এবার অভিশংসনের মুখোমুখি দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট – ইউ এস বাংলা নিউজ




এবার অভিশংসনের মুখোমুখি দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৬:০০ 10 ভিউ
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের পর এবার অভিশংসনের মুখোমুখি হচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু। বৃহস্পতিবার এমনটাই ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। দলটি বলেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সুকে অভিশংসন করার জন্য আজ সংসদে একটি বিল উত্থাপন করেছে এবং শুক্রবার এ বিষয়ে ভোট গ্রহণ হবে। সর্বষেশ এই পদক্ষেপটি দেশটির সংবিধানিক সংকটকে আরও গভীর করতে পারে। যা স্বল্পস্থায়ী সামরিক আইন জারির কারণেই শুরু হয়েছিল। সংবিধান রক্ষার প্রশ্নে বিরোধী দলের অভিযোগ ডেমোক্রেটিক পার্টি এর আগে হুমকি দিয়ে বলেছিল, যদি হান অবিলম্বে সাংবিধানিক আদালতে তিনজন বিচারপতিকে নিয়োগ না দেন, তাহলে তারা ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করবে। বৃহস্পতিবার সংসদ তিনজন প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিলেও

হান এখনও তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ করেননি। ডেমোক্রেটিক পার্টির ফ্লোর লিডার পার্ক চ্যান-ডে এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু স্পষ্টতই সংবিধান রক্ষার যোগ্যতা বা ইচ্ছা রাখেন না। বৃহস্পতিবার সংসদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে ভোটাভুটি হতে হবে। হানের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের কারণ হিসেবে তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- প্রথম নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে একটি বিশেষ প্রসিকিউটর বিলের ভেটো। এদিকে যদি হান অভিশংসিত হন, তাহলে দেশটির অর্থমন্ত্রী ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ডেমোক্রেটিক পার্টি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও, হানের ইমপিচমেন্টের জন্য সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নাকি দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন- তা নিয়ে

অন্য দলগুলো এবং কিছু সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। হান বলেছেন, তিনি বিচারপতিদের নিয়োগ করবেন না, যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়। তার মতে, রাজনৈতিক মতৈক্য ছাড়া এই নিয়োগ সংবিধানিক শৃঙ্খলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বৃহস্পতিবার অনুমোদিত তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজনকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং একজনকে হানের পিপল পাওয়ার পার্টি মনোনীত করেছে। তবে ক্ষমতাসীন দল এই তালিকার বিরোধিতা করেছে। এদিকে শুক্রবার আদালতে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অভিশংসন ট্রায়ালের প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী, একজন অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে অপসারণের জন্য ৬ জন বিচারপতির সম্মতি প্রয়োজন। আদালত পূর্ণ ৯ সদস্যের বেঞ্চ ছাড়াই বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে বলে জানিয়েছে। ইউন সুক-ইওল গত ১৪ ডিসেম্বর সংসদ সদস্যদের ভোটে অভিশংসিত

হন। তিনি এখনও আদালতের অনুরোধ অনুযায়ী আইনি কাগজপত্র জমা দেননি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনি আদালতের সর্বশেষ সমনেও সাড়া দেননি। এদিকে, ইউনের সামরিক আইন ঘোষণার ঘটনায় অভিযুক্ত তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউনের আইনজীবীরা বলেছেন, পদক্ষেপটি ছিল বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অপব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। কিম ইয়ং-হিউন এই ইস্যুতে সবার আগে গ্রেফতার হওয়া কর্মকর্তাদের একজন। তিনি সম্ভবত ইন্ডাইটমেন্টের মুখোমুখি হতে পারেন। সূত্র: রয়টার্স

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সাদপন্থি ও জুবায়েরপন্থি গ্রুপের দ্বন্দ্ব, সতর্ক অবস্থানে যৌথ বাহিনী ফজলুল আমীন জাভেদকে হন্যে হয়ে খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র ভারতে নো এন্ট্রি ফর বাংলাদেশি: ফ্যাক্ট চেক যা বলছে আজহারীর মাহফিলে লাখো মানুষের ঢল অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে পুড়ে গেছে সিঙ্গাপুরের সমান অঞ্চল ৬৩ বাংলাদেশি ইন্টারপোলের রেড লিস্টে আরও কমলো ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে পুড়ে গেছে সিঙ্গাপুরের সমান অঞ্চল রিহ্যাবের সদস্য না হয়েও মেলায় ছুটি রিসোর্ট, এক রুম বিক্রি হচ্ছে বহু ব্যক্তির কাছে নায়ক কোলে তুললে ভয় করে: রাশ্মিকা হুমকির মুখে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প তিব্বতে চীনের জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের ঘোষণা সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: পরিকল্পিত নাকি দুর্ঘটনা? ইয়াবা প্রবেশের নতুন ট্রানজিট পয়েন্ট আনোয়ারা মামলা বানিজ্য : বিএনপি-পন্থি আইনজীবীদের চেম্বারে ভিড় ২০২৫ সালের বিদেশ নীতি: ভারতের কৌশলগত অগ্রগতি সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে বিকল গ্রীনলাইন জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ার আহ্বান আলী রীয়াজের ইন্টারপোলের রেড তালিকায় ৬৩ বাংলাদেশির নাম জাহাজে নাবিক হত্যা : শোকে বাবার মৃত্যু, দিশেহারা নববধূ