জমে উঠেছে শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যের দোকান – ইউ এস বাংলা নিউজ




জমে উঠেছে শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যের দোকান

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ | ১০:০১ 65 ভিউ
স্থানীয় বাজারের তুলনায় শাকসবজির দাম কম। কেজিপ্রতি ১০-৩০ টাকা কমে কিনতে পারছেন লোকজন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে সবজি কিনতে সেখানে ভিড় করেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে শাকসবজি পৌঁছে দেওয়ার এই কার্যক্রম শুরু করেছেন বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের একদল শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে কাঁচাবাজারের সামনে ন্যায্যমূল্যে শাকসবজি বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এটি চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এ ব্যবসা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড বাজারের প্রধান ফটকের বিপরীত পাশে বসানো হয়েছে এ সবজির দোকান। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে রাস্তার পাশে বসে সবজির দোকানটি চালানো হচ্ছে। সাজিয়ে রাখা হয়েছে

বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। পৌর এলাকার বাসিন্দারা বাজার করে ফেরার সময় বলেন, বাজার থেকে সব সবজির দাম এখানে কম। আন্দোলনের পর কয়েক দিন সিন্ডিকেট না থাকায় বাজার সহনীয় থাকলেও এখন আবার সবকিছুর দাম বেশি। শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রম চলমান রাখলে বাজারে জিনিসের দাম কমতে পারে। এদিন ১২ ধরনের সবজি বিক্রি করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যের দোকানে। স্থানীয় বাজার থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের দোকানে কম দামে সবজি বিক্রি করেন। কাঁচামরিচ শিক্ষার্থীদের দোকানে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। ঢেঁড়স ৪৫ টাকা বিক্রি করলেও বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। শসা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বাজারে দাম ৭৫ থেকে ৮৫

টাকা। পটল ৫০ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৭০ থেকে ১০০ টাকা। পুঁইশাক ৩৫ টাকা আঁটি বিক্রি হলেও বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পেঁপে ৩০ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪৫ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচাকলার হালি ৩০ টাকা বিক্রি করলেও বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা বিক্রি করলেও বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের একজন আরিফ হোসেন বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে আমরা সংগ্রহ করায় কম দামে বিক্রি করতে পারছি। বাজারে আসা সবজি কৃষক থেকে বাজারে আসতে কয়েকটি হাতবদল

হওয়ায় দাম বেড়ে যায়। কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে পরিবহন খরচ যোগ করে বিক্রি করেও বাজারের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে সবকিছু বিক্রি করা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকার আসার পর সিন্ডিকেট এ সরকারকে বিতর্কিত করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করে দিয়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এজন্য শিক্ষার্থীরা মিলে কৃষক ও ভোক্তার সুবিধা করে দিতে উদ্যোগ নিয়েছি। এতে কৃষকরাও ন্যায্যমূল্য পাবেন, ভোক্তার‌ও কম দামে কিনতে পারবেন। যতদিন অস্থিতিশীল থাকবে বাজার, ততদিন আমাদের এ কার্যক্রম চলবে। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বাকেরগঞ্জের সাধারণ জনতা বলেন, বর্তমানে বাজারে উচ্চমূল্যে শাকসবজি বিক্রি করে সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীরা। এতদিন ফায়দা লুটছে এখন থেকে

আর পারবে না। শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির উদ্যোগটির ফলে এটি নিরসন হবে অনেকটা। এ ধরনের উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে বাজার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা সকল দায় ঢাকার ওপর চাপাতে চায় জাতিসংঘ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের মোহাম্মদপুরের গ্যাং প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৪২ সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মামদানির জয়ে নিউইয়র্কের আবাসন খাতে আতঙ্ক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে বিভক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন একই অভিযোগে এনবিআরের আরও ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত শান্তির হ্যাটট্রিকে দুই ভেন্যুর ম্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয় জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর কেন ইমাম হুসাইনের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন হিন্দুরা? সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা গাড়ি থামিয়ে ঘুষের অভিযোগ, ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার