লিবিয়ায় পাচারের শিকার আব্দুস সালামকে উদ্ধার করল পিবিআই – ইউ এস বাংলা নিউজ




লিবিয়ায় পাচারের শিকার আব্দুস সালামকে উদ্ধার করল পিবিআই

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৫:১১ 120 ভিউ
লিবিয়ায় পাচারের শিকার সৈয়দ আব্দুস সালাম নামে যশোরের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দেশে ফেরার পর রোববার যশোরের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনালে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। সৈয়দ আব্দুস সালাম (৪২) বাঘারপাড়া উপজেলার খলসি গ্রামের মৃত সৈয়দ তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, সৈয়দ আবদুস সালামকে পাচারের মামলাটি আদালতের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানতে পারেন ভিকটিম সৈয়দ আবদুস সালাম লিবিয়াতে আটক আছে। তখন বিদেশে থাকা মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য আসামি নওয়াব আলী সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করা হয়। এরপর নওয়াব আলী ভিকটিম সালামের সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তার ভিডিও কলের

মাধ্যমে কথা বলিয়ে দেয়। নওয়াব আলী ভিকটিম সালামকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পিবিআই যশোরের সার্বিক প্রচেষ্টায় ভিকটিম সালাম দেশে ফেরত আসে। ভিকটিমকে জবানবন্দি প্রদান করার জন্য রোববার আদালতে পাঠানো হয়। তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সৈয়দ আব্দুস সালাম (৪২) পেশায় একজন কৃষক। পারিবারিক সচ্ছলতার জন্য তিনি বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভিকটিমের প্রতিবেশী আসামি নওয়াব আলী বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমকে রোমানিয়ায় পাঠাতে পারবে বলে জানায়। তখন ভিকটিম তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে রোমানিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে নওয়াব আলী ভিকটিমকে জানায় তাকে রোমানিয়াতে না ইতালি পাঠাতে পারবে। তখন তার কথামতো ভিকটিমের সঙ্গে আসামি নওয়াব

আলীর চার লাখ টাকার চুক্তি হয় এবং চুক্তি অনুযায়ী টাকা নিয়ে আসামি নওয়াব আলী ভিকটিমকে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ ঢাকা বিমানবন্দরে দিয়ে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে দুই দিন অবস্থান করার পর মিসরে পাঁচ ঘণ্টা বিরতির পর লিবিয়া নিয়ে একটি বাসায় ভিতর আটক রাখে। সেখান থেকে ২০ থেকে ২২ দিন পর নওয়াব আলী ভিকটিমকে ইতালি পাঠানোর জন্য অপরিচিত কিছু লোকের কাছে পাঠায়। তখন তারা ভিকটিমকে আসামি নাদিম ও আসামি হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। ভিকটিম তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং পরবর্তীতে আসামিরা ভিকটিমকে একটি অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রাখে। ভিকটিমকে আটক রেখে আসামিরা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে

থাকে। ভিকটিমকে নির্যাতন করে তার পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১৫ লাখ টাকা আদায় করে। এরপরও তারা ভিকটিমকে মুক্ত করে দেয়নি। তখন তার পরিবারের লোকজন বুঝতে পারে ভিকটিম কোনো মানবপাচার চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। তাকে উদ্ধারের জন্য ২০২৪ সালের ২ মে আদালতে মানবপাচার মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয় পিবিআইকে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ভোট নিয়ে ধোঁয়াশা কেটেছে নতুন মেরুকরণের আভাস ঢাকার আকাশ মেঘলা থাকবে বিয়ের ঋণেও গলার কাঁটা উচ্চসুদ টেক্সাসের বন্যা এলাকা পরিদর্শনে ট্রাম্প, সরকারি ত্রাণ কার্যক্রমের পক্ষে সাফাই বর্ষাকালে অসুখ থেকে সুস্থ থাকার উপায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিন্ন বৌদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে: প্রণয় ভার্মা মমতাকে কাশ্মীরে যাওয়ার আমন্ত্রণ ওমরের মোদির ‘হিন্দি রাজনীতি’তে ক্ষুব্ধ মারাঠিরা নাসা ছাড়ছেন ২ হাজারের বেশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ‘আপনি কি দিনশেষে এটাই ভাবেন’ তিনবার এগিয়েও ফাইনালে ওঠা হলো না বাংলাদেশের ওয়েব ব্রাউজার আনছে ওপেনএআই, চ্যালেঞ্জের মুখে গুগল ক্রোম ইরানে ‘জোরালো হামলার’ হুমকি ইসরায়েলের প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে ইতালির ইতিহাস পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যা : অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৪ পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যায় ছাত্রদল সম্পাদকের প্রতিক্রিয়া এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল, শিক্ষার্থীর মাথায় হাত