
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

‘নৌকা’ থাকবে, অন্তর্ভুক্ত হবে না ‘শাপলা’: ইসি

নতুন প্রস্তাবিত প্রতীকের তালিকায় থাকছে না ‘শাপলা’: ইসি আব্দুর রহমানেল

প্রবাসীদের ভোটগ্রহণে পোস্টাল ব্যালটেই আস্থা ইসির

নির্বাচনের তারিখ আমি নিজেও জানি না: সিইসি

নির্বাচনী কার্যক্রম দানা বাঁধছে না, পথ স্পষ্ট নয়

স্থানীয় নির্বাচনেও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা জারি

গত তিন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত
ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবিতে অনড় বামেরা

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অনড় দেশের বামপন্থি দলগুলো। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা চায় তারা। সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে চলমান সংলাপেও তারা এ দাবি জানিয়ে আসছে।
বামপন্থি নেতারা বলছেন, দেশজুড়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা চলছে। এই অবস্থার উত্তরণে দ্রুত নির্বাচন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরই একমাত্র পথ। সরকারের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে নির্বাচন নিয়ে জনমনে অনাস্থা দেখা দিয়েছে। সরকার তাড়াতাড়ি রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার দিকে এগোলে আস্থাহীনতার সংকট কাটবে।
অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছিল। তবে গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, ‘২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে জাতীয় নির্বাচন হবে।’ এতে আগে থেকেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি তোলা বিএনপিসহ বিভিন্ন দল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। এ অবস্থায় গত ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে আগামী বছর রোজা শুরুর আগের সপ্তাহে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে নীতিগত ঐকমত্য হয়। বৈঠক শেষে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে সংস্কার ও বিচারে অগ্রগতি হলে এই সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গে বাম দলগুলোর নেতারা বলছেন, সবার আগে নির্বাচনব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। এই সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা
না হলে সংকট আরও বাড়বে। বাম গণতান্ত্রিক জোটের কয়েকজন নেতা বলেছেন, তারা বারবারই বলে আসছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেও করা সম্ভব ছিল। যত দেরি হবে, ততই সংকট বাড়বে। দেশের বামপন্থি দলগুলোর বৃহত্তম এই জোটে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলসহ (বাসদ) ছয়টি দল সক্রিয় রয়েছে। তারা দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে এরই মধ্যে বেশ কয়েক দফা কর্মসূচি পালন করেছে। জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের দাবি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচার
কাজ দৃশ্যমান করা এবং সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। তা না করে সরকার বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটবে না।’ বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুক। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুক।’ বাম গণতান্ত্রিক জোটের মতো বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলও (বাংলাদেশ জাসদ) চাইছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। দলটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেছেন, একটি ভালো নির্বাচনের জন্য যেটুকু সংস্কার দরকার, সেটুকু করতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে নির্বাচনব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে চলতি বছরের
মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। সেটি নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কিংবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে। পাঁচটি দল নিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যও চাইছে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন। জোটের সমন্বয়ক ও সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব দ্রুত মৌলিক সংস্কার শেষ করে নির্বাচন আয়োজন এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু সরকার তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছে। তারা এমন এমন কাজ করছে বা করার চেষ্টা করছে যা দেশকে গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
ইউনূস বলেন, ‘২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে জাতীয় নির্বাচন হবে।’ এতে আগে থেকেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি তোলা বিএনপিসহ বিভিন্ন দল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। এ অবস্থায় গত ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে আগামী বছর রোজা শুরুর আগের সপ্তাহে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে নীতিগত ঐকমত্য হয়। বৈঠক শেষে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে সংস্কার ও বিচারে অগ্রগতি হলে এই সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গে বাম দলগুলোর নেতারা বলছেন, সবার আগে নির্বাচনব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। এই সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা
না হলে সংকট আরও বাড়বে। বাম গণতান্ত্রিক জোটের কয়েকজন নেতা বলেছেন, তারা বারবারই বলে আসছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেও করা সম্ভব ছিল। যত দেরি হবে, ততই সংকট বাড়বে। দেশের বামপন্থি দলগুলোর বৃহত্তম এই জোটে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলসহ (বাসদ) ছয়টি দল সক্রিয় রয়েছে। তারা দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে এরই মধ্যে বেশ কয়েক দফা কর্মসূচি পালন করেছে। জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের দাবি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচার
কাজ দৃশ্যমান করা এবং সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। তা না করে সরকার বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটবে না।’ বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুক। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুক।’ বাম গণতান্ত্রিক জোটের মতো বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলও (বাংলাদেশ জাসদ) চাইছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। দলটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেছেন, একটি ভালো নির্বাচনের জন্য যেটুকু সংস্কার দরকার, সেটুকু করতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে নির্বাচনব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে চলতি বছরের
মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। সেটি নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কিংবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে। পাঁচটি দল নিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যও চাইছে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন। জোটের সমন্বয়ক ও সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব দ্রুত মৌলিক সংস্কার শেষ করে নির্বাচন আয়োজন এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু সরকার তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছে। তারা এমন এমন কাজ করছে বা করার চেষ্টা করছে যা দেশকে গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।