হিজড়াদের আবাসনে দুর্বৃত্তের হামলার পরও খোঁজ নেয়নি প্রশাসন – ইউ এস বাংলা নিউজ




হিজড়াদের আবাসনে দুর্বৃত্তের হামলার পরও খোঁজ নেয়নি প্রশাসন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৭:০২ 259 ভিউ
অযত্ন আর অব‌হেলায় খুঁড়ি‌য়ে খুঁড়ি‌য়ে চল‌ছে শেরপু‌রের তৃতীয় লি‌ঙ্গের জন‌গোষ্ঠীর ‌একমাত্র আবাসন কেন্দ্র। সম্প্রতি রাজ‌নৈ‌তিক পটপরিবর্তনের পর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় প‌ল্লি‌টি‌তে। এতে আবাসন কেন্দ্রটির অনেক জি‌নিসপত্র খোয়া গেছে বলে অভিযোগ করেন সেখানে বসবাসরত হিজড়ারা। ২০২১ সা‌লের ৭ জুন শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২ একর জ‌মির ওপর নির্মিত হয় এই আবাসন পল্লী। সেই সময় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ৪০ জনের মাঝে জমিসহ ঘর বু‌ঝি‌য়ে দেন তৎকা‌লীন জেলা প্রশাসক আনারক‌লি মাহবুব। সেখানে বসবাসরত হিজড়ারা জানায়, পর গত ৪‌ সে‌প্টেম্বর দুর্বৃত্তরা হামলা করে ঘরের আসবাবপত্র, গ্যাসের চুলা, টিউবওয়েলসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। এরপর লুট হওয়া মালামাল ফেরত এবং দুর্বৃত্তদের

বিচার চেয়ে মাঠে নামে হিজড়া সম্প্রদায়। তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন, মিছিল করেও কোনো প্রতিকার পাননি। পরবর্তীতে বিষয়টি তৎকালীন শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর নজরে আসলে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হিজড়াদের পুনরায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেন। এরপরেও বর্তমানে অনেক কষ্টে বসবাস কর‌তে হ‌চ্ছে তাদের। আবাসন পল্লীর বাসিন্দা আঁখি আক্তার বলেন, ‘আমরা ভিক্ষাবৃত্তি করে নয়। কাজ করে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের যেন এই সুযোগ দেওয়া হয় এটাই সরকারের কাছে দাবি।’ শেরপুর জেলা হিজড়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি নিশি সরকার বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের আবাসনের ব্যবস্থা করে দিলেও ৪ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তদের হামলার পর প্রশাসন থেকে কোনো খোঁজ নেয়নি।

বিএনপি নেতা হযরত আলী দায়িত্ব নিয়ে পুনরায় আমাদের আবাসনে ফিরিয়ে এনেছেন। কিন্তু একসময় আমরা সরকারি যে সব সুযোগ-সুবিধা পেতাম এখন আর পাচ্ছি না। সরকার যেন আমাদের পুনরায় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সহযোগিতা করেন। শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন, হিজড়াপল্লীতে দুর্বৃত্তদের হামলার খবরটি শোনার পর আমি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাদের পুনরায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। আসবাবপত্র কিনে দিয়েছি এবং নগদ টাকাও দিয়েছি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত তাদের স্থায়ীভাবে কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, আবাসন কেন্দ্রটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এটি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের কেউ যদি সমস্যাগুলো লিখিতভাবে প্রশাসন বরাবর জানায়

তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা, জানালেন ফিট থাকার রহস্য ঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা কর্তৃপক্ষের নীরবতায় ক্ষুব্ধ তিস্তাপাড়বাসী, নদী গর্ভে শত শত বিঘা জমি অসুস্থ স্ত্রীকে কবর দেওয়ার চেষ্টা স্বামীর, ভিডিও ভাইরাল গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেপ্তার ৪ সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে ফাইনালের আগে যুবাদের দুর্দান্ত জয় ডেঙ্গুতে টালমাটাল চট্টগ্রাম মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল ঢাবি জুলাইয়ে আবারও বেড়েছে মূল্যস্ফীতি স্ত্রী-সন্তানকে অস্বীকার, কারাগারে ভুয়া ডাক্তার শুল্ক ইস্যুতে বিশ্ববাজারে বাড়ল সোনার দাম মাদুরোকে ধরিয়ে দিলে ৫ কোটি ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র পোশাক রপ্তানি কমেছে ১২ শতাংশ বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ বাক্স মাথায় পড়ে শিশুর মৃত্যু প্রবাসীদের জন্য সুখবর গরম নিয়ে দুঃসংবাদ আবহাওয়া অফিসের এস আলমের ২০০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক রাখার নির্দেশ মেঘনায় নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার ২২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল ভারত