর্চি বাড়ির গফুর মুন্সী রোডের বাসা থেকে জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পুলিশ তার কাছ থেকে ৪ হাজার ডলারসহ অন্যান্য বিদেশি মুদ্রা, দুটি মোবাইল ফোন এবং ব্যাংকের চেকবইয়ের কিছু পাতা জব্দ করে। পরবর্তীতে জামালের তথ্যমতে পুলিশের দক্ষিণখান অঞ্চলের সহকারী কমিশনার নাসিম এ-গুলশানের নেতৃত্বে উত্তরখান
থানার একটি দল সোমবার বিকেলে গুলশান থানা পুলিশের সহায়তায় গুলশান-১ নম্বর থকে চীনা নাগরিক মি. কুকিকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চীনে বেড়াতে গিয়ে মি. কুকির সঙ্গে জামালের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে ১৫-২০ দিন আগে উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় দুজনের সাক্ষাৎ হয়। সেখানে জামালকে কয়েকটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে বলে কুকি। ওইসব নম্বরে টাকা আসবে এবং সেজন্য জামাল কমিশন পাবেন। জামাল এ প্রস্তাবে রাজি হয়ে মোর্শেদ আলমের আনাস এন্টারপ্রাইজের বিজনেস অ্যাকাউন্ট নাম্বার কুকিকে দেন। গ্রেপ্তার কুকি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন।