ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
পিরোজপুরে প্রাইভেটকার খালে পড়ে শিশুসহ নিহত ৮
সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মহিবুর রহমান গ্রেপ্তার
‘জমিটুকুনের পাচ্ছি না দখল, ঘরের ওপর গাছ দিচ্ছে মৃত্যুর টহল’
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মাছের আড়ত দখলের অভিযোগ
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, শেরপুরে নিহত ৯
এনসিসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মহসীন আর নেই
গাজীপুরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ফসিহ পাগলার মাজার
গাজীপুর নগরীর পোড়াবাড়ি বাজার এলাকায় অর্ধশত বছরের পুরোনো শাহ সুফি ফসিহ উদ্দিন ওরফে ফসিহ পাগলার মাজারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর পোড়াবাড়ি, সালনা, জোলারপাড়, ভাওরাইদসহ স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদের কয়েকশ মুসল্লি একযোগে মাজারের সীমানা প্রাচীর, পাকা ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন। ভাঙচুর করা হয় দোকানপাট, লুট হয় দানবাক্স।
ভাঙচুরকারীদের অভিযোগ, এ মাজার ঘিরে বহুকাল ধরে অসামাজিক কাজকর্ম, মাদকের আসরসহ নানা অপকর্ম হয়ে আসছিল। প্রতিবছর একাধিকবার এখানে ওরস অনুষ্ঠিত হয়। মাজার প্রাঙ্গণে বসে জমজমাট মেলা ও জুয়ার আসর। মেলায় গান-বাজনার পাশাপাশি গাঁজার আসর বসত। স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে মাজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি
হতো। মাজারের নামে এখানে ব্যবসা খুলে বসেছিল একটি চক্র। স্থানীয়রা জানান, জুমার নামাজের পর ভেকু দিয়ে মাজারের ছাদসহ অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে মাজারের বিভিন্ন ঘরে আগুন দেওয়া হয়। লুট হয় দানবাক্স, সিন্দুক, রান্নাঘরসহ বিভিন্ন আসবাব। মাজার ভাঙার সময় কোনো ভক্ত-অনুরাগী ছিলেন না। বিষয়টি টের পেয়ে তারা আগেই পালিয়ে যান। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, মাজারটির নিরাপত্তা দিতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয় সকাল থেকেই। কিন্তু দুপুরে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি একত্রিত হয়ে মাজারটি ভেঙে দেন। পুলিশ বারবার না ভাঙতে অনুরোধ করলেও তারা শোনেননি। একই দিন নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লায় ফকির চাড়ু মিজি শাহ্ (রহ.) মাজারে হামলা
চালিয়ে ভাঙচুর করেছে একদল লোক। অভিযোগ উঠেছে, মাজার পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের দুই ছেলে আশরাফুল ইসলাম বিজয় ও ওয়াহেদুল ইসলাম হৃদয়ের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। বিজয় ও হৃদয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লার দরগাহ বাড়িতে ব্রিটিশ শাসনামলে আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ফকির চাড়ু মিজি শাহ্ নামের এক বুজুর্গকে দাফন করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাঁর কবর ঘিরে সেখানে ১৫ শতক জমির ওপর মসজিদ ও মাজার গড়ে তোলেন ভক্তরা। প্রতিবছর এ মাজার প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী ওরস ও মেলার আয়োজন করা হয়। গতকাল ভোর ৬টার দিকে ৮-১০ জনের একটি দল মাজার ভাঙচুর করে। মাজার পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও পৌর বিএনপির সভাপতি আবু
নাছের বলেন, মাজারে কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ হতো না। বছরে একবার মেলা হয়। মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের দুই ছেলে হৃদয় ও বিজয়ের নেতৃত্বে সেখানে হামলা হয়েছে। তারা মাজারের কবরস্থান ও দেয়াল গুঁড়িয়ে দেয়। জুমার নামাজের পর এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে মাজারে হামলাকারীদের ধরতে এলাকায় তল্লাশি চালায়। কিন্তু হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। মাজারটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হামলা-ভাঙচুরের কথা স্বীকার করে হৃদয় বলেন, মাজার বেদাত। এখানে শিরক কাজ হতো। প্রতিবছর এখানে ওরস ও মেলা হয়। নারী-পুরুষ মাজারে এসে নামাজ আদায় করে, এটি বেদাত। আমরা এখান থেকে কবরটা স্থানান্তর করে অন্যত্র নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। কারণ এখানে যে মসজিদ রয়েছে,
সেটাতে জায়গা কম। তাই কবর সরিয়ে মসজিদ বড় করে গড়ে তোলাই আমাদের উদ্দেশ্য। এ বিষয়ে জানতে মাজার পরিচালনা পর্ষদ সম্পাদক তাজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, হামলার ঘটনা সম্পর্কে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
হতো। মাজারের নামে এখানে ব্যবসা খুলে বসেছিল একটি চক্র। স্থানীয়রা জানান, জুমার নামাজের পর ভেকু দিয়ে মাজারের ছাদসহ অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে মাজারের বিভিন্ন ঘরে আগুন দেওয়া হয়। লুট হয় দানবাক্স, সিন্দুক, রান্নাঘরসহ বিভিন্ন আসবাব। মাজার ভাঙার সময় কোনো ভক্ত-অনুরাগী ছিলেন না। বিষয়টি টের পেয়ে তারা আগেই পালিয়ে যান। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, মাজারটির নিরাপত্তা দিতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয় সকাল থেকেই। কিন্তু দুপুরে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি একত্রিত হয়ে মাজারটি ভেঙে দেন। পুলিশ বারবার না ভাঙতে অনুরোধ করলেও তারা শোনেননি। একই দিন নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লায় ফকির চাড়ু মিজি শাহ্ (রহ.) মাজারে হামলা
চালিয়ে ভাঙচুর করেছে একদল লোক। অভিযোগ উঠেছে, মাজার পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের দুই ছেলে আশরাফুল ইসলাম বিজয় ও ওয়াহেদুল ইসলাম হৃদয়ের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। বিজয় ও হৃদয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লার দরগাহ বাড়িতে ব্রিটিশ শাসনামলে আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ফকির চাড়ু মিজি শাহ্ নামের এক বুজুর্গকে দাফন করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাঁর কবর ঘিরে সেখানে ১৫ শতক জমির ওপর মসজিদ ও মাজার গড়ে তোলেন ভক্তরা। প্রতিবছর এ মাজার প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী ওরস ও মেলার আয়োজন করা হয়। গতকাল ভোর ৬টার দিকে ৮-১০ জনের একটি দল মাজার ভাঙচুর করে। মাজার পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও পৌর বিএনপির সভাপতি আবু
নাছের বলেন, মাজারে কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ হতো না। বছরে একবার মেলা হয়। মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের দুই ছেলে হৃদয় ও বিজয়ের নেতৃত্বে সেখানে হামলা হয়েছে। তারা মাজারের কবরস্থান ও দেয়াল গুঁড়িয়ে দেয়। জুমার নামাজের পর এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে মাজারে হামলাকারীদের ধরতে এলাকায় তল্লাশি চালায়। কিন্তু হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। মাজারটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হামলা-ভাঙচুরের কথা স্বীকার করে হৃদয় বলেন, মাজার বেদাত। এখানে শিরক কাজ হতো। প্রতিবছর এখানে ওরস ও মেলা হয়। নারী-পুরুষ মাজারে এসে নামাজ আদায় করে, এটি বেদাত। আমরা এখান থেকে কবরটা স্থানান্তর করে অন্যত্র নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। কারণ এখানে যে মসজিদ রয়েছে,
সেটাতে জায়গা কম। তাই কবর সরিয়ে মসজিদ বড় করে গড়ে তোলাই আমাদের উদ্দেশ্য। এ বিষয়ে জানতে মাজার পরিচালনা পর্ষদ সম্পাদক তাজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, হামলার ঘটনা সম্পর্কে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।