সম্পাদকীয়: চ্যাটজিপিটি এবং সৃজনশীলতার ভবিষ্যৎ – ইউ এস বাংলা নিউজ




সম্পাদকীয়: চ্যাটজিপিটি এবং সৃজনশীলতার ভবিষ্যৎ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:৪৩ 104 ভিউ
আজকের যুগে প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে, যা মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে নতুনভাবে রূপান্তরিত করছে। তবে, একে ঘিরে কিছু উদ্বেগও তৈরি হয়েছে, বিশেষত সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে। চ্যাটজিপিটি, একটি অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল, বর্তমানে সৃজনশীল কাজের প্রতি মানুষের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা সৃষ্টি করছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন যে, চ্যাটজিপিটি সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তবে, এই অভিযোগ কি সত্যি, নাকি প্রযুক্তির বিকাশের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ আরও সৃজনশীল হতে শিখছে? প্রথমত, চ্যাটজিপিটি বা যেকোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানব মস্তিষ্কের পরিপূরক, কখনোই তার প্রতিস্থাপক নয়। এই প্রযুক্তি যেমন মানুষের জন্য সময় এবং পরিশ্রম বাঁচানোর সুযোগ সৃষ্টি করে, তেমনই এটি সৃজনশীলতার জন্য নতুন দিগন্তও উন্মোচন

করে। উদাহরণস্বরূপ, একজন লেখক বা শিল্পী যখন কোনো নতুন সৃষ্টি নিয়ে কাজ করেন, তখন চ্যাটজিপিটি তাকে দ্রুত ধারণা বা তথ্য প্রদান করতে সক্ষম। এটি তাদের চিন্তার গতিকে ত্বরান্বিত করতে পারে এবং আরও গভীর, জটিল সৃজনশীল কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে। অন্যদিকে, চ্যাটজিপিটি বা কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল যে সৃজনশীলতা ধ্বংস করছে, এমন ধারণা নিঃসন্দেহে অযৌক্তিক। সৃজনশীলতা মানুষের অন্তর্গত বৈশিষ্ট্য—এটি বুদ্ধি, অনুভুতি, এবং অভিজ্ঞতার মিশ্রণ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোনো একক ভাবে এটি সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়। চ্যাটজিপিটি যদি লেখা, চিত্র বা গান তৈরি করতে পারে, তা শুধুমাত্র মানুষের নির্দেশনা ও পরামর্শের মাধ্যমে। প্রযুক্তির এই সহায়তা সৃজনশীলতাকে মজবুত করতে পারে, না যে তার অভ্যন্তরীণ

শক্তিকে বিনষ্ট করবে। সৃজনশীলতার মূল ধারণা হচ্ছে নতুন কিছু সৃষ্টি করা, এবং এটি কেবল প্রযুক্তির দ্বারা নয়, বরং মানুষের কল্পনা, অনুভূতি, এবং সাংস্কৃতিক সংযোগ দ্বারা সম্ভব হয়। চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল কোনো দিনও এই মানবিক উপাদানগুলোর প্রতিস্থাপন করতে পারবে না। বরং, এটি মানুষের সৃজনশীলতাকে আরও প্রসারিত করতে সহায়ক হতে পারে। তবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, তা অস্বীকার করা যায় না। প্রযুক্তির অতি ব্যবহার, বিশেষ করে একে অনুকরণমূলক কাজের জন্য ব্যবহৃত হলে, মানুষের নিজস্ব সৃজনশীলতা হ্রাস পেতে পারে। কাজেই, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার কৌশলগতভাবে করি, যেন এটি আমাদের সৃজনশীল শক্তিকে

বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, ধ্বংস না করে। শেষে, চ্যাটজিপিটি সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করছে এমন একটি ধারণা শুধুমাত্র একপেশে চিন্তা হতে পারে। সৃজনশীলতা মানবতার অমূল্য সম্পদ, এবং প্রযুক্তি কখনোই তা পরিবর্তন করতে পারে না। বরং, এটি আমাদের নতুন দিগন্তে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে, যদি আমরা সঠিকভাবে এর ব্যবহার শিখি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
পেয়ারা বাগান ঘুরে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা ভারতের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ, বাংলাদেশের লাভ কতটা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দুই মন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা, লকডাউন জারি আবারও বাড়ল তেলের দাম বৃহস্পতিবার যেসব এলাকায় থাকবে না গ্যাস শ্রীলঙ্কায় সাবেক মন্ত্রী রাজাপাকসে গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই চীন সফরের ঘোষণা মোদির, আসবেন পুতিনও সাগরিকার জোড়া গোলের জাদুতে দুর্দান্ত শুরু বাংলাদেশের চেনা দখলদার, জিডি করেই দায় সারে গৃহায়ন ইসলামে অর্থনৈতিক ন্যায় ও সুদমুক্ত সমাজ গঠনের পথ ১৪৬ যাত্রী নিয়ে এক ঘণ্টা উড়ে ফিরে এল বিমানের ফ্লাইট ট্রাম্প ‘নাখোশ’: মোদি যাচ্ছেন চীন, আসছেন পুতিনও ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪২৮ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সেনাপ্রধান অসীম মুনির? ডিআইজিসহ ৭৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে নতুন দায়িত্ব চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের ডাক পিটিআই’র এবার প্রেমিকের বিয়ে ভেঙে দিয়ে আলোচনায় উরফি জাভেদ ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উর্বশী