ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:১৩ 9 ভিউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বুধবার (১৬ এপ্রিল) সাতটি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেগুলোকে তারা দ্রুত অভিবাসী প্রত্যাবাসনে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে মনে করছে। নতুন আশ্রয়নীতির মাধ্যমে এসব দেশের নাগরিকদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে আশ্রয় প্রার্থনা (অ্যাসাইলাম) কঠিন করে তোলা হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা কসোভো, বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, মিসর, ভারত, মরক্কো ও তিউনিসিয়াকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার প্রস্তাব করছে। ব্রাসেলস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছে। এর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকদের আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, এই পদক্ষেপ ইইউভুক্ত দেশের সরকারকে এই তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে আশ্রয় প্রার্থনার

আবেদনগুলো আরও দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ হবে এমন ধারণা পোষণ করা হচ্ছে। তবে এই ধরনের দাবির কোনো ভিত্তি নেই। ইইউর অভিবাসন কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক সদস্য রাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদনের অনেক জট লেগে আছে। তাই দ্রুত আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আমরা এখন যেকোনো কিছু করতে পারি। গতকাল বুধবার কমিশন জানিয়েছে, ইইউর দেশগুলো নিরাপদ দেশ মনোনয়নে নীতিগতভাবে মানদণ্ড নির্ধারণ করবে। তবে এতে ব্যতিক্রমও থাকতে পারে। যদি এসব দেশ (তালিকাভুক্ত দেশ) কোনো সংঘাতের শিকার হয়, তা হলে ভিন্ন দৃষ্টান্ত হবে। তবে তা ইউক্রেনের মতো নয়। এর আগে ২০১৫ সালেও ইইউ একই ধরনের তালিকা উপস্থাপন করেছিল। তবে তুরস্ককে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, তা নিয়ে উত্তপ্ত

বিতর্কের কারণে পরিকল্পনাটি বাতিল করা হয়। কমিশন জানিয়েছে, বুধবার প্রকাশিত তালিকাটি সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রসারিত বা পর্যালোচনা করা যেতে পারে। যেসব দেশ থেকে বর্তমানে বেশি সংখ্যক আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন এসেছে, তা দেখে তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। ইইউর বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আশ্রয়ের বিষয়ে ‘নিরাপদ’ বলে মনে করা দেশগুলোকে মনোনীত করেছে। উদাহরণস্বরূপ ফ্রান্সের তালিকায় মঙ্গোলিয়া, সার্বিয়া ও কেপ ভার্দে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইইউ প্রচেষ্টার লক্ষ্য হচ্ছে, নীতিগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং সব সদস্য রাষ্ট্রের যে একই ভিত্তিরেখা রয়েছে, তা নিশ্চিত করা। ইইউর দেশগুলো নিজেদের মতো করে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে তালিকায় নতুন রাষ্ট্র যোগ করতে পারে, কিন্তু তা থেকে বাদ দিতে পারে না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
চায়ের দোকানে তালা দেওয়ার অভিযোগ জবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনসিপিতে বিশেষ কমিটি গঠন ‘পতিতাদের শ্রমিক ঘোষণার প্রস্তাব ইসলামের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ নারী সংস্কার কমিশন ও তাদের প্রস্তাবনা বাতিলের আহ্বান লেবাননে বিস্ফোরণে তিন সেনা নিহত মৃত্যুপুরী গাজায় মৃত্যুঞ্জয়ী কিশোরী গাজায় জীর্ণ তাঁবুতে শীর্ণ জীবন ভারতে দলিত তরুণকে অপহরণ, নির্যাতন ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ বিশেষ সম্মাননা পেলেন বুবলী জাবিতে নতুন ভবনের স্থান নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, যা জানালো কর্তৃপক্ষ বন্ধুদের পছন্দের রিলস পাঠানোর নতুন ফিচার আনল ইনস্টাগ্রাম রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংক নয় লেবাননে বিস্ফোরণে তিন সেনা নিহত লেবাস বদলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ঘাটতি পূরণে বিদেশি ঋণে নির্ভরতা ৯৮ বছর ধরে চলছে কুরআন তিলাওয়াত বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত তোফায়েলের পালক পুত্রের ৩৪ কোটি টাকার সম্পদ! বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্প বাতিল নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় পাশে থাকবে তুরস্ক