ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত তিনটি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের জামিন আবেদন বুধবার (১ জানুয়ারি) আদালত নামঞ্জুর করেছে। ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শিহাবুল ইসলাম এই জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন, যা অনেকের মধ্যে উদ্বেগ ও আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
এই মামলাগুলি মূলত ২০২৪ সালের ১৯ জুলাইয়ের দিকে ঘটে, যখন কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন চলছিল। মিরপুর ও খিলগাঁও থানায় ঘটে যাওয়া তিনটি আলাদা হত্যাচেষ্টা ও হত্যার ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি বড় সংযোগ রয়েছে—এগুলো ঘটেছে রাজনৈতিক অস্থিরতার এবং ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেই।
মিরপুর-১০ নম্বরে ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়,
ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি চালায়। এর মধ্যে গুরুতর আহত হন যুবদল নেতা হৃদয় মিয়া। এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। হৃদয় মিয়া পরে মামলার আবেদন করেন, যা মিরপুর মডেল থানায় রুজু হয়। এই ঘটনার সঙ্গেও মিরপুরের কোটাবাদী আন্দোলন যুক্ত। ১৯ জুলাই আদহাম বিন আমিন নামের এক যুবককে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গুলি করে আহত করেন। তার দুই হাঁটুতে গুলি লাগে, এবং তাঁর পরিবার পরে মামলাটি দায়ের করেন। একই দিন, ১৯ জুলাই বিকেলে খিলগাঁওয়ের বনশ্রী এলাকায় মিজানুর রহমান নামের এক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হন। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা যান। নিহতের বাবা মো. কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, এটি রাজনৈতিক
হামলার অংশ, এবং খিলগাঁও থানায় হত্যার মামলা দায়ের করেন। এই তিনটি মামলার মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে নামধারী অভিযুক্ত হিসেবে রাখা হয়েছে। সুমনের বিরুদ্ধে এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হলে, রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করে এবং আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এটি একটি বড় প্রশ্ন উত্থাপন করেছে: কি কারণে সায়েদুল হক সুমনের মতো একজন প্রখ্যাত রাজনীতিককে রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে? এটি সাধারণ মানুষের কাছে প্রহসনের মতো মনে হচ্ছে, বিশেষ করে যখন একের পর এক আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিচারপতি কর্তৃক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য যে, রাজনৈতিক মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা
ও বিরোধীদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা কোনোক্রমেই দেশের বিচারব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের উন্নতি করছে না। দেশব্যাপী বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনগুলো বিশেষ করে ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক প্রতিবাদগুলোতে উচ্চকিত আওয়াজ তুলছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও হয়রানি বন্ধ করতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। সাধারণ জনগণের মধ্যে এই ধরনের মামলাগুলোকে বিচারের নামে প্রহসন হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, রাজনৈতিক মামলা দিয়ে এসব আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হয়রানি করা কোনওভাবে কাম্য নয়। তাদের মতে, এর মাধ্যমে তারা নিজেদের অধিকারের প্রতি আরও নির্যাতিত হচ্ছেন। তারা এও বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলার মাধ্যমে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কাবু করার চেষ্টা
চলছে, যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। বাংলাদেশে যেভাবে রাজনৈতিক মামলা এবং বিচারব্যবস্থার মধ্যে অবিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা সমাজে এক বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অন্যান্য রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ঘটনাগুলোকে বিচারকের কাছে কোনো ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা প্রয়োজন। জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখতে হলে, আদালতের সিদ্ধান্ত যেন বিচারপ্রবণ হয় এবং প্রশাসনিক পক্ষ থেকে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না হয়—এটাই বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জরুরি।
ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি চালায়। এর মধ্যে গুরুতর আহত হন যুবদল নেতা হৃদয় মিয়া। এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। হৃদয় মিয়া পরে মামলার আবেদন করেন, যা মিরপুর মডেল থানায় রুজু হয়। এই ঘটনার সঙ্গেও মিরপুরের কোটাবাদী আন্দোলন যুক্ত। ১৯ জুলাই আদহাম বিন আমিন নামের এক যুবককে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গুলি করে আহত করেন। তার দুই হাঁটুতে গুলি লাগে, এবং তাঁর পরিবার পরে মামলাটি দায়ের করেন। একই দিন, ১৯ জুলাই বিকেলে খিলগাঁওয়ের বনশ্রী এলাকায় মিজানুর রহমান নামের এক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হন। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা যান। নিহতের বাবা মো. কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, এটি রাজনৈতিক
হামলার অংশ, এবং খিলগাঁও থানায় হত্যার মামলা দায়ের করেন। এই তিনটি মামলার মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে নামধারী অভিযুক্ত হিসেবে রাখা হয়েছে। সুমনের বিরুদ্ধে এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হলে, রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করে এবং আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এটি একটি বড় প্রশ্ন উত্থাপন করেছে: কি কারণে সায়েদুল হক সুমনের মতো একজন প্রখ্যাত রাজনীতিককে রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে? এটি সাধারণ মানুষের কাছে প্রহসনের মতো মনে হচ্ছে, বিশেষ করে যখন একের পর এক আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিচারপতি কর্তৃক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য যে, রাজনৈতিক মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা
ও বিরোধীদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা কোনোক্রমেই দেশের বিচারব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের উন্নতি করছে না। দেশব্যাপী বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনগুলো বিশেষ করে ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক প্রতিবাদগুলোতে উচ্চকিত আওয়াজ তুলছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও হয়রানি বন্ধ করতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। সাধারণ জনগণের মধ্যে এই ধরনের মামলাগুলোকে বিচারের নামে প্রহসন হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, রাজনৈতিক মামলা দিয়ে এসব আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হয়রানি করা কোনওভাবে কাম্য নয়। তাদের মতে, এর মাধ্যমে তারা নিজেদের অধিকারের প্রতি আরও নির্যাতিত হচ্ছেন। তারা এও বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলার মাধ্যমে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কাবু করার চেষ্টা
চলছে, যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। বাংলাদেশে যেভাবে রাজনৈতিক মামলা এবং বিচারব্যবস্থার মধ্যে অবিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা সমাজে এক বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অন্যান্য রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ঘটনাগুলোকে বিচারকের কাছে কোনো ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা প্রয়োজন। জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখতে হলে, আদালতের সিদ্ধান্ত যেন বিচারপ্রবণ হয় এবং প্রশাসনিক পক্ষ থেকে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না হয়—এটাই বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জরুরি।