ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
সম্পাদকীয়: চ্যাটজিপিটি এবং সৃজনশীলতার ভবিষ্যৎ
আজকের যুগে প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে, যা মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে নতুনভাবে রূপান্তরিত করছে। তবে, একে ঘিরে কিছু উদ্বেগও তৈরি হয়েছে, বিশেষত সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে। চ্যাটজিপিটি, একটি অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল, বর্তমানে সৃজনশীল কাজের প্রতি মানুষের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা সৃষ্টি করছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন যে, চ্যাটজিপিটি সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তবে, এই অভিযোগ কি সত্যি, নাকি প্রযুক্তির বিকাশের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ আরও সৃজনশীল হতে শিখছে?
প্রথমত, চ্যাটজিপিটি বা যেকোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানব মস্তিষ্কের পরিপূরক, কখনোই তার প্রতিস্থাপক নয়। এই প্রযুক্তি যেমন মানুষের জন্য সময় এবং পরিশ্রম বাঁচানোর সুযোগ সৃষ্টি করে, তেমনই এটি সৃজনশীলতার জন্য নতুন দিগন্তও উন্মোচন
করে। উদাহরণস্বরূপ, একজন লেখক বা শিল্পী যখন কোনো নতুন সৃষ্টি নিয়ে কাজ করেন, তখন চ্যাটজিপিটি তাকে দ্রুত ধারণা বা তথ্য প্রদান করতে সক্ষম। এটি তাদের চিন্তার গতিকে ত্বরান্বিত করতে পারে এবং আরও গভীর, জটিল সৃজনশীল কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে। অন্যদিকে, চ্যাটজিপিটি বা কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল যে সৃজনশীলতা ধ্বংস করছে, এমন ধারণা নিঃসন্দেহে অযৌক্তিক। সৃজনশীলতা মানুষের অন্তর্গত বৈশিষ্ট্য—এটি বুদ্ধি, অনুভুতি, এবং অভিজ্ঞতার মিশ্রণ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোনো একক ভাবে এটি সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়। চ্যাটজিপিটি যদি লেখা, চিত্র বা গান তৈরি করতে পারে, তা শুধুমাত্র মানুষের নির্দেশনা ও পরামর্শের মাধ্যমে। প্রযুক্তির এই সহায়তা সৃজনশীলতাকে মজবুত করতে পারে, না যে তার অভ্যন্তরীণ
শক্তিকে বিনষ্ট করবে। সৃজনশীলতার মূল ধারণা হচ্ছে নতুন কিছু সৃষ্টি করা, এবং এটি কেবল প্রযুক্তির দ্বারা নয়, বরং মানুষের কল্পনা, অনুভূতি, এবং সাংস্কৃতিক সংযোগ দ্বারা সম্ভব হয়। চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল কোনো দিনও এই মানবিক উপাদানগুলোর প্রতিস্থাপন করতে পারবে না। বরং, এটি মানুষের সৃজনশীলতাকে আরও প্রসারিত করতে সহায়ক হতে পারে। তবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, তা অস্বীকার করা যায় না। প্রযুক্তির অতি ব্যবহার, বিশেষ করে একে অনুকরণমূলক কাজের জন্য ব্যবহৃত হলে, মানুষের নিজস্ব সৃজনশীলতা হ্রাস পেতে পারে। কাজেই, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার কৌশলগতভাবে করি, যেন এটি আমাদের সৃজনশীল শক্তিকে
বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, ধ্বংস না করে। শেষে, চ্যাটজিপিটি সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করছে এমন একটি ধারণা শুধুমাত্র একপেশে চিন্তা হতে পারে। সৃজনশীলতা মানবতার অমূল্য সম্পদ, এবং প্রযুক্তি কখনোই তা পরিবর্তন করতে পারে না। বরং, এটি আমাদের নতুন দিগন্তে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে, যদি আমরা সঠিকভাবে এর ব্যবহার শিখি।
করে। উদাহরণস্বরূপ, একজন লেখক বা শিল্পী যখন কোনো নতুন সৃষ্টি নিয়ে কাজ করেন, তখন চ্যাটজিপিটি তাকে দ্রুত ধারণা বা তথ্য প্রদান করতে সক্ষম। এটি তাদের চিন্তার গতিকে ত্বরান্বিত করতে পারে এবং আরও গভীর, জটিল সৃজনশীল কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে। অন্যদিকে, চ্যাটজিপিটি বা কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল যে সৃজনশীলতা ধ্বংস করছে, এমন ধারণা নিঃসন্দেহে অযৌক্তিক। সৃজনশীলতা মানুষের অন্তর্গত বৈশিষ্ট্য—এটি বুদ্ধি, অনুভুতি, এবং অভিজ্ঞতার মিশ্রণ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোনো একক ভাবে এটি সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়। চ্যাটজিপিটি যদি লেখা, চিত্র বা গান তৈরি করতে পারে, তা শুধুমাত্র মানুষের নির্দেশনা ও পরামর্শের মাধ্যমে। প্রযুক্তির এই সহায়তা সৃজনশীলতাকে মজবুত করতে পারে, না যে তার অভ্যন্তরীণ
শক্তিকে বিনষ্ট করবে। সৃজনশীলতার মূল ধারণা হচ্ছে নতুন কিছু সৃষ্টি করা, এবং এটি কেবল প্রযুক্তির দ্বারা নয়, বরং মানুষের কল্পনা, অনুভূতি, এবং সাংস্কৃতিক সংযোগ দ্বারা সম্ভব হয়। চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল কোনো দিনও এই মানবিক উপাদানগুলোর প্রতিস্থাপন করতে পারবে না। বরং, এটি মানুষের সৃজনশীলতাকে আরও প্রসারিত করতে সহায়ক হতে পারে। তবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, তা অস্বীকার করা যায় না। প্রযুক্তির অতি ব্যবহার, বিশেষ করে একে অনুকরণমূলক কাজের জন্য ব্যবহৃত হলে, মানুষের নিজস্ব সৃজনশীলতা হ্রাস পেতে পারে। কাজেই, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার কৌশলগতভাবে করি, যেন এটি আমাদের সৃজনশীল শক্তিকে
বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, ধ্বংস না করে। শেষে, চ্যাটজিপিটি সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করছে এমন একটি ধারণা শুধুমাত্র একপেশে চিন্তা হতে পারে। সৃজনশীলতা মানবতার অমূল্য সম্পদ, এবং প্রযুক্তি কখনোই তা পরিবর্তন করতে পারে না। বরং, এটি আমাদের নতুন দিগন্তে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে, যদি আমরা সঠিকভাবে এর ব্যবহার শিখি।