জলকেলিতে মেতেছে কক্সবাজারের রাখাইন পল্লি – ইউ এস বাংলা নিউজ




জলকেলিতে মেতেছে কক্সবাজারের রাখাইন পল্লি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১:৪৮ 12 ভিউ
পানিভর্তি বাঁশের ড্রাম সারি সারি সাজানো, পেছনে রঙিন কাগজের প্যান্ডেল, বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি দৃষ্টিনন্দন কাঠামোর চারপাশজুড়ে উচ্ছ্বাস আর ছলছল শব্দে উৎসব। রাখাইন পঞ্জিকায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) শেষ হয়েছে ১৩৮৬ সাল। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে নতুন বছর ১৩৮৭। বর্ষবরণকে ঘিরে কক্সবাজারের রাখাইন পল্লিগুলোতে শুরু হয়েছে তিন দিনের জলকেলি উৎসব। এটি শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠান নয়, উৎসব যেন রাখাইন সংস্কৃতির এক জীবন্ত প্রদর্শনী। তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে একে অপরকে পানি ছুড়ে দিয়ে মঙ্গল কামনা, সম্প্রীতি আর নতুন বছর শুরুর আনন্দে মেতেছেন। রাখাইনদের বিশ্বাস, এই জল মঙ্গলের প্রতীক। পুরোনো বছরের ক্লান্তি, দুঃখ আর গ্লানি মুছে নতুন বছর শুরু হয় নির্মলতায়। বাঁশ, কাপড়,

রঙ আর পানির ব্যবহারেই ফুটে উঠে রাখাইনদের সৃজনশীলতা ও সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য। সরেজমিন দেখা যায়, বাঁশ-বেত দিয়ে বানানো অস্থায়ী প্যান্ডেলে থরে থরে সাজানো ড্রাম। তার পাশে ফুল আর কাগজের তৈরি নকশা। প্রতিটি প্যান্ডেল যেন একেকটি শিল্পকর্ম। তরুণেরা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ছুটে যাচ্ছেন এক প্যান্ডেল থেকে আরেকটিতে। তরুণীরা পানির ছোঁয়ায় জবাব দিচ্ছেন হাসিমুখে। উৎসবে নেই কোনো প্রতিযোগিতা, আছে শুধু আনন্দের বিনিময়। রাখাইন নারী নেত্রী মাটিং টিন রাখাইন জানান, বুদ্ধস্নান দিয়ে শুরু হয় এই সাংগ্রেং। বিহার বা ঘরের বুদ্ধমূর্তি স্নান করিয়ে শুরু হয় ধর্মীয় রীতির পালন। এরপর ১৫ এপ্রিল শোভাযাত্রা ও পঞ্চশীল গ্রহণের মাধ্যমে সবার মঙ্গল কামনা করা হয়। ১৬ এপ্রিল ছিল শিশুদের জন্য পানি খেলার

দিন। আর ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মূল তিন দিনের জলকেলি। কক্সবাজার শহরের রাখাইন পল্লিতে অন্তত ২০টি প্যান্ডেল স্থাপন করা হয়েছে এই জলকেলি উৎসবের জন্য। পাশাপাশি জেলার টেকনাফ, মহেশখালী, চৌফলদণ্ডী ও রামুর রাখাইন পল্লিতেও চলছে একই আয়োজন। রাখাইন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মংছেনলা রাখাইন বলেন, জলকেলি আমাদের সবচেয়ে প্রাণবন্ত উৎসব। এখানে শুধু রাখাইনরা নয়, অন্য ধর্মের মানুষেরাও যোগ দেন। এটা কেবল আনন্দের নয়, সম্প্রীতিরও উৎসব। অগ্গমেধা ক্যাং পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মংহ্লা মি রাখাইন বলেন, আমাদের এ উৎসবে শুধু পানি নয়, আছে রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী খাবার, সৌজন্য সাক্ষাৎ, শুভেচ্ছা আর মঙ্গল কামনার রীতি। তাই এ জলকেলির জন্য আমরা এক বছর অপেক্ষায় থাকি। কক্সবাজার জেলা পুলিশের মিডিয়া

ফোকাল পারসন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এ উৎসব কক্সবাজারের অন্যতম সুন্দর সংস্কৃতি। ধর্মীয় হলেও এটি সবার অংশগ্রহণে সম্প্রীতির মেলবন্ধনে পরিণত হয়। সুষ্ঠুভাবে আয়োজন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কট্টর হিন্দুত্ববাদী আরএসএস ‘প্রচারকরা’ কেন বিয়ে করতে পারেন না? আজকের খেলা: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ আফগানিস্তানে পরিত্যক্ত মার্কিন অস্ত্র এখন জঙ্গিদের হাতে গাজার যুদ্ধাহত শিশুর ছবি বিশ্বসেরা জোট সরকারে থাকছেন না বিলাওয়াল আসাদকে সিরিয়ায় প্রত্যার্পণে রাশিয়ার অস্বীকৃতি টানা ৫ দিন বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস রক্তক্ষরণজনিত জন্মগত রোগ মেসির তিন ছেলে কে কোন ফুটবলারের ভক্ত বিদ্রোহী ৮ নারী ফুটবলারও আসছেন চুক্তির আওতায় রুশ নাগরিকের মুক্তিতে হামাসের ভূমিকার প্রশংসা করলেন পুতিন হাট ইজারা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০ দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে আ. লীগ নেতা, যা বলছে জামায়াত ইরাকে প্রবল বালুঝড় : অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩ হাজার ৭ শতাধিক পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ : ভারত বাজারে কাঁকরোলের কেজি ১৪০, বেগুনের সেঞ্চুরি চেকপোস্ট ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার রাষ্ট্র পরিবর্তনের জন্য লড়াই বিশ্বের ইতিহাসে বিরল: নজরুল এবার প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলম