যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেই নিয়োগ পরীক্ষায় শিবির সভাপতি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য একজন প্রার্থী, মোবারক হোসাইন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষিত শর্ত পূরণ না করেই ডাক পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি হিসেবে পরিচিত এবং তার এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যর্থতার একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত
২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির শর্তে বলা হয়, প্রার্থীর এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অথবা ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে। কিন্তু মোবারক হোসাইন এই শর্ত পূরণ না করেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ডাক পেয়েছেন। তিনি ২০০৩ সালে কুমিল্লা
বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৯০ পেয়ে পাস করেছিলেন, যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এদিকে, ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির শর্তে কোনো শিথিলতার বিষয় উল্লেখ না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে কেন তাকে পরীক্ষার জন্য ডাক দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল যে অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হলে একটি শর্ত শিথিল করা যেতে পারে, কিন্তু মোবারক হোসাইন তার যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেই ডাক পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এই পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল। তিনি জানান, তারা বিষয়টি রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন এবং এখন প্রশাসন বিষয়টি দেখবে। বিভাগের অন্যান্য সদস্যরা, বিশেষ করে ড. মুহম্মদ
আসহান উল্লাহ, একে একটি ভুল হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে এই বিষয়টি তদন্ত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মজিবুর রহমান মজুমদারও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যে প্রার্থী ডাক পেয়েছেন, তার যোগ্যতা না থাকলে সিলেকশন বোর্ড পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে। তবে, যদি কেউ ভুলে নির্বাচিত হন, তাহলে সেটি সংশোধন করা যেতে পারে, এবং বাতিল করার জন্য তিনটি ধাপ রয়েছে—বাছাই বোর্ড, প্ল্যানিং কমিটি ও সিন্ডিকেট—যে কোনো এক ধাপে তাকে আটকে দেওয়া যেতে পারে। প্রশ্ন উঠেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এটা স্পষ্ট যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে এসেছে। কেন একটি প্রার্থী শর্ত পূরণ না করেও পরীক্ষায়
অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে? প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ধরনের ভুল কিভাবে ঘটল? এসব প্রশ্ন বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরে আলোচিত হচ্ছে। মোবারক হোসাইনের রাজনৈতিক অতীত মোবারক হোসাইন রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন এবং ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের সভাপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার এই রাজনৈতিক অতীত বিষয়টিকে আরও বিতর্কিত করেছে, কারণ তাকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে যে, তার রাজনৈতিক পরিচয় এবং সম্পর্কের কারণে এই নিয়োগে কোনো প্রভাব পড়েছে কি না। মোবারক হোসাইনের শিক্ষা ও ক্যারিয়ার মোবারক হোসাইন একাডেমিকভাবে বেশ কয়েকটি ডিগ্রি অর্জন
করেছেন। ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাস করার পর, ২০১২ সালে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। এরপর ২০১৪-১৫ সেশনে ভারতের রাজস্থানের একটি ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি শুরু করেন এবং ২০১৭ সালে এটি সম্পন্ন করেন। এছাড়াও সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি এবং ICMAB থেকে CMA’র প্রথম সেমিস্টার শেষ করেছেন। তবে তার পিএইচডি থিসিসে আপত্তিকর শব্দের ব্যবহার এবং উইকিপিডিয়া থেকে সরাসরি কপি-পেস্ট করা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মোবারক হোসাইনের অংশগ্রহণ প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং শর্তগুলির যথাযথ প্রয়োগের অভাবকেই প্রকাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধের অভাব এবং নজরদারির ঘাটতি এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বড় প্রশ্ন চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে
যে, ভবিষ্যতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও কেউ এই ধরনের সুবিধা পাবেন কিনা। প্রশাসনকে উচিত যথাযথ তদন্ত এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা, যাতে এ ধরনের ভুল আর না ঘটে।
বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৯০ পেয়ে পাস করেছিলেন, যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এদিকে, ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির শর্তে কোনো শিথিলতার বিষয় উল্লেখ না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে কেন তাকে পরীক্ষার জন্য ডাক দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল যে অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হলে একটি শর্ত শিথিল করা যেতে পারে, কিন্তু মোবারক হোসাইন তার যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেই ডাক পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এই পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল। তিনি জানান, তারা বিষয়টি রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন এবং এখন প্রশাসন বিষয়টি দেখবে। বিভাগের অন্যান্য সদস্যরা, বিশেষ করে ড. মুহম্মদ
আসহান উল্লাহ, একে একটি ভুল হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে এই বিষয়টি তদন্ত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মজিবুর রহমান মজুমদারও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যে প্রার্থী ডাক পেয়েছেন, তার যোগ্যতা না থাকলে সিলেকশন বোর্ড পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে। তবে, যদি কেউ ভুলে নির্বাচিত হন, তাহলে সেটি সংশোধন করা যেতে পারে, এবং বাতিল করার জন্য তিনটি ধাপ রয়েছে—বাছাই বোর্ড, প্ল্যানিং কমিটি ও সিন্ডিকেট—যে কোনো এক ধাপে তাকে আটকে দেওয়া যেতে পারে। প্রশ্ন উঠেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এটা স্পষ্ট যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে এসেছে। কেন একটি প্রার্থী শর্ত পূরণ না করেও পরীক্ষায়
অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে? প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ধরনের ভুল কিভাবে ঘটল? এসব প্রশ্ন বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরে আলোচিত হচ্ছে। মোবারক হোসাইনের রাজনৈতিক অতীত মোবারক হোসাইন রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন এবং ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের সভাপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার এই রাজনৈতিক অতীত বিষয়টিকে আরও বিতর্কিত করেছে, কারণ তাকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে যে, তার রাজনৈতিক পরিচয় এবং সম্পর্কের কারণে এই নিয়োগে কোনো প্রভাব পড়েছে কি না। মোবারক হোসাইনের শিক্ষা ও ক্যারিয়ার মোবারক হোসাইন একাডেমিকভাবে বেশ কয়েকটি ডিগ্রি অর্জন
করেছেন। ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাস করার পর, ২০১২ সালে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। এরপর ২০১৪-১৫ সেশনে ভারতের রাজস্থানের একটি ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি শুরু করেন এবং ২০১৭ সালে এটি সম্পন্ন করেন। এছাড়াও সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি এবং ICMAB থেকে CMA’র প্রথম সেমিস্টার শেষ করেছেন। তবে তার পিএইচডি থিসিসে আপত্তিকর শব্দের ব্যবহার এবং উইকিপিডিয়া থেকে সরাসরি কপি-পেস্ট করা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মোবারক হোসাইনের অংশগ্রহণ প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং শর্তগুলির যথাযথ প্রয়োগের অভাবকেই প্রকাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধের অভাব এবং নজরদারির ঘাটতি এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বড় প্রশ্ন চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে
যে, ভবিষ্যতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও কেউ এই ধরনের সুবিধা পাবেন কিনা। প্রশাসনকে উচিত যথাযথ তদন্ত এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা, যাতে এ ধরনের ভুল আর না ঘটে।