নিমসার বাজার থেকে শতকোটি টাকার খাজনা লুট – ইউ এস বাংলা নিউজ




নিমসার বাজার থেকে শতকোটি টাকার খাজনা লুট

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:১৩ 60 ভিউ
কুমিল্লার যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন। একসময় বাজারে বাজারে ২০০ টাকা বেতনে খাজনা তুলতেন। তিনিই এখন অঢেল সম্পদের মালিক। শুধু নিমসার বাজার এক যুগ দখলে রেখেই প্রায় শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বাজারের ইজারায় শেয়ার দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় ৭-৮ জনের কাছ থেকেও নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। পরে তা আর ফেরত দেননি। এছাড়া অনেকের জমি দখল করে গড়েছেন পর্যটনকেন্দ্র ও মাছের খামার। নিজ গ্রামে দুই স্ত্রীর জন্য বানিয়েছেন দুটি বিলাসবহুল বাড়ি। মামুন ময়নামতীর আকাবপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি ময়নামতী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা

হয়। জানা যায়, ২০১২ সালে কুমিল্লার নিমসার কাঁচাবাজার ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে মামুন দলবল নিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকেন। বাজারের ইজারামূল্য ১ কোটি টাকা হলেও মামুন হাঁকান ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা। ফলে তিনিই ইজারা পেয়ে যান। কিন্তু পরে মাত্র কয়েক লাখ টাকা দিয়ে বাকি টাকা ঝুলিয়ে রাখেন। প্রশাসনের কাছে বাকি টাকা পরিশোধের জন্য বারবার সময় চান। এভাবে কোটি টাকার বাজার দখলে নেন তিনি। প্রতিদিন মামুন নিমসার কাঁচাবাজার থেকে তার লোকজনের মাধ্যমে খাজনা বাবদ আদায় করতেন ২ লাখ টাকা, যা মাসে দাঁড়ায় ৬০ লাখ টাকা। বছরে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২০১২ সাল থেকে বাজারটি দখলে নিয়ে খাজনা তুলছেন মামুন। ১২

বছরে বাজারটি থেকে হাতিয়ে নেন প্রায় শতকোটি টাকা। এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান, আবদুল্লাহ আল মামুন এখনো ইজারার টাকা পরিশোধ করেননি। ইজারার পুরো টাকা জমা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ২০১৫ সালে মামলা হয়েছে। সেই মামলা এখনো চলমান। জানা যায়, মামুন নিমসার বাজার ইজারা নিয়ে শেয়ার দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় অনেকের কাছ থেকে টাকাও ধার নিয়েছেন। কিন্তু তাদের শেয়ার বা লভ্যাংশ দেওয়া তো দূরের কথা, তাদের আসল টাকাই আর ফেরত দেননি। ময়নামতী ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের অ্যাডভোকেট মাহাবুবের কাছ থেকে নিয়েছেন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আকাবপুর গ্রামের আবদুল হালিমের কাছ থেকে নিয়েছেন সাড়ে ১০ লাখ টাকা। একই এলাকার

পাগড়ি সবুজের কাছ থেকে ৪০ লাখ, কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ৫০ লাখ এবং হোটেল মালিক তাজুল ইসলাম বাশুরীর কাছ থেকে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। শংকরপুরের মতিন মেম্বারের কাছ থেকে ২০ লাখ, বারাইর গ্রামের মনির হোসেনের কাছ থেকে ৫০ লাখ এবং তাজুল ইসলামের কাছ থেকে নিয়েছেন ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে আবেদনের সময় বাড়ল বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়াতে রাজি কিউবা মিচেল সৌদির নতুন হজ বিধিমালায় যা যা রয়েছে বেনিনে ৭০ সেনা সদস্যকে হত্যার দাবি আল কায়েদার ইস্টার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, পালটাপালটি অভিযোগ রাশিয়া-ইউক্রেনের রাখাল-কৃষক সংঘর্ষে ৫৬ জনের প্রাণহানি ভিডিওটি আমার নয়: পাকিস্তানের জনপ্রিয় টিকটকার শাশুড়িকে বাংলার ‘বাঘিনী’ বললেন অভিনেত্রী নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিনের ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ নির্ধারণ ভিডিওটি আমার নয়: পাকিস্তানের জনপ্রিয় টিকটকার যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা নিয়ে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির’ দাবি ওয়াশিংটনের ভারতে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হাজারো মুসলিমের সমাবেশ পুতিনের যুদ্ধবিরতিতে সন্দিহান মস্কোর বাসিন্দারা ইরানের ‘অতিগোপন’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত অস্ত্র মজুদ যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত একাধিক বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন কমল হাসান ‘সাহসী’ দৃশ্যে অভিনয় করতে পেরে আপ্লুত শ্রাবন্তী এমন হতশ্রী খেলা ভবিষ্যতে বিটিভিও দেখাবে তো? সালমান খানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কতটা বদলেছে সীমা সাজদেহের জীবন