এবার অভিশংসনের মুখোমুখি দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট – ইউ এস বাংলা নিউজ




এবার অভিশংসনের মুখোমুখি দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৬:০০ 52 ভিউ
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের পর এবার অভিশংসনের মুখোমুখি হচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু। বৃহস্পতিবার এমনটাই ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। দলটি বলেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সুকে অভিশংসন করার জন্য আজ সংসদে একটি বিল উত্থাপন করেছে এবং শুক্রবার এ বিষয়ে ভোট গ্রহণ হবে। সর্বষেশ এই পদক্ষেপটি দেশটির সংবিধানিক সংকটকে আরও গভীর করতে পারে। যা স্বল্পস্থায়ী সামরিক আইন জারির কারণেই শুরু হয়েছিল। সংবিধান রক্ষার প্রশ্নে বিরোধী দলের অভিযোগ ডেমোক্রেটিক পার্টি এর আগে হুমকি দিয়ে বলেছিল, যদি হান অবিলম্বে সাংবিধানিক আদালতে তিনজন বিচারপতিকে নিয়োগ না দেন, তাহলে তারা ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করবে। বৃহস্পতিবার সংসদ তিনজন প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিলেও

হান এখনও তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ করেননি। ডেমোক্রেটিক পার্টির ফ্লোর লিডার পার্ক চ্যান-ডে এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু স্পষ্টতই সংবিধান রক্ষার যোগ্যতা বা ইচ্ছা রাখেন না। বৃহস্পতিবার সংসদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে ভোটাভুটি হতে হবে। হানের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের কারণ হিসেবে তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- প্রথম নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে একটি বিশেষ প্রসিকিউটর বিলের ভেটো। এদিকে যদি হান অভিশংসিত হন, তাহলে দেশটির অর্থমন্ত্রী ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ডেমোক্রেটিক পার্টি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও, হানের ইমপিচমেন্টের জন্য সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নাকি দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন- তা নিয়ে

অন্য দলগুলো এবং কিছু সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। হান বলেছেন, তিনি বিচারপতিদের নিয়োগ করবেন না, যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়। তার মতে, রাজনৈতিক মতৈক্য ছাড়া এই নিয়োগ সংবিধানিক শৃঙ্খলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বৃহস্পতিবার অনুমোদিত তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজনকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং একজনকে হানের পিপল পাওয়ার পার্টি মনোনীত করেছে। তবে ক্ষমতাসীন দল এই তালিকার বিরোধিতা করেছে। এদিকে শুক্রবার আদালতে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অভিশংসন ট্রায়ালের প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী, একজন অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে অপসারণের জন্য ৬ জন বিচারপতির সম্মতি প্রয়োজন। আদালত পূর্ণ ৯ সদস্যের বেঞ্চ ছাড়াই বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে বলে জানিয়েছে। ইউন সুক-ইওল গত ১৪ ডিসেম্বর সংসদ সদস্যদের ভোটে অভিশংসিত

হন। তিনি এখনও আদালতের অনুরোধ অনুযায়ী আইনি কাগজপত্র জমা দেননি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনি আদালতের সর্বশেষ সমনেও সাড়া দেননি। এদিকে, ইউনের সামরিক আইন ঘোষণার ঘটনায় অভিযুক্ত তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউনের আইনজীবীরা বলেছেন, পদক্ষেপটি ছিল বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অপব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। কিম ইয়ং-হিউন এই ইস্যুতে সবার আগে গ্রেফতার হওয়া কর্মকর্তাদের একজন। তিনি সম্ভবত ইন্ডাইটমেন্টের মুখোমুখি হতে পারেন। সূত্র: রয়টার্স

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
গাজায় অনাহারে অপুষ্টিতে ৫৭ শিশুর মৃত্যু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় নিহত আরও ৮১ ফিলিস্তিনি সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা ট্রাম্পের নয়া মেরুকরণের পথে রাজনীতি বিদেশে পাচারের টাকা দেশে আনতে ১১ চ্যালেঞ্জ ফররুখ আহমদের স্মৃতিধন্য বসতভিটা ধ্বংসের পথে এসএ গেমসের বাকি সাত মাস, প্রস্তুতি শুরু কবে? যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করল সৌদি আরব ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে রমরমা মামলা বাণিজ্য নতুন নিষেধাজ্ঞা কি থামাতে পারবে ইরানের পরমাণু অভিযাত্রা? ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা বেতন-পদোন্নতি নিয়ে চিকিৎসকদের সুখবর দিল সরকার গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত আরও ৪২ খুলনাসহ যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ গাজা নিয়ে নেতানিয়াহুর ভয়ংকর হুমকি প্রথা ভেঙে ট্রাম্পকে সম্মান জানালেন সৌদি যুবরাজ নমনীয় পদক্ষেপে বাংলাদেশ পাচ্ছে আইএমএফের ঋণ ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিল ইরান প্রথমে ধোলাই, তারপর সেই নেতাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা