ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলকে ইমেজ সংকটে ফেলার অপচেষ্টা
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ
ঢাবির হলে পোস্টার সাঁটানোয় নিষেধাজ্ঞা
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
শিক্ষার্থীর অবস্থান সড়কে, ঢাকা অচল যানজটে
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৫৩১
ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
জাবি শিক্ষার্থীকে মারধর, রাজধানী পরিবহণের ২৪ বাস আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চার শিক্ষার্থীকে মারধর ও হেনস্তার জেরে রাজধানী পরিবহণের ২৪টি বাস আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে বাস আটক করতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আটক বাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে রাখা হয়। এক পর্যায়ে বিকাল ৪টার দিকে বাস কর্তৃপক্ষ আলোচনার জন্য আসে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মুচলেকা নিয়ে বাসগুলো ছেড়ে দেয়।
মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম সায়েদ মুয়াজ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এছাড়া এ ঘটনায় হেনস্তার শিকার হয়েছেন আরও তিন ছাত্রী। অভিযুক্ত বাসের সহযোগী (হেল্পার) মো. হান্নান ও বাসের যাত্রীর নাম তুফান।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে মিরপুর-২ নম্বর এলাকা থেকে বাসে করে ক্যাম্পাসে আসছিলেন ওই চার শিক্ষার্থী।
বাসের হেল্পার ভাড়া চাইলে তারা স্টুডেন্ট হিসাবে ২০ টাকা দেন। তবে হেল্পার ২৫ টাকা ভাড়া দাবি করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া ২০ টাকাই বলে জানালে বাসের হেল্পার তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতে শুরু করে ও বাবা-মায়ের নাম তুলে গালিগালাজ করে। ওই শিক্ষার্থীরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে পরিচয় দিলে তারা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও গালিগালাজ করে। এতে মুয়াজ ক্ষিপ্ত হয়ে ওই হেল্পারের দিকে তেড়ে গেলে হেল্পার হান্নান বাসের সিটের নিচ থেকে একটি লাঠি বের করে তাকে মারধর শুরু করে। পরে বাসের মধ্যে থাকা তুফান নামের এক যাত্রী হেল্পারের সঙ্গে মিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ও ভুক্তভোগী মুয়াজকে মারধর করেন। এ সময়
মুয়াজের সঙ্গে থাকা তিন ছাত্রী প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদেরও হেনস্তা করেন তুফান, হুমকিও দেন। এদিকে এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে রাজধানী পরিবহণের বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন ও অভিযুক্ত বাসের হেল্পার মো. হান্নানসহ ওই বাসটিকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। পরে বাস কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে মুচলেকা নিয়ে বাসগুলো বিকালে ছেড়ে দেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সায়েদ মুয়াজ বলেন, আমরা নিয়মিত যাতায়াত করি। স্টুডেন্ট ভাড়া ২০ টাকাই দিই। আজ (মঙ্গলবার) ২০ টাকা দিলে বাসের হেল্পার অসদাচরণ করেন। তিনি বাবা-মা ও ক্যাম্পাস নিয়ে গালিগালাজ করেন। পরে আমি গালির কারণ জানতে এগিয়ে গেলে লাঠি বের করে মারধর করে। হেল্পারের সঙ্গে তুফান নামের এক লোক জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থী
শুনে ক্ষিপ্ত হয়, সেও মারধর করে। আমার সঙ্গে যারা ছিল, ঠেকাতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শামীমা নাসরীন জলি বলেন, বাস কর্তৃপক্ষ এসেছিলেন। তাদের কাছে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছে। যে বাসের হেল্পার অপরাধ করেছে, সে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আর বাস কর্তৃপক্ষ ওই হেল্পারকে শাস্তি দেবে বলে জানিয়েছে। তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। আর যে যাত্রী শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হবে। ওই ব্যক্তি যদি আত্মসমর্পণ করে তাহলে সেভাবে সুরাহা করবে শিক্ষার্থীরা। আর না করলে সেটা মামলা হবে।
বাসের হেল্পার ভাড়া চাইলে তারা স্টুডেন্ট হিসাবে ২০ টাকা দেন। তবে হেল্পার ২৫ টাকা ভাড়া দাবি করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া ২০ টাকাই বলে জানালে বাসের হেল্পার তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতে শুরু করে ও বাবা-মায়ের নাম তুলে গালিগালাজ করে। ওই শিক্ষার্থীরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে পরিচয় দিলে তারা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও গালিগালাজ করে। এতে মুয়াজ ক্ষিপ্ত হয়ে ওই হেল্পারের দিকে তেড়ে গেলে হেল্পার হান্নান বাসের সিটের নিচ থেকে একটি লাঠি বের করে তাকে মারধর শুরু করে। পরে বাসের মধ্যে থাকা তুফান নামের এক যাত্রী হেল্পারের সঙ্গে মিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ও ভুক্তভোগী মুয়াজকে মারধর করেন। এ সময়
মুয়াজের সঙ্গে থাকা তিন ছাত্রী প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদেরও হেনস্তা করেন তুফান, হুমকিও দেন। এদিকে এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে রাজধানী পরিবহণের বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন ও অভিযুক্ত বাসের হেল্পার মো. হান্নানসহ ওই বাসটিকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। পরে বাস কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে মুচলেকা নিয়ে বাসগুলো বিকালে ছেড়ে দেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সায়েদ মুয়াজ বলেন, আমরা নিয়মিত যাতায়াত করি। স্টুডেন্ট ভাড়া ২০ টাকাই দিই। আজ (মঙ্গলবার) ২০ টাকা দিলে বাসের হেল্পার অসদাচরণ করেন। তিনি বাবা-মা ও ক্যাম্পাস নিয়ে গালিগালাজ করেন। পরে আমি গালির কারণ জানতে এগিয়ে গেলে লাঠি বের করে মারধর করে। হেল্পারের সঙ্গে তুফান নামের এক লোক জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থী
শুনে ক্ষিপ্ত হয়, সেও মারধর করে। আমার সঙ্গে যারা ছিল, ঠেকাতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শামীমা নাসরীন জলি বলেন, বাস কর্তৃপক্ষ এসেছিলেন। তাদের কাছে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছে। যে বাসের হেল্পার অপরাধ করেছে, সে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আর বাস কর্তৃপক্ষ ওই হেল্পারকে শাস্তি দেবে বলে জানিয়েছে। তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। আর যে যাত্রী শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হবে। ওই ব্যক্তি যদি আত্মসমর্পণ করে তাহলে সেভাবে সুরাহা করবে শিক্ষার্থীরা। আর না করলে সেটা মামলা হবে।