
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

চলন্ত বাসে ডাকাতি, বড়াইগ্রাম থানার ওসিকে প্রত্যাহার

বরখাস্ত হচ্ছেন শেকৃবির ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির লোমহর্ষক বর্ণনা

জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২৮ এপ্রিল

এস কে সুর পরিবারের ৩৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ফ্ল্যাট-জমি জব্দ

সাবেক গভর্নর আতিউর ও অর্থনীতিবিদ বারাকাতের বিরুদ্ধে মামলা

নাফিজ সরাফতের ২ সহযোগী ও স্ত্রীসহ সরওয়ারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
গ্যাসের অভাবে বছরের অর্ধেক সময় বন্ধ থাকছে আশুগঞ্জ সার কারখানা

পুরনো যন্ত্রপাতির কারণে এমনিতেই হ্রাস পেয়েছে উৎপাদন ক্ষমতা। কোনোরকম জোড়াতালির মাধ্যমে সার উৎপাদন করে সরবরাহ করা হয় আওতাভুক্ত সাত জেলায়। তবে গেলো কয়েক বছর ধরেই গ্যাসের সরবরাহ না থাকার কারণে বছরের অর্ধেক সময় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ থাকছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায়।
এর ফলে দিন দিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে কারখানাটি। এছাড়া প্রতিবছরই সার উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী দেশের অন্যতম বৃহৎ এ প্রতিষ্ঠানটি।
যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সার কারখানাটির কোনো আর্থিক দায় নেই। ফলে এটি চালু রাখতে পারলেই যেমন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব, তেমনি বিদেশ থেকে সার আমদানির নির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮০
সালে আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা এলাকার মেঘনা নদীর পাশে নির্মিত হয় আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড ক্যামিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড, যা আশুগঞ্জ সার কারখানা নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৮১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু করে বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন পরিচালিত এই কারখানাটি। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালের জুলাই মাস থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয় আশুগঞ্জ সার কারখানায়। কারখানাটিতে উৎপাদিত হয় প্রিলড ইউরিয়া সার। গুণগত মানসম্পন্ন হওয়ায় কৃষকদের কাছে এই সারের চাহিদাও বেশি। আশুগঞ্জ সার কারখানার তালিকাভুক্ত সার ডিলার রয়েছে প্রায় সাড়ে ৭শ। এসব ডিলারের মাধ্যমে ইউরিয়া সার সরবরাহ করা হয় আওতাভুক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায়। মূলত ইউরিয়া সার উৎপাদনে প্রধান কাঁচামাল
হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রাকৃতিক গ্যাস, পানি ও বাতাস। পানির যোগান দেওয়া হয় কারখানা সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকেই। আর প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করে বাখবারাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিকে কারখানাটির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১৬শ টন। তবে যন্ত্রপাতি পুরনো হওয়ার সাথে সাথে উৎপাদন ক্ষমতাও হ্রাস পেতে থাকে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ১১শ টন ইউরিয়া সার উৎপাদনে সক্ষম আশুগঞ্জ সার কারখানা। এদিকে, ঘন ঘন যান্ত্রিক ত্রুটি এবং গ্যাসের সংকটের কারণে বছরের অর্ধেক সময়ই উৎপাদন বন্ধ থাকছে আশুগঞ্জ সার কারখানায়। সর্বশেষ গেলো বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে কারখানাটি। পরবর্তীতে শ্রমিকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর গত ১৫ নভেম্বর
গ্যাস সরবরাহ করা হলেও দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে গত ২৩ জানুয়ারি ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়। এ অবস্থায় সার উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে কারখানাটি। সার কারখানা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ইউরিয় সার উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৫৭ মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে ৯৬ হাজার ৪৬ মেট্রিক টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩ লাখ মেট্রিক টনের বিপরীতে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ৪৮ হাজার ৪৫৩ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে
একটি চক্রের নির্দেশে বিদেশ থেকে সার আমদানির জন্য আশুগঞ্জ সার কারখানাসহ দেশীয় সার কারখানাগুলোতে বছরের দীর্ঘ সময় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হতো। এর ফলে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে না পেরে দিন দিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে আশুগঞ্জ সার কারখানা। বর্তমানে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও চাপ কম থাকায় পুরোদমে উৎপাদন করা যাচ্ছে না। মূলত কারখানাটি সচল রাখতে প্রতিদিন ৪০-৪২ বার চাপে ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। তবে এরচেয়ে কম চাপ এবং পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ করছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। আশুগঞ্জ সার কারখানা এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সরকারকে বুঝিয়ে বিদেশ থেকে
সার আমদানির ব্যবসা শুরু করে। তাদেরকে সুবিধা দিতেই দেশীয় সার কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করা হতো না। গত ১৩ বছর ধরেই আশুগঞ্জ সার কারখানা বছরে ৩-৬ মাস গ্যাস পায়। এতো অল্প সময় উৎপাদন করে সব খরচ মিটিয়ে লাভ করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, আশুগঞ্জ সার কারখানার কোনো দায় নেই। ফলে সারাবছর কারখানাটি চালু রাখতে পারলেই লাভ। এজন্য বারবার মেরামত না করে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি নতুন করে সংযোজন করা প্রয়োজন। এতে করে কারখানাটি যেমন লাভজনক হবে, তেমনি বিদেশ থেকে সার আমদানি নির্ভরতাও কমানোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা যাবে। বাখারাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রেজা বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে
বিসিআইসিকে গ্যাস বরাদ্দ দেওয়ার পর বিসিআইসি নির্ধারণ করে কখন কোন কারখানাকে কতটুকু গ্যাস দেবে। সে হিসেবে আশুগঞ্জ সার কারখানা যেহেতু অনেক পুরনো- সেজন্য হয়তো এটা বন্ধ রাখে। আর যেহেতু জাতীয় গ্রিডেই এখন গ্যাসের সংকট, সেজন্য আশুগঞ্জ সার কারখানাকে চাহিদা মতো চাপে গ্যাস দেয়া যাচ্ছেনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ সার কারখানার অ্যামোনিয়া প্লান্টের ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন বলেন, আশুগঞ্জ সার কারখানাটি ৪০ বছরেরও বেশি পুরনো। গ্যাসের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিরও কিছু সমস্যা আছে। বিসিআইসি কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগীতায় সমস্যাগুলো সমাধান করা হচ্ছে। এর ফলে কারখানাটি উৎপাদনের ধারায় ফিরে এসেছে। তবে বর্তমানে গ্যাসের চাপ কম থাকার কারণে উৎপাদনে গতি আনা যাচ্ছেনা। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গ্যাসের চাপ বাড়লে উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে।
সালে আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা এলাকার মেঘনা নদীর পাশে নির্মিত হয় আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড ক্যামিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড, যা আশুগঞ্জ সার কারখানা নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৮১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু করে বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন পরিচালিত এই কারখানাটি। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালের জুলাই মাস থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয় আশুগঞ্জ সার কারখানায়। কারখানাটিতে উৎপাদিত হয় প্রিলড ইউরিয়া সার। গুণগত মানসম্পন্ন হওয়ায় কৃষকদের কাছে এই সারের চাহিদাও বেশি। আশুগঞ্জ সার কারখানার তালিকাভুক্ত সার ডিলার রয়েছে প্রায় সাড়ে ৭শ। এসব ডিলারের মাধ্যমে ইউরিয়া সার সরবরাহ করা হয় আওতাভুক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায়। মূলত ইউরিয়া সার উৎপাদনে প্রধান কাঁচামাল
হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রাকৃতিক গ্যাস, পানি ও বাতাস। পানির যোগান দেওয়া হয় কারখানা সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকেই। আর প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করে বাখবারাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিকে কারখানাটির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১৬শ টন। তবে যন্ত্রপাতি পুরনো হওয়ার সাথে সাথে উৎপাদন ক্ষমতাও হ্রাস পেতে থাকে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ১১শ টন ইউরিয়া সার উৎপাদনে সক্ষম আশুগঞ্জ সার কারখানা। এদিকে, ঘন ঘন যান্ত্রিক ত্রুটি এবং গ্যাসের সংকটের কারণে বছরের অর্ধেক সময়ই উৎপাদন বন্ধ থাকছে আশুগঞ্জ সার কারখানায়। সর্বশেষ গেলো বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে কারখানাটি। পরবর্তীতে শ্রমিকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর গত ১৫ নভেম্বর
গ্যাস সরবরাহ করা হলেও দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে গত ২৩ জানুয়ারি ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়। এ অবস্থায় সার উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে কারখানাটি। সার কারখানা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ইউরিয় সার উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৫৭ মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে ৯৬ হাজার ৪৬ মেট্রিক টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩ লাখ মেট্রিক টনের বিপরীতে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ৪৮ হাজার ৪৫৩ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে
একটি চক্রের নির্দেশে বিদেশ থেকে সার আমদানির জন্য আশুগঞ্জ সার কারখানাসহ দেশীয় সার কারখানাগুলোতে বছরের দীর্ঘ সময় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হতো। এর ফলে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে না পেরে দিন দিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে আশুগঞ্জ সার কারখানা। বর্তমানে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও চাপ কম থাকায় পুরোদমে উৎপাদন করা যাচ্ছে না। মূলত কারখানাটি সচল রাখতে প্রতিদিন ৪০-৪২ বার চাপে ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। তবে এরচেয়ে কম চাপ এবং পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ করছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। আশুগঞ্জ সার কারখানা এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সরকারকে বুঝিয়ে বিদেশ থেকে
সার আমদানির ব্যবসা শুরু করে। তাদেরকে সুবিধা দিতেই দেশীয় সার কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করা হতো না। গত ১৩ বছর ধরেই আশুগঞ্জ সার কারখানা বছরে ৩-৬ মাস গ্যাস পায়। এতো অল্প সময় উৎপাদন করে সব খরচ মিটিয়ে লাভ করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, আশুগঞ্জ সার কারখানার কোনো দায় নেই। ফলে সারাবছর কারখানাটি চালু রাখতে পারলেই লাভ। এজন্য বারবার মেরামত না করে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি নতুন করে সংযোজন করা প্রয়োজন। এতে করে কারখানাটি যেমন লাভজনক হবে, তেমনি বিদেশ থেকে সার আমদানি নির্ভরতাও কমানোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা যাবে। বাখারাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রেজা বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে
বিসিআইসিকে গ্যাস বরাদ্দ দেওয়ার পর বিসিআইসি নির্ধারণ করে কখন কোন কারখানাকে কতটুকু গ্যাস দেবে। সে হিসেবে আশুগঞ্জ সার কারখানা যেহেতু অনেক পুরনো- সেজন্য হয়তো এটা বন্ধ রাখে। আর যেহেতু জাতীয় গ্রিডেই এখন গ্যাসের সংকট, সেজন্য আশুগঞ্জ সার কারখানাকে চাহিদা মতো চাপে গ্যাস দেয়া যাচ্ছেনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ সার কারখানার অ্যামোনিয়া প্লান্টের ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন বলেন, আশুগঞ্জ সার কারখানাটি ৪০ বছরেরও বেশি পুরনো। গ্যাসের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিরও কিছু সমস্যা আছে। বিসিআইসি কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগীতায় সমস্যাগুলো সমাধান করা হচ্ছে। এর ফলে কারখানাটি উৎপাদনের ধারায় ফিরে এসেছে। তবে বর্তমানে গ্যাসের চাপ কম থাকার কারণে উৎপাদনে গতি আনা যাচ্ছেনা। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গ্যাসের চাপ বাড়লে উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে।