
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

দেশেও করোনার নতুন ধরন

শার্শায় বিএনপির কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

রাজধানীতে ফিরছে মানুষ, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক

এ মাসেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা বাসা ভাড়া নেন, এখন করুণ পরিণতি

বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, নতুন শনাক্ত ১৩

জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সাজ্জাদ

স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে জীবনের ইতি টানলেন খলিলুর
জলকেলিতে মেতেছে কক্সবাজারের রাখাইন পল্লি

পানিভর্তি বাঁশের ড্রাম সারি সারি সাজানো, পেছনে রঙিন কাগজের প্যান্ডেল, বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি দৃষ্টিনন্দন কাঠামোর চারপাশজুড়ে উচ্ছ্বাস আর ছলছল শব্দে উৎসব। রাখাইন পঞ্জিকায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) শেষ হয়েছে ১৩৮৬ সাল।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে নতুন বছর ১৩৮৭। বর্ষবরণকে ঘিরে কক্সবাজারের রাখাইন পল্লিগুলোতে শুরু হয়েছে তিন দিনের জলকেলি উৎসব।
এটি শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠান নয়, উৎসব যেন রাখাইন সংস্কৃতির এক জীবন্ত প্রদর্শনী। তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে একে অপরকে পানি ছুড়ে দিয়ে মঙ্গল কামনা, সম্প্রীতি আর নতুন বছর শুরুর আনন্দে মেতেছেন।
রাখাইনদের বিশ্বাস, এই জল মঙ্গলের প্রতীক। পুরোনো বছরের ক্লান্তি, দুঃখ আর গ্লানি মুছে নতুন বছর শুরু হয় নির্মলতায়। বাঁশ, কাপড়,
রঙ আর পানির ব্যবহারেই ফুটে উঠে রাখাইনদের সৃজনশীলতা ও সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য। সরেজমিন দেখা যায়, বাঁশ-বেত দিয়ে বানানো অস্থায়ী প্যান্ডেলে থরে থরে সাজানো ড্রাম। তার পাশে ফুল আর কাগজের তৈরি নকশা। প্রতিটি প্যান্ডেল যেন একেকটি শিল্পকর্ম। তরুণেরা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ছুটে যাচ্ছেন এক প্যান্ডেল থেকে আরেকটিতে। তরুণীরা পানির ছোঁয়ায় জবাব দিচ্ছেন হাসিমুখে। উৎসবে নেই কোনো প্রতিযোগিতা, আছে শুধু আনন্দের বিনিময়। রাখাইন নারী নেত্রী মাটিং টিন রাখাইন জানান, বুদ্ধস্নান দিয়ে শুরু হয় এই সাংগ্রেং। বিহার বা ঘরের বুদ্ধমূর্তি স্নান করিয়ে শুরু হয় ধর্মীয় রীতির পালন। এরপর ১৫ এপ্রিল শোভাযাত্রা ও পঞ্চশীল গ্রহণের মাধ্যমে সবার মঙ্গল কামনা করা হয়। ১৬ এপ্রিল ছিল শিশুদের জন্য পানি খেলার
দিন। আর ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মূল তিন দিনের জলকেলি। কক্সবাজার শহরের রাখাইন পল্লিতে অন্তত ২০টি প্যান্ডেল স্থাপন করা হয়েছে এই জলকেলি উৎসবের জন্য। পাশাপাশি জেলার টেকনাফ, মহেশখালী, চৌফলদণ্ডী ও রামুর রাখাইন পল্লিতেও চলছে একই আয়োজন। রাখাইন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মংছেনলা রাখাইন বলেন, জলকেলি আমাদের সবচেয়ে প্রাণবন্ত উৎসব। এখানে শুধু রাখাইনরা নয়, অন্য ধর্মের মানুষেরাও যোগ দেন। এটা কেবল আনন্দের নয়, সম্প্রীতিরও উৎসব। অগ্গমেধা ক্যাং পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মংহ্লা মি রাখাইন বলেন, আমাদের এ উৎসবে শুধু পানি নয়, আছে রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী খাবার, সৌজন্য সাক্ষাৎ, শুভেচ্ছা আর মঙ্গল কামনার রীতি। তাই এ জলকেলির জন্য আমরা এক বছর অপেক্ষায় থাকি। কক্সবাজার জেলা পুলিশের মিডিয়া
ফোকাল পারসন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এ উৎসব কক্সবাজারের অন্যতম সুন্দর সংস্কৃতি। ধর্মীয় হলেও এটি সবার অংশগ্রহণে সম্প্রীতির মেলবন্ধনে পরিণত হয়। সুষ্ঠুভাবে আয়োজন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা রয়েছে।
রঙ আর পানির ব্যবহারেই ফুটে উঠে রাখাইনদের সৃজনশীলতা ও সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য। সরেজমিন দেখা যায়, বাঁশ-বেত দিয়ে বানানো অস্থায়ী প্যান্ডেলে থরে থরে সাজানো ড্রাম। তার পাশে ফুল আর কাগজের তৈরি নকশা। প্রতিটি প্যান্ডেল যেন একেকটি শিল্পকর্ম। তরুণেরা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ছুটে যাচ্ছেন এক প্যান্ডেল থেকে আরেকটিতে। তরুণীরা পানির ছোঁয়ায় জবাব দিচ্ছেন হাসিমুখে। উৎসবে নেই কোনো প্রতিযোগিতা, আছে শুধু আনন্দের বিনিময়। রাখাইন নারী নেত্রী মাটিং টিন রাখাইন জানান, বুদ্ধস্নান দিয়ে শুরু হয় এই সাংগ্রেং। বিহার বা ঘরের বুদ্ধমূর্তি স্নান করিয়ে শুরু হয় ধর্মীয় রীতির পালন। এরপর ১৫ এপ্রিল শোভাযাত্রা ও পঞ্চশীল গ্রহণের মাধ্যমে সবার মঙ্গল কামনা করা হয়। ১৬ এপ্রিল ছিল শিশুদের জন্য পানি খেলার
দিন। আর ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মূল তিন দিনের জলকেলি। কক্সবাজার শহরের রাখাইন পল্লিতে অন্তত ২০টি প্যান্ডেল স্থাপন করা হয়েছে এই জলকেলি উৎসবের জন্য। পাশাপাশি জেলার টেকনাফ, মহেশখালী, চৌফলদণ্ডী ও রামুর রাখাইন পল্লিতেও চলছে একই আয়োজন। রাখাইন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মংছেনলা রাখাইন বলেন, জলকেলি আমাদের সবচেয়ে প্রাণবন্ত উৎসব। এখানে শুধু রাখাইনরা নয়, অন্য ধর্মের মানুষেরাও যোগ দেন। এটা কেবল আনন্দের নয়, সম্প্রীতিরও উৎসব। অগ্গমেধা ক্যাং পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মংহ্লা মি রাখাইন বলেন, আমাদের এ উৎসবে শুধু পানি নয়, আছে রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী খাবার, সৌজন্য সাক্ষাৎ, শুভেচ্ছা আর মঙ্গল কামনার রীতি। তাই এ জলকেলির জন্য আমরা এক বছর অপেক্ষায় থাকি। কক্সবাজার জেলা পুলিশের মিডিয়া
ফোকাল পারসন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এ উৎসব কক্সবাজারের অন্যতম সুন্দর সংস্কৃতি। ধর্মীয় হলেও এটি সবার অংশগ্রহণে সম্প্রীতির মেলবন্ধনে পরিণত হয়। সুষ্ঠুভাবে আয়োজন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা রয়েছে।