অতিথি পাখির মধুর কলতানে মুখর তারুয়া বিচ, দর্শনার্থীদের ভিড় – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
     ৬:০৩ অপরাহ্ণ

অতিথি পাখির মধুর কলতানে মুখর তারুয়া বিচ, দর্শনার্থীদের ভিড়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৬:০৩ 79 ভিউ
প্রকৃতিতে জানান দিয়েছে শীত। এ ঋতু শুধু রিক্ততা-বিষণ্ণতা নয়, সঙ্গে নিয়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি। চরফ্যাশনের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ঢালচর, কুকরি-মুকরি ও পর্যটন কেন্দ্র তারুয়া বিচে পাখিদের হাট বসেছে। বিচিত্র পাখ-পাখালির মধুময় কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে এখানকার জনপদ। বছরজুড়ে তারুয়ায় ৫ কিলোমিটার হরেক রকম পাখির কলকাকলিতে সরব হয়ে ওঠা শীতের সময়টা যেন নতুন রূপ লাভ করে। তাছাড়া মূলত শীত মৌসুমের শুরুতেই সুদূর সাইবেরিয়া থেকে এখানকার চরাঞ্চলে পরিযায়ী পাখিদের আগমন শুরু হয়েছে। এখানে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ডানা মেলে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্য যেন মুগ্ধ করে দর্শণার্থীদের। দুই পাশে পাখিদের কিচির-মিচির আওয়াজ আর কলকাকলি শোনা যায়। এমন

দৃশ্যের দেখা মেলে সকাল-বিকাল। চরফ্যাশন উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ আইচা থানার ঢালচর ইউনিয়ন। বঙ্গোপসাগর ঘেষে ঢালচর থেকে পূর্ব দিকে চর শাহজালাল ও চর আশরাফের মাঝা মাঝি বিছিন্ন তারুয়া বিচ। জনমানবহীন গহিন অরণ্যাবৃত তারুয়ার বিচ যেন পাখিদের এক সবুজ অভয়ারণ্য। একটু দূরে তাকালেই দেখা যায় দল বেধে সারি সারি পাখির মেলা। এখানকার অন্তত ২০টি চরে আশ্রয় নিয়েছে এসব পাখি। পরিযায়ী পাখিদের আগমনকে কেন্দ্র করে একদিকে বেড়েছে বনাঞ্চলের সৌন্দর্য অন্যদিকে পর্যটকরাও ছুটে আসছেন পাখি দেখতে। ইউছুফ ফরাজী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, চরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় পরিযায়ী পাখি। দল বেধে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্য

সত্যিই মনোমুগ্ধকর। পাখিদের কিচির-মিচির শব্দ শুনতে অনেক ভালো লাগে। শীত মৌসুমে অনেকে পাখি দেখতে ছুটে আসেন। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষা ঢালচর, মনপুরা, কলাতলীর চর, চর কুকরি মুকরি, চর শাহজালাল, চরশাজাহান, চর পিয়াল, আইলউদ্দিন চর, চরনিজাম, ডেগরারচরসহ মেঘনা-তেঁতুলিয়ার উপকূলবর্তী মাঝের চর, মদনপুরাসহ বিভিন্ন চরে পাখিদের আনা-গোনা। সকাল-বিকাল খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় এদের। ডানা মেলে উড়ে চলা ও পাখিদের কলকাকলিতে মুখর থাকে চর। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একশ্রেণির অসাধু শিকারি বিষটোপ, ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে আবার ছোট ছোট মাছের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পাখি শিকারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চরে আশ্রয় নেওয়া পাখিরা অনেকটা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।

এছাড়াও পরিযায়ী পাখিদের আভাসস্থল, বিচরণভূমি ও খাদ্যের সংকটেও রয়েছে। এ ব্যাপারে ভোলার বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল বলেন, শীতের শুরুতে চরফ্যাশনের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে পরিযায়ী পাখিদের আগমন শুরু হয়েছে। এখানকার চরগুলো পরিযায়ী পাখিদের জন্য বিখ্যাত। পাখিদের কেউ যাতে শিকার করতে না পারে সেজন্য বন বিভাগের আটটি রেঞ্জ থেকে টহল জোরদার করা হয়েছে। তারা নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এছাড়াও পাখি শিকার বন্ধে স্পেশাল টিম গঠন ও গোয়েন্দা নরজদারি বাড়ানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
শেখ হাসিনার সরকার হটাতে মার্কিন নীলনকশার গোপন নথি ফাঁস সিইপিজেডে অগ্নিকাণ্ড: আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পাশের ৪ তলা ভবনেও, কাজ করছে ১৯টি ইউনিট হামাসকে অস্ত্র ছাড়তে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: গাজায় শান্তি চুক্তির প্রথম পর্যায় সফল লামিয়া কি তবে ডি-ফ্যাক্টো প্রধান উপদেষ্টা? কী ঘটছে প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের কারখানায়? স্থায়ীভাবে বন্ধের হুঁশিয়ারি মালিকপক্ষের সিলেটের ছাত্রলীগ কর্মী আরাফাত কারাগার থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য বারবার সংবিধান লঙ্ঘন এবং সংবিধান পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অপরাধে অপরাধী অন্তবর্তী সরকার সানাই: মিডিয়া ছেড়ে দেওয়ায় আমার বরকত বেড়েছে, এখন প্রচুর টাকা জমছে তিন গোয়েন্দার স্রষ্টা রকিব হাসানের বিদায়: কয়েক প্রজন্মের শৈশব-কৈশোরের কল্পলোকের রুপকারের প্রস্থান জুলাই সনদেও রক্ষাকবচ নিশ্চিত হচ্ছে না, তাই সনদের আগেই গণভোটের গ্যারান্টি চায় এনসিপি বিএনপি’র সন্ত্রাস আর ড. ইউনূসের সন্ত্রাস জামাতকে ক্ষমতায় বসার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। জুলাই সনদে সই করবে না গণফোরাম ছাড়াও বামপন্থি ৪ দল চুলার জন্য মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো পলিথিনে মোড়ানো মেশিনগানের গুলি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য ফেরত নেওয়ার নির্দেশ: অর্থায়ন সংকটের ফলে বড় ধাক্কা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় দখল শিক্ষকদের, বন্ধ রাজধানীর প্রধান সড়ক জাতিসংঘ: গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৭০ বিলিয়ন ডলার ঈশান কোণে মেঘ, প্রবল সাইক্লোন ধেয়ে আসছে…. লামিয়া কি তবে ডি-ফ্যাক্টো প্রধান উপদেষ্টা? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অস্থিরতা: ১৪ জন সিনিয়র অফিসারের গ্রেপ্তারের পর জেনারেল ওয়াকার এর অন্তর্ধান নিয়ে সন্দেহের ঘনঘটা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা: আরো ৫ লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের জন্য অপেক্ষমান