
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আধা মণ দুধ দিয়ে গোসল স্বামীর

সিদ্ধিরগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

রাজধানীতে ভূমিকম্প অনুভূত

কক্সবাজারে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট থেকে ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান

বঙ্গোপসাগরে চার ট্রলারে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৮

উত্তরায় হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ, নারীসহ আটক ১৫
হাওড়াঞ্চলে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসানে কৃষক

গত বছর লাভের মুখ দেখায় স্থানীয় জালিয়ার হাওড়ের তিন একর জমিতে তিন লক্ষাধিক টাকা খরচ করে এবার মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছিলেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের চারিতলা গ্রামের কৃষক সোনাতন মিয়া (৫৫)। তবে এ বছর লাভের বদলে লোকসানের মুখে পড়েছেন তিনি।
মিষ্টি কুমড়ার বাজার মূল্য কম থাকায় ও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চরম হতাশাগ্রস্ত তিনি। এ বছর উৎপাদন খরচ তুলতে পারবেন কিনা- তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন কৃষক সোনাতন মিয়া।
সরেজমিনে জালিয়ার হাওড় এলাকায় মিষ্টি কুমড়ার হালচাল দেখতে গেলে কৃষক সোনাতন মিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব তথ্য জানা যায়।
সোনাতন মিয়ার মতো একই অবস্থা স্থানীয় অন্তত ১৫টি গ্রামের অর্ধশতাধিক মিষ্টি কুমড়া চাষির।
কৃষকের অভিযোগ, লোকসানে
পড়ার প্রধান কারণ হলো- হাওড়াঞ্চলের অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা। তারা বলছেন, হাওড়াঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হলেই কেবল কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হবে। বদলে যাবে হাওড়াঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র। উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলায় এ বছর শীত মৌসুমে ৭৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি জাতীয় ফসলের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। তবে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, মিষ্টি কুমড়ার চাষ আরও বেশি পরিমাণ জমিতে হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় হারুলিয়া গ্রামের মিষ্টি কুমড়া চাষী মাসুদ আলী বলেন, এ বছর আমি ১৫ কাঠা (দেড় একর) জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছিলাম। সময় সার ও ওষুধ সবই দিয়েছি। তবুও ফলন কম
গতবারের তুলনায় কম হয়েছে। দামও কম। গত বছর এই মিষ্টি কুমড়া ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু এবার তা বিক্রি হচ্ছে ৬-৭ টাকা কেজিতে। তাও আবার পাইকার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এবার উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া নিয়ে খুব বেকায়দায় আছি। স্থানীয় চারিতলা গ্রামের কৃষক আবু তাহের বলেন, আমি জালিয়ার হাওড়ের ৭০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় মাথায় করে ও বাইসাইকেলে বা হ্যান্ডট্রলির মাধ্যমে কুমড়া পরিবহণ করে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে রাখতে হচ্ছে। কৃষি পণ্য পরিবহণে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয় ও ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, হাওড় এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নতকরণের পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্য
বাজারজাতকরণে ব্যবস্থা নেওয়া। স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল মিল্কী বলেন, আমাদের হাওড়াঞ্চল শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত। তাই এখানকার কৃষকদের স্বার্থে হাওড় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা জরুরি। কারণ কৃষক বাঁচলেই দেশ বাঁচবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন দিলদার বলেন, মিষ্টি কুমড়ার আবাদ দিন দিনই বাড়ছে। তবে এ বছর পরাগায়নের সময় মৌমাছি কম থাকায় মিষ্টি কুমড়ার ফলন কিছুটা কম হয়েছে। কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারেন, তারা যাতে লোকসানে না পড়েন, সেজন্য আমরা পাইকারদের সঙ্গে কৃষকদের একটা সম্পর্ক সৃষ্টি করে দেওয়ার চেষ্টা করব।
পড়ার প্রধান কারণ হলো- হাওড়াঞ্চলের অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা। তারা বলছেন, হাওড়াঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হলেই কেবল কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হবে। বদলে যাবে হাওড়াঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র। উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলায় এ বছর শীত মৌসুমে ৭৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি জাতীয় ফসলের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। তবে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, মিষ্টি কুমড়ার চাষ আরও বেশি পরিমাণ জমিতে হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় হারুলিয়া গ্রামের মিষ্টি কুমড়া চাষী মাসুদ আলী বলেন, এ বছর আমি ১৫ কাঠা (দেড় একর) জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছিলাম। সময় সার ও ওষুধ সবই দিয়েছি। তবুও ফলন কম
গতবারের তুলনায় কম হয়েছে। দামও কম। গত বছর এই মিষ্টি কুমড়া ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু এবার তা বিক্রি হচ্ছে ৬-৭ টাকা কেজিতে। তাও আবার পাইকার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এবার উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া নিয়ে খুব বেকায়দায় আছি। স্থানীয় চারিতলা গ্রামের কৃষক আবু তাহের বলেন, আমি জালিয়ার হাওড়ের ৭০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় মাথায় করে ও বাইসাইকেলে বা হ্যান্ডট্রলির মাধ্যমে কুমড়া পরিবহণ করে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে রাখতে হচ্ছে। কৃষি পণ্য পরিবহণে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয় ও ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, হাওড় এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নতকরণের পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্য
বাজারজাতকরণে ব্যবস্থা নেওয়া। স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল মিল্কী বলেন, আমাদের হাওড়াঞ্চল শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত। তাই এখানকার কৃষকদের স্বার্থে হাওড় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা জরুরি। কারণ কৃষক বাঁচলেই দেশ বাঁচবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন দিলদার বলেন, মিষ্টি কুমড়ার আবাদ দিন দিনই বাড়ছে। তবে এ বছর পরাগায়নের সময় মৌমাছি কম থাকায় মিষ্টি কুমড়ার ফলন কিছুটা কম হয়েছে। কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারেন, তারা যাতে লোকসানে না পড়েন, সেজন্য আমরা পাইকারদের সঙ্গে কৃষকদের একটা সম্পর্ক সৃষ্টি করে দেওয়ার চেষ্টা করব।