ফেসবুকে এনসিপির দুই নেতার পোস্ট, দলে অসন্তোষ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ফেসবুকে এনসিপির দুই নেতার পোস্ট, দলে অসন্তোষ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ মার্চ, ২০২৫ | ৭:০৬ 12 ভিউ
দল গঠনের এক মাস না পেরোতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের মধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের। গত কয়েকদিনে মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ ‘আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন’ ইস্যুতে ক্যান্টনমেন্টে আলোচনা নিয়ে পরস্পর বিরোধে জড়িয়েছেন। এটি নিয়ে দলের অন্যান্য নেতাদের মধ্যেও অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ঘটনার সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার। মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে

সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। আমিসহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় গত ১১ মার্চ দুপুর আড়াইটায়। পোস্টে হাসনাত ক্যান্টনমেন্টে আলোচনার বিভিন্ন কথা তুলে ধরে হাসনাত আরও লিখেছেন, জুলাই আন্দোলনের সময়ও কখনো এজেন্সি কখনো বা ক্যান্টনমেন্ট থেকে নানা ধরণের প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করতে চাপ দেওয়া হয়েছে। আমরা ওসব চাপে নতি স্বীকার না করে আপনাদের তথা জনগণের ওপরেই আস্থা রেখেছি। আজকেও ক্যান্টনমেন্টের চাপকে অস্বীকার করে আমি আবারও আপনাদের ওপরেই ভরসা রাখতে চাই। এর প্রতিক্রিয়ায় শনিবার সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজকে সেনাসদর থেকে জানানো হয়, হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয়।’ রোববার ফেসবুকে ‘১১ মার্চ সেনাপ্রধানের সাথে সাক্ষাৎ নিয়ে

আমার জায়গা থেকে কিছু সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন’ নামে একটি পোস্ট করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এতে তিনি উল্লেখ করেন, সেদিন আমি এবং হাসনাত সেনাপ্রধানের সাথে গিয়ে কথা বলি। সারজিস উল্লেখ করেন, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের জন্য চাপ দেওয়ার' যে বিষয়টি এসেছে সেখানে ‘চাপ দেওয়া হয়েছে' এমনটি আমার মনে হয়নি। বরং রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ না আসলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে সেটা তিনি অতি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলছিলেন। সারজিস তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কেউ না কেউ যোগাযোগ রক্ষা করে। সেই প্রাইভেসি তারা বজায় রাখে।

আমাদের সাথে সেনাপ্রধানের যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে সেগুলোর সাথে আমাদের সরাসরি দ্বিমত থাকলেও আমরা সেগুলো নিয়ে আমাদের দলের ফোরামে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারতাম, সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম, সে অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারতাম। তিনি উল্লেখ করেন, কিন্তু যেভাবে এই কথাগুলো ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি বরং এর ফলে পরবর্তীতে যেকোনো স্টেকহোল্ডারের সাথে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে। একই পোস্টে সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ কমেন্ট করেন, ‘এসব কি ভাই। পাবলিকলিই বলছি- দুইজনের একজন মিথ্যে বলছেন। এটা চলতে পারে না। আর দলের গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট হোল্ড করেও আপনারা যেভাবে ব্যক্তিগতভাবে বিচরণ করছেন এবং তা পাবলিক

করে এনসিপিকেই বিতর্কিত করছেন। মানুষ এনসিপিকে নিয়ে যখন স্বপ্ন বুনছে, তখন এভাবে এনসিপিকে বিতর্কিত করার কাদের এজেন্ডা। স্যরি, আর চুপ থাকতে পারলাম না।’ এর আগেরদিন শনিবার সিলেটে এনসিপির ইফতার মাহফিলে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী হাসনাতের পোস্টকে শিষ্টাচারবহির্ভূত হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাসনাত আবদুল্লাহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন কমিটির সঙ্গে মিটিং করেছেন-তার এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা উচিত হয়নি। আমরা মনে করি, এটা শিষ্টাচারবহির্ভূত কাজ হয়েছে। প্রকাশ্যে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের এমন বিতর্কে জড়ানোকে নেতিবাচকভাবে সম্বোধন করেছেন অনেকে। অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুল্লাহ হিল বাকী ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করেন, এনসিপি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই যে কোনো ইস্যুতে নেতারা ফেসবুকে যে যার মতো

করে পজিশন নিয়ে লেখা শুরু করে। এটা দলটির জন্য ক্ষতিকর। এনসিপি নেতাদের উচিত সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু প্রকাশ করার আগে অবশ্যই অবশ্যই দলীয় ফোরামে আলোচনা করে নেওয়া। জানতে চাইলে দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধের ব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত নেই। মূল বিষয় আর্মির সঙ্গে তাদের বৈঠকের বিষয়ে হাসনাত এবং সারজিস আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি উল্লেখ করেছে। আরেকটা বিষয় হলো- অভ্যুত্থানে মাধ্যমে উঠে আসা নেতৃত্বে অ্যাক্টিভিজম করার যে অভ্যস্ততা বা চর্চা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আস্তে আস্তে খাপ খাইয়ে নেবে, মানিয়ে নেবে। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় অ্যাকটিভিজমের মধ্যে থাকা এবং জাতীয় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে অ্যাকটিভিজমের চর্চা

এখনও রয়ে গেছে। আগামীতে এটা অবশ্যই কমবে। রাজনৈতিক চরিত্রে তো ব্যক্তি আকারে মন্তব্য থাকে না। যখন দল হয় তখন দলের বক্তব্যই গুরুত্বপূর্ণ। তখন ব্যক্তির আলাদা বক্তব্য খুব বেশি থাকে না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
টিসিবির ৩৬৫৬ কেজি চাল জব্দ, আটক ২ গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ, নিন্দা জানিয়ে যা বলল কাতার উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বেতন বোনাস না দেওয়ায় ১২ কারখানা মালিকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা সাবেক চসিক মেয়র নাছিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ফিলিস্তিনিদের জাবালিয়া খালি করতে ইসরাইলের ‘চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি’ লুহানস্কে ইউক্রেনের গোলাবর্ষণ, তিন সাংবাদিকসহ নিহত ৬ প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে কী পাবে বাংলাদেশ? সুইডেনে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, সুপারশপ বয়কটের হিড়িক ঈদে গান নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মাহফুজুর রহমান ঢাকা বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয়, দিল্লি শীর্ষে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ‘যা আছে সব নিয়ে’ মাঠে নামবে ব্রাজিল এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা সন্‌জীদা খাতুন আর নেই জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ হিথ্রোতে স্বল্প পরিসরে ফ্লাইট চালু পাঁচ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীর অস্থায়ী আইনি বৈধতা (টিপিএস) বাতিল করলেন ট্রাম্প এবার বাংলাদেশের ঈদ বাজারে ভারত আউট, দেশি-পাকিস্তানি পণ্যের দাপট যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসে বৈধ কাগজপত্রহীন বাংলাদেশিদের মধ্যে গ্রেফতার আতংক! বাইডেনের ওপর ট্রাম্পের ক্ষোভ কতটা, তা আরেকবার দেখালেন