
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’, হয় না সত্যি সবার

জেনেভা ক্যাম্প থেকে ৪ বস্তা টাকা উদ্ধার

প্রস্তুত শোলাকিয়া, ঈদের জামাত সকাল ৯টায়

টানা বৃষ্টিতেও চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা কম, মেগা প্রকল্পে মিলছে সুফল

২০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা সাবেক শিবিরনেতা

সরগরম পাবনার পশুর হাট, দেশি গরুর চাহিদা বেশি

হাত-পা-চোখ-মুখ বাঁধা সেই ব্যবসায়ীকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনলেন স্ত্রী
রাজধানীতে সন্ধ্যা নামলেই ছিনতাই আতঙ্ক

রাজধানীবাসীর কাছে এক ভয়ংকর আতঙ্কের নাম ছিনতাই। কে কখন কোন এলাকায় এই অপরাধী চক্রের টার্গেটে পড়েন তা বলা মুশকিল। দিনের বেলায় মানুষের ভিড়ে এই অপরাধীদের তৎপরতা কিছুটা কম হলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় এদের ভয়ানক দৌরাত্ম্য। সড়ক-মহাসড়ক থেকে অলিগলি-সবখানেই তাদের বেপরোয়া তৎপরতা। কখনো কখনো এরা ভদ্রবেশে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। সুযোগ পেলেই পকেট বা ব্যাগ থেকে ছুরি, চাকু, চাপাতি এমনকি ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ঠেক দিয়ে বসে। অধিকাংশ সময় এদের মুখে থাকে মাস্ক। দুই থেকে তিনজন একসঙ্গে কখনো মোটরবাইকে করে টার্গেট ব্যক্তির পাশ ঘেঁষে গিয়ে অস্ত্র ধরে। শব্দ করে প্রতিবাদ করতে চাইলে কোপ দিয়ে জখম করে ফেলে। এমন দৃশ্য
প্রকাশ্য জনসম্মুখে ঘটলেও পথচারী বা অন্য নাগরিকরা প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। আক্রান্ত হওয়ার ভয় বা নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা ঘটনা দেখেও যেন না দেখার ভান করে চলে যান। এমন বাস্তবতায় ভুক্তভোগীকে একাই অরক্ষিত অবস্থায় এই শহরের অলিগলি সড়কে বেপরোয়া ছিনতাইকারীদের সঙ্গে লড়তে হয়। একপর্যায়ে সবকিছু খুইয়ে ভয়ানক ট্রমা নিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় পুলিশের কাছে গিয়েও তেমন একটা প্রতিকার পান না। গুরুতর আহত না হলে পুলিশ ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তির মামলা নিতে চায় না। আসন্ন কুরবানি ঈদ ঘিরে এই অপরাধী চক্রের দৌরাত্ম্য আরও বাড়ার আশঙ্কা নাগরিকদের। ১৮ মে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মগবাজার গ্রিনওয়ে গলিতে তিন ছিনতাইকারী চাপাতি হাতে প্রকাশ্যে ছিনতাই করে। ওই ঘটনার
সিসিটিভি ফুটেজ নেট দুনিয়ায় তোলপাড় হয়। ডিএমপির হাতিরঝিল থানায় গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ভুক্তভোগী মো. আব্দুল্লাহ (২০)। তিনি বলেন, ‘ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে আহত অবস্থায় ভোর ৬টার দিকে হাতিরঝিল থানায় গিয়েছিলাম। আমার শরীরে রক্তাক্ত জখম দেখাই পুলিশকে। তারা বলেছিল, হাসপাতাল থেকে মেডিকেল রিপোর্ট আনতে। আমি তখন মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে মেডিকেল রিপোর্টসহ ফের থানায় যাই। তখন পুলিশ বলে, এটাতে হবে না। ঢাকা মেডিকেলে যেতে হবে। আমি এমন আতঙ্কে ছিলাম যে, কোনো জায়গায় আর যাওয়ার ইচ্ছা শক্তি ছিল না। পরে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় চলে আসি।’ মো. আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘ফেসবুকে ছিনতাইয়ের সেই দৃশ্য ভাইরাল হলে ঘটনার কয়েকদিন
পর হাতিরঝিল থানা পুলিশ মামলা নেয়। আসামি গ্রেফতারও করে কিন্তু এখনো আমার ১৪ হাজার টাকা ও মোবাইল ফেরত পাইনি। এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘কমিশনার স্যারের (ডিএমপি কমিশনার) স্পষ্ট নির্দেশনা আছে এসব ঘটনায় অভিযোগ নেওয়ার। এরপরও কেন এমন হয়েছে তা খতিয়ে দেখব।’ এমন বাস্তবতা রাজধানীর অধিকাংশ থানা এলাকায়। ছিনতাই নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে পুলিশের এমন লুকোচুরি। ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা না নিয়ে জিডি নেওয়া সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। মামলা নিলে ডিএমপি সদর দপ্তরে নিয়মিত আপডেট জানাতে হয়। আসামি গ্রেফতারে চাপ থাকে। ফলে অনেক সময় মামলা নিতে গড়িমসি করে থানা পুলিশ। ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জানুয়ারি
থেকে মে মাস পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ছিনতাইয়ের ৩১৮টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৭৯, ফেব্রুয়ারিতে ৬১, মার্চে ৪১, এপ্রিলে ৪৩ ও মে মাসে ৯৪টি। সূত্র বলছে, মামলার এ সংখ্যার সঙ্গে ছিনতাইয়ের বাস্তব চিত্রের অনেক ফারাক। ছিনতাই মামলার সংখ্যা কম দেখিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর গুনছেন থানার কর্তাব্যক্তিরা। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এসএন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ছিনতাই একেবারে এলার্মিং সিসিয়েশনে (উদ্বেগজনক অবস্থায়) গেছে এমন নয়। ছিনতাই হচ্ছে, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিছু ছিনতাইকারী গ্রেফতার করে কারাগারে ঢুকিয়েছিলাম। এই সময়ে কিছু জামিনে বের হয়েছে। টহলের বাইরে রাতে আমরা চেকপোস্ট করছি।’ ভুক্তভোগীদের একজন স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম) আসাদুল্লা লায়ন। তিনি গত
২৯ মে দিবাগত রাত ১২টায় অফিস ডিউটি শেষে নিকুঞ্জের বাসায় যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। বিশ্বরোড রেলক্রসিং পার হয়ে বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীরা সুইচ গিয়ার চাকু ও ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে তার কাছ থেকে অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় আশপাশে কোনো পুলিশি টহল ছিল না বলেও জানান তিনি। আসাদুল্লা বলেন, ‘ওই রাতেই আমি খিলক্ষেত থানায় যাই। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি। একদিন পর ফের থানায় গিয়ে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছি।’ ২১ মে দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর কলেজগেট এলাকায় ছিনতাইকারীরা মো. কবির মিয়া (৪৩) নামে এক অটোরিকশা চালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নগদ
টাকা ও অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া কাভার্ড ভ্যানে চট্টগ্রাম থেকে মাল বোঝাই করে ঢাকা হয়ে গাজীপুর যাওয়ার পথে ১৫ মে দিবাগত রাত ১টায় যাত্রাবাড়ীর কাজলা ব্রিজের ঢালে জ্যামে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ৬ থেকে ৭ জন ছিনতাইকারী গাড়িতে ঢুকে চালক মো. মহিনকে কুপিয়ে ২৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ৬ মে রাতে কমলাপুর থেকে ট্রেনের ছাদে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে যাওয়ার পথে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে আহমেদ আবির (২০) নামের এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা। এর আগে ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন বেগুনবাড়ি এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আরমান হোসেন পাপ্পু নামে এক যুবক নিহত হন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকায় রিকশাযাত্রী স্বামী-স্ত্রীকে আটকে অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। সূত্র বলছে, ছিনতাইয়ের হট স্পটগুলোর মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের অবস্থা বেশি নাজুক। নবোদয় হাউজিং এলাকায় বড় মসজিদ লাগোয়া খাল পাড়ের স্পটটি সবচেয়ে ভয়াবহ। একপাশে মোহাম্মদপুর থানা অন্য পাশে আদাবর থানা। এখানেই গড়ে উঠেছে ছিনতাইয়ের হটস্পট। সরেজমিন দেখা গেছে, কালভার্টের আশপাশে কোথাও কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। সবুজ মিয়া নামে স্থানীয় একজন জানান, প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর সড়ক থেকে টার্গেট ব্যক্তিকে ধরে কালভার্টের ওপর ছিনতাই করে। কেউ কখনো বাধা দিলে তার ওপরও হামলা চলায়। ছিনতাইয়ের আরেকটি হটস্পট হাজারীবাগের শাজাহান মার্কেট স্বপ্নডাঙ্গা হাউজিংয়ের আশপাশের এলাকা। স্থানীয়রা জানান,প্রতিদিন রাত ৯টার পর শাজাহান মার্কেট এলাকায় ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে।
প্রকাশ্য জনসম্মুখে ঘটলেও পথচারী বা অন্য নাগরিকরা প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। আক্রান্ত হওয়ার ভয় বা নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা ঘটনা দেখেও যেন না দেখার ভান করে চলে যান। এমন বাস্তবতায় ভুক্তভোগীকে একাই অরক্ষিত অবস্থায় এই শহরের অলিগলি সড়কে বেপরোয়া ছিনতাইকারীদের সঙ্গে লড়তে হয়। একপর্যায়ে সবকিছু খুইয়ে ভয়ানক ট্রমা নিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় পুলিশের কাছে গিয়েও তেমন একটা প্রতিকার পান না। গুরুতর আহত না হলে পুলিশ ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তির মামলা নিতে চায় না। আসন্ন কুরবানি ঈদ ঘিরে এই অপরাধী চক্রের দৌরাত্ম্য আরও বাড়ার আশঙ্কা নাগরিকদের। ১৮ মে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মগবাজার গ্রিনওয়ে গলিতে তিন ছিনতাইকারী চাপাতি হাতে প্রকাশ্যে ছিনতাই করে। ওই ঘটনার
সিসিটিভি ফুটেজ নেট দুনিয়ায় তোলপাড় হয়। ডিএমপির হাতিরঝিল থানায় গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ভুক্তভোগী মো. আব্দুল্লাহ (২০)। তিনি বলেন, ‘ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে আহত অবস্থায় ভোর ৬টার দিকে হাতিরঝিল থানায় গিয়েছিলাম। আমার শরীরে রক্তাক্ত জখম দেখাই পুলিশকে। তারা বলেছিল, হাসপাতাল থেকে মেডিকেল রিপোর্ট আনতে। আমি তখন মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে মেডিকেল রিপোর্টসহ ফের থানায় যাই। তখন পুলিশ বলে, এটাতে হবে না। ঢাকা মেডিকেলে যেতে হবে। আমি এমন আতঙ্কে ছিলাম যে, কোনো জায়গায় আর যাওয়ার ইচ্ছা শক্তি ছিল না। পরে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় চলে আসি।’ মো. আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘ফেসবুকে ছিনতাইয়ের সেই দৃশ্য ভাইরাল হলে ঘটনার কয়েকদিন
পর হাতিরঝিল থানা পুলিশ মামলা নেয়। আসামি গ্রেফতারও করে কিন্তু এখনো আমার ১৪ হাজার টাকা ও মোবাইল ফেরত পাইনি। এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘কমিশনার স্যারের (ডিএমপি কমিশনার) স্পষ্ট নির্দেশনা আছে এসব ঘটনায় অভিযোগ নেওয়ার। এরপরও কেন এমন হয়েছে তা খতিয়ে দেখব।’ এমন বাস্তবতা রাজধানীর অধিকাংশ থানা এলাকায়। ছিনতাই নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে পুলিশের এমন লুকোচুরি। ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা না নিয়ে জিডি নেওয়া সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। মামলা নিলে ডিএমপি সদর দপ্তরে নিয়মিত আপডেট জানাতে হয়। আসামি গ্রেফতারে চাপ থাকে। ফলে অনেক সময় মামলা নিতে গড়িমসি করে থানা পুলিশ। ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জানুয়ারি
থেকে মে মাস পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ছিনতাইয়ের ৩১৮টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৭৯, ফেব্রুয়ারিতে ৬১, মার্চে ৪১, এপ্রিলে ৪৩ ও মে মাসে ৯৪টি। সূত্র বলছে, মামলার এ সংখ্যার সঙ্গে ছিনতাইয়ের বাস্তব চিত্রের অনেক ফারাক। ছিনতাই মামলার সংখ্যা কম দেখিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর গুনছেন থানার কর্তাব্যক্তিরা। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এসএন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ছিনতাই একেবারে এলার্মিং সিসিয়েশনে (উদ্বেগজনক অবস্থায়) গেছে এমন নয়। ছিনতাই হচ্ছে, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিছু ছিনতাইকারী গ্রেফতার করে কারাগারে ঢুকিয়েছিলাম। এই সময়ে কিছু জামিনে বের হয়েছে। টহলের বাইরে রাতে আমরা চেকপোস্ট করছি।’ ভুক্তভোগীদের একজন স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম) আসাদুল্লা লায়ন। তিনি গত
২৯ মে দিবাগত রাত ১২টায় অফিস ডিউটি শেষে নিকুঞ্জের বাসায় যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। বিশ্বরোড রেলক্রসিং পার হয়ে বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীরা সুইচ গিয়ার চাকু ও ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে তার কাছ থেকে অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় আশপাশে কোনো পুলিশি টহল ছিল না বলেও জানান তিনি। আসাদুল্লা বলেন, ‘ওই রাতেই আমি খিলক্ষেত থানায় যাই। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি। একদিন পর ফের থানায় গিয়ে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছি।’ ২১ মে দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর কলেজগেট এলাকায় ছিনতাইকারীরা মো. কবির মিয়া (৪৩) নামে এক অটোরিকশা চালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নগদ
টাকা ও অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া কাভার্ড ভ্যানে চট্টগ্রাম থেকে মাল বোঝাই করে ঢাকা হয়ে গাজীপুর যাওয়ার পথে ১৫ মে দিবাগত রাত ১টায় যাত্রাবাড়ীর কাজলা ব্রিজের ঢালে জ্যামে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ৬ থেকে ৭ জন ছিনতাইকারী গাড়িতে ঢুকে চালক মো. মহিনকে কুপিয়ে ২৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ৬ মে রাতে কমলাপুর থেকে ট্রেনের ছাদে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে যাওয়ার পথে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে আহমেদ আবির (২০) নামের এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা। এর আগে ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন বেগুনবাড়ি এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আরমান হোসেন পাপ্পু নামে এক যুবক নিহত হন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকায় রিকশাযাত্রী স্বামী-স্ত্রীকে আটকে অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। সূত্র বলছে, ছিনতাইয়ের হট স্পটগুলোর মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের অবস্থা বেশি নাজুক। নবোদয় হাউজিং এলাকায় বড় মসজিদ লাগোয়া খাল পাড়ের স্পটটি সবচেয়ে ভয়াবহ। একপাশে মোহাম্মদপুর থানা অন্য পাশে আদাবর থানা। এখানেই গড়ে উঠেছে ছিনতাইয়ের হটস্পট। সরেজমিন দেখা গেছে, কালভার্টের আশপাশে কোথাও কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। সবুজ মিয়া নামে স্থানীয় একজন জানান, প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর সড়ক থেকে টার্গেট ব্যক্তিকে ধরে কালভার্টের ওপর ছিনতাই করে। কেউ কখনো বাধা দিলে তার ওপরও হামলা চলায়। ছিনতাইয়ের আরেকটি হটস্পট হাজারীবাগের শাজাহান মার্কেট স্বপ্নডাঙ্গা হাউজিংয়ের আশপাশের এলাকা। স্থানীয়রা জানান,প্রতিদিন রাত ৯টার পর শাজাহান মার্কেট এলাকায় ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে।