
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বিলাসবহুল অফিস ও বন্দর কমিটি নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ

শাহজাদপুরে যুবদল কর্মীকে হত্যার অভিযোগ

হাট ইজারা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

চেকপোস্ট ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

অবরোধ প্রত্যাহার, গাজীপুরে আড়াই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

ঘুম থেকে উঠে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ দেখেন মা
কিশোর গ্যাং ভয়ংকর ছিনতাইকারী

ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে গাজীপুরের টঙ্গী শিল্পাঞ্চল এলাকা। টঙ্গীর দুই থানার বিভিন্ন এলাকায় দিনে অন্তত ৩০-৪০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইকারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও। ছিনতাইয়ের শিকার লোকজন বাড়তি ঝামেলা এড়াতে থানা পুলিশ পর্যন্ত যান না। ফলে ছিনতাইয়ের সব ঘটনা রেকর্ডও হয় না। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, টঙ্গীতে রীতিমতো বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ছোট-বড় অন্তত ৪০টি কিশোর গ্যাং বিভিন্ন বস্তি এবং পাড়া-মহল্লায় সক্রিয়। বস্তিগুলোতে রয়েছে একাধিক গ্যাং। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা সুযোগ বুঝে ছিনতাই করে। তাছাড়া ডাকাতি, যৌন হয়রানি, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসা, দখলবাজি, অস্ত্রবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত গ্যাংয়ের সদস্যরা। এই অপরাধীরা দিনে তৎপর থাকলেও
সন্ধ্যা নামতেই আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠে। টঙ্গীর বউবাজার এলাকার পোশাক শ্রমিক রহিমা বেগম জানান, রাতবিরাতে অফিস থেকে ফিরতে হয়। প্রায়ই ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তিনি ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বেতনের টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা তুলে বাসায় ফিরছিলেন। বউবাজার রেললাইনের কাছে পৌঁছতেই তিন যুবক তাকে ঘিরে ধরে। ধারালো চাকু দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তবে সঙ্গে থাকা বাটন ফোনটি ফেরত দেয়। ভুক্তভোগীরা জানান, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বেশি টার্গেট করে পোশাক শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষকে। রাতবিরাতে চলাফেরা করতে হয়, এই কারণে এরা রাস্তায় আক্রমণ করে। ভয়ে কেউ কথা বলারও
সাহস পান না। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই টঙ্গীর কিছু সড়ক ও এলাকা চলে যায় ছিনতাইকারীদের দখলে। প্রতিটি ছিনতাই দলে চার থেকে ৫ জন করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওতপেতে থাকে। সুযোগ বুঝে পথচারী ও রিকশা থামিয়ে অস্ত্রের মুখে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। আর বাধা দিলেই খুন-জখম করে। মূলত মাদকের টাকা জোগাড় করতেই তারা ভয়ংকর হয়ে ওঠে। ৩ দিনের ব্যবধানে ছিনতাইকারীর হাতে প্রাণ গেছে দুজনের। এর মধ্যে ৯ এপ্রিল ভোরে টঙ্গী সাহাজ উদ্দিন স্কুলের পেছনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে জীবন (২৭) নামে এক পরিবহণ শ্রমিক নিহত হন। এর আগে ৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৭টায় টঙ্গী পশ্চিম থানার দেওড়া মুদাফা এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আলিমুল নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহত
হন। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ বছরে টঙ্গীতে ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে প্রাণ গেছে অন্তত ৩০ জনের। আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক মানুষ। ২০২৪ সালে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন এক পোশাক শ্রমিকসহ দুজন। এছাড়া সম্প্রতি ছিনতাইকারী সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে জনতা। টঙ্গী রেল স্টেশন এলাকায় দিনে দুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আর সন্ধ্যার পর এই এলাকা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠে। টঙ্গী জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, এক মাসে ৫-৬ জনকে অস্ত্রসহ আমরা গ্রেফতার করেছি। এরপরও দমানো যাচ্ছে না এই অপরাধ। লোকজন ট্রেন থেকে নামলেই ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সুযোগ বুঝে ঘিরে ধরে সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে
যায়। কিশোর গ্যাং : আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অন্তত ৪০টি গ্যাংয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে টঙ্গীতে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কিশোর গ্যাংয়ের কোনো তালিকা নেই। গ্যাংগুলোর মধ্যে বনমালা এলাকায় রাহাত গ্যাং, সজল গ্যাং, আরিচপুরে ডি কোম্পানি, গেইল ও পারভেজ গ্যাং, মরকুন গুদারাঘাটে আসাদ গ্যাং, গোপালপুরে বাজান গ্যাং, টঙ্গী বাজার এলাকায় বশির গ্যাং, নতুনবাজারে শুক্কুর গ্যাং, দত্তপাড়ায় নাতি সুমন গ্যাং, টঙ্গীবাজার এলাকায় বেডবস এসটি, পূর্ব আরিচপুর এলাকায় বড় পোলাপাইন, গাজীপুরা সাতাইশ এলাকায় বিচ্ছু, এরশাদনগর এলাকায় নষ্ট ছেলে, গাজীবাড়ি এলাকার অলরাউন্ডার, মিরাশপাড়া ও পাগাড় এলাকায় শিকার নামে কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বস্তিতে একাধিক গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। ছিনতাইয়ের ৩৭
হটস্পট : টঙ্গীতে ছিনতাইয়ের অন্তত ৩৭টি হটস্পট রয়েছে। এসব এলাকায় পেশাদার ছিনতাইকারীদের পাশাপাশি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাও ছিনতাই করে। এই গ্যাং পোষেন এলাকার প্রভাবশালীরা। আগে টঙ্গীর ডন মতিউর রহমান মতির ইশারায় চলত কিশোর গ্যাং। পটপরিবর্তনের পর মতি আত্মগোপনে থাকায় গ্যাংগুলো এখন অন্য প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পরিচালিত হচ্ছে। টঙ্গী স্টেশন রোড, কামারপাড়া রোড, নিমতলী রেলগেট, মধুমিতা রেলগেট, টেলিফোন শিল্প সংস্থা গেট, এরশাদনগর, পানির ট্যাংকি মোড়, মেঘনা পিনাকি গার্মেন্টের সামনে, নতুন বাজার রেলগেট, সিলমুন বাসস্ট্যান্ড, নিমতলী সেতু, কেরানিরটেক, ব্যাংক মাঠ বস্তি, মধুমিতা দরবার শরিফ মোড়, বউবাজার রেলগেট, আরিচপুর, মাছিমপুর তিতাস গ্যাস রোড, আরিচপুর রেললাইন, গরুর বাজার, মিলগেট, নামার বাজার, নওয়াগাঁও, তিস্তার গেট, দত্তপাড়া সমাজকল্যাণ রোড
কবরস্থান, বনমালা রেলগেট, সফিউদ্দিন রোড, গাজীপুরা বাঁশপট্টি, হোসেন মার্কেট, টঙ্গী বাজার ও উড়াল সেতু, হাজী মাজার বস্তি, মিরেশ পাড়া, শিলমুন, মরকুন, হকের মোড়, সান্দার পাড়া, দত্তপাড়া, খরতৈল, সাতাইশ বাগানবাড়ি, মোল্লাবাড়ি রোড, বড় দেওড়াসহ আরও বেশ কয়েকটি স্থান সন্ধ্যার পর চলে যায় ছিনতাইকারীদের দখলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বহীনতার কারণে দিন দিন বাড়ছে ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ। ভুক্তভোগীরা জানান, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মানুষকে হয়রানি, মারধর বা রাজনৈতিক মিছিলে এসব কিশোর তরুণদের ব্যবহার করা হয়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের দাপটে গার্মেন্ট শ্রমিকরা নিয়মিত বেতন বাসার ভেতরেও নিয়ে যেতে পারে না। পোশাক শ্রমিক এক তরুণী বলেন, টঙ্গীতে নিরাপত্তার খুবই অভাব। রাস্তাঘাটে ঘিরে ধরে অপরাধীরা। টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে চলে যায়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে ধর্ষণ এবং উত্ত্যক্তের ঘটনাও অহরহ ঘটে। ইদানীং গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য অনেক বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর দাবি, টঙ্গীতে বিপুলসংখ্যক ভাসমান মানুষের অবস্থান। অনেক সময় অপরাধীরা অপরাধ করে অন্য জায়গায় চলে যায়। এসব অপরাধীকে ধরতে তারা তৎপর। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন বস্তি বা ভাসমান কিংবা মাদক ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত, সেবনের সঙ্গে জড়িতদেরও প্রতিনিয়ত গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রতিটি এলাকায় বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই ধরনের কিশোর গ্যাং যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য প্রতিটি এলাকায় সচেতনতামূলক বৈঠক, উঠান বৈঠক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, একদিনে আমি ১৯ জন ছিনতাইকারীও গ্রেফতার করেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে আগের চেয়ে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য কিছুটা সহনীয়। টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। অপরাধ যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই লক্ষ্যে টহল জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধেও আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
সন্ধ্যা নামতেই আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠে। টঙ্গীর বউবাজার এলাকার পোশাক শ্রমিক রহিমা বেগম জানান, রাতবিরাতে অফিস থেকে ফিরতে হয়। প্রায়ই ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তিনি ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বেতনের টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা তুলে বাসায় ফিরছিলেন। বউবাজার রেললাইনের কাছে পৌঁছতেই তিন যুবক তাকে ঘিরে ধরে। ধারালো চাকু দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তবে সঙ্গে থাকা বাটন ফোনটি ফেরত দেয়। ভুক্তভোগীরা জানান, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বেশি টার্গেট করে পোশাক শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষকে। রাতবিরাতে চলাফেরা করতে হয়, এই কারণে এরা রাস্তায় আক্রমণ করে। ভয়ে কেউ কথা বলারও
সাহস পান না। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই টঙ্গীর কিছু সড়ক ও এলাকা চলে যায় ছিনতাইকারীদের দখলে। প্রতিটি ছিনতাই দলে চার থেকে ৫ জন করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওতপেতে থাকে। সুযোগ বুঝে পথচারী ও রিকশা থামিয়ে অস্ত্রের মুখে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। আর বাধা দিলেই খুন-জখম করে। মূলত মাদকের টাকা জোগাড় করতেই তারা ভয়ংকর হয়ে ওঠে। ৩ দিনের ব্যবধানে ছিনতাইকারীর হাতে প্রাণ গেছে দুজনের। এর মধ্যে ৯ এপ্রিল ভোরে টঙ্গী সাহাজ উদ্দিন স্কুলের পেছনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে জীবন (২৭) নামে এক পরিবহণ শ্রমিক নিহত হন। এর আগে ৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৭টায় টঙ্গী পশ্চিম থানার দেওড়া মুদাফা এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আলিমুল নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহত
হন। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ বছরে টঙ্গীতে ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে প্রাণ গেছে অন্তত ৩০ জনের। আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক মানুষ। ২০২৪ সালে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন এক পোশাক শ্রমিকসহ দুজন। এছাড়া সম্প্রতি ছিনতাইকারী সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে জনতা। টঙ্গী রেল স্টেশন এলাকায় দিনে দুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আর সন্ধ্যার পর এই এলাকা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠে। টঙ্গী জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, এক মাসে ৫-৬ জনকে অস্ত্রসহ আমরা গ্রেফতার করেছি। এরপরও দমানো যাচ্ছে না এই অপরাধ। লোকজন ট্রেন থেকে নামলেই ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সুযোগ বুঝে ঘিরে ধরে সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে
যায়। কিশোর গ্যাং : আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অন্তত ৪০টি গ্যাংয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে টঙ্গীতে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কিশোর গ্যাংয়ের কোনো তালিকা নেই। গ্যাংগুলোর মধ্যে বনমালা এলাকায় রাহাত গ্যাং, সজল গ্যাং, আরিচপুরে ডি কোম্পানি, গেইল ও পারভেজ গ্যাং, মরকুন গুদারাঘাটে আসাদ গ্যাং, গোপালপুরে বাজান গ্যাং, টঙ্গী বাজার এলাকায় বশির গ্যাং, নতুনবাজারে শুক্কুর গ্যাং, দত্তপাড়ায় নাতি সুমন গ্যাং, টঙ্গীবাজার এলাকায় বেডবস এসটি, পূর্ব আরিচপুর এলাকায় বড় পোলাপাইন, গাজীপুরা সাতাইশ এলাকায় বিচ্ছু, এরশাদনগর এলাকায় নষ্ট ছেলে, গাজীবাড়ি এলাকার অলরাউন্ডার, মিরাশপাড়া ও পাগাড় এলাকায় শিকার নামে কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বস্তিতে একাধিক গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। ছিনতাইয়ের ৩৭
হটস্পট : টঙ্গীতে ছিনতাইয়ের অন্তত ৩৭টি হটস্পট রয়েছে। এসব এলাকায় পেশাদার ছিনতাইকারীদের পাশাপাশি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাও ছিনতাই করে। এই গ্যাং পোষেন এলাকার প্রভাবশালীরা। আগে টঙ্গীর ডন মতিউর রহমান মতির ইশারায় চলত কিশোর গ্যাং। পটপরিবর্তনের পর মতি আত্মগোপনে থাকায় গ্যাংগুলো এখন অন্য প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পরিচালিত হচ্ছে। টঙ্গী স্টেশন রোড, কামারপাড়া রোড, নিমতলী রেলগেট, মধুমিতা রেলগেট, টেলিফোন শিল্প সংস্থা গেট, এরশাদনগর, পানির ট্যাংকি মোড়, মেঘনা পিনাকি গার্মেন্টের সামনে, নতুন বাজার রেলগেট, সিলমুন বাসস্ট্যান্ড, নিমতলী সেতু, কেরানিরটেক, ব্যাংক মাঠ বস্তি, মধুমিতা দরবার শরিফ মোড়, বউবাজার রেলগেট, আরিচপুর, মাছিমপুর তিতাস গ্যাস রোড, আরিচপুর রেললাইন, গরুর বাজার, মিলগেট, নামার বাজার, নওয়াগাঁও, তিস্তার গেট, দত্তপাড়া সমাজকল্যাণ রোড
কবরস্থান, বনমালা রেলগেট, সফিউদ্দিন রোড, গাজীপুরা বাঁশপট্টি, হোসেন মার্কেট, টঙ্গী বাজার ও উড়াল সেতু, হাজী মাজার বস্তি, মিরেশ পাড়া, শিলমুন, মরকুন, হকের মোড়, সান্দার পাড়া, দত্তপাড়া, খরতৈল, সাতাইশ বাগানবাড়ি, মোল্লাবাড়ি রোড, বড় দেওড়াসহ আরও বেশ কয়েকটি স্থান সন্ধ্যার পর চলে যায় ছিনতাইকারীদের দখলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বহীনতার কারণে দিন দিন বাড়ছে ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ। ভুক্তভোগীরা জানান, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মানুষকে হয়রানি, মারধর বা রাজনৈতিক মিছিলে এসব কিশোর তরুণদের ব্যবহার করা হয়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের দাপটে গার্মেন্ট শ্রমিকরা নিয়মিত বেতন বাসার ভেতরেও নিয়ে যেতে পারে না। পোশাক শ্রমিক এক তরুণী বলেন, টঙ্গীতে নিরাপত্তার খুবই অভাব। রাস্তাঘাটে ঘিরে ধরে অপরাধীরা। টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে চলে যায়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে ধর্ষণ এবং উত্ত্যক্তের ঘটনাও অহরহ ঘটে। ইদানীং গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য অনেক বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর দাবি, টঙ্গীতে বিপুলসংখ্যক ভাসমান মানুষের অবস্থান। অনেক সময় অপরাধীরা অপরাধ করে অন্য জায়গায় চলে যায়। এসব অপরাধীকে ধরতে তারা তৎপর। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন বস্তি বা ভাসমান কিংবা মাদক ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত, সেবনের সঙ্গে জড়িতদেরও প্রতিনিয়ত গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রতিটি এলাকায় বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই ধরনের কিশোর গ্যাং যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য প্রতিটি এলাকায় সচেতনতামূলক বৈঠক, উঠান বৈঠক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, একদিনে আমি ১৯ জন ছিনতাইকারীও গ্রেফতার করেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে আগের চেয়ে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য কিছুটা সহনীয়। টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। অপরাধ যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই লক্ষ্যে টহল জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধেও আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।