
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ট্রাম্পের তড়িঘড়ি নীতি ও শুল্ক যুদ্ধের নেপথ্যে কী?

নেতানিয়াহুর ছবিতে পেটানোর খবর ইসরাইলের গণমাধ্যমে

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করে বহিষ্কারের মুখে শিক্ষার্থী

চারদিক থেকে রাফা ঘেরাও করে ফেলেছে ইসরাইল

ইসরাইলের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল ও সম্পর্ক ছিন্ন করতে মুসলিম নেতাদের প্রতি আহ্বান

‘মার্চ ফর গাজা’য় শুধু বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের নির্দেশনা

পাকিস্তানের অনুরোধ রাখল সৌদি আরব
চাকরির খোঁজে ইউরোপে ঝুঁকছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা

টুনা মাছ নিয়ে গবেষণা করতে ভালোবাসেন বিজ্ঞানী ডেভিড ডি ডেজিয়ান। সেই সুবাদে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এনওএএ) একটি অফারও পান, যা ছিল তার স্বপ্নের চাকরি।
তবে বছর না ঘুরতেই গত ফেব্রুয়ারিতে একদিন আকস্মিকভাবে ৯০ মিনিটের মধ্যে অফিস ছাড়তে বলা হয় তাকে। অর্থাৎ ছাঁটাই করা হয় মৎস্য বিজ্ঞানী ডেভিড ডি ডেজিয়ানকে।
তার এই ছাঁটাই ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বাজেট কাটছাঁটেরই অংশ। এর লক্ষ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল কমানো। যার ফলে খড়গ নেমে আসে বিজ্ঞানী ডেভিড ডি ডেজিয়ানের ওপর। যে কারণে এখন তিনি চাকরির জন্য আবেদন করছেন ইউরোপে গবেষণা প্রতিষ্ঠানে।
তার জন্ম মূলত স্পেনে হলেও তিনি জীবনের বেশিরভাগ
সময় কাটিয়ে দিয়েছেন আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াতেই। এই মৎস্য বিজ্ঞানী বলেন, ‘যেখানে গবেষণার সুযোগ পাবো, সেখানেই কাজ করতে চাই’। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি— বাজেট ঘাটতি কমাতে ও ঋণ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ কমানো প্রয়োজন। পাশাপাশি ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বৈচিত্র্যনীতি ও ইহুদি ছাত্রদের নিরাপত্তা প্রশ্নেও কড়া সমালোচনা করেছেন। মূলত আমেরিকায় চলমান এই সংকটের সুযোগ নিতে চাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ ১৩টি ইউরোপীয় দেশ মার্চেই ইউরোপীয় কমিশনকে চিঠি দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপিয়ান রিসার্চ কাউন্সিল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ইউরোপে স্থানান্তরিত হওয়া গবেষকদের জন্য বাজেট দ্বিগুণ করে প্রতিজনের জন্য ২ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করবে। বিপুল এই অর্থ ল্যাব তৈরি ও স্থানান্তরের খরচ মেটাতে সাহায্য করবে। এ
বিষয়ে জার্মানির নবনির্বাচিত চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ বলেন, ‘মার্কিন সরকার এখন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করছে। গবেষকরা ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ করছে – এটি আমাদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ’। চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপ শুধু সদিচ্ছা দিয়েই মার্কিন গবেষণা খাতকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। কেননা, ২০২৩ সালে ইউরোপের মোট গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় ছিল ৩৮১ বিলিয়ন ইউরো। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে তা ছিল ৯৪০ বিলিয়ন ডলার। উদাহরণস্বরূপ-এক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলই ৫৩.২ বিলিয়ন ডলার। সেখানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল মাত্র ৮.৩ বিলিয়ন পাউন্ড। এ নিয়ে প্রিন্সটনের ভূ-বিজ্ঞানী মাইকেল ওপেনহেইমার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সমতুল্য গবেষণা সক্ষমতা তৈরি করতে ইউরোপের কয়েক দশক লেগে যেতে পারে’। অনিশ্চয়তায় মার্কিন গবেষকরা তবে চলমান পরিস্থিতিতে অনেক
মার্কিন বিজ্ঞানী এখন ইউরোপে যাওয়ার কথা ভাবছেন। আবার কেউ কেউ ভাষাগত বাধা, আইনি জটিলতা ও কম বেতন নিয়েও চিন্তিত। তাদেরই একজনের ভাষ্য, ‘আমি যদি ইউরোপে যাই, বোধহয় অনেক কম বেতন পাব’। তবুও ফ্রান্সের মার্সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেইফ স্পেস ফর সায়েন্স’ কর্মসূচিতে ইতোমধ্যেই নাসা, স্ট্যানফোর্ডসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের ১২০ জন গবেষক আগ্রহ দেখিয়েছেন। পরিশেষে বলা যায় যে, ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোই মূলত মার্কিন অ্যাকাডেমিক জগতকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় ইউরোপের সামনে একটি বিরল সুযোগ এসেছে– বৈশ্বিক মেধাধারী ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণ করার। তবে তা অর্জন করতে হলে তাদের অর্থায়ন, অবকাঠামো ও পরিবেশকে যুক্তরাষ্ট্রের মানদণ্ডে উন্নীত করতে হবে।
সময় কাটিয়ে দিয়েছেন আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াতেই। এই মৎস্য বিজ্ঞানী বলেন, ‘যেখানে গবেষণার সুযোগ পাবো, সেখানেই কাজ করতে চাই’। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি— বাজেট ঘাটতি কমাতে ও ঋণ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ কমানো প্রয়োজন। পাশাপাশি ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বৈচিত্র্যনীতি ও ইহুদি ছাত্রদের নিরাপত্তা প্রশ্নেও কড়া সমালোচনা করেছেন। মূলত আমেরিকায় চলমান এই সংকটের সুযোগ নিতে চাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ ১৩টি ইউরোপীয় দেশ মার্চেই ইউরোপীয় কমিশনকে চিঠি দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপিয়ান রিসার্চ কাউন্সিল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ইউরোপে স্থানান্তরিত হওয়া গবেষকদের জন্য বাজেট দ্বিগুণ করে প্রতিজনের জন্য ২ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করবে। বিপুল এই অর্থ ল্যাব তৈরি ও স্থানান্তরের খরচ মেটাতে সাহায্য করবে। এ
বিষয়ে জার্মানির নবনির্বাচিত চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ বলেন, ‘মার্কিন সরকার এখন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করছে। গবেষকরা ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ করছে – এটি আমাদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ’। চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপ শুধু সদিচ্ছা দিয়েই মার্কিন গবেষণা খাতকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। কেননা, ২০২৩ সালে ইউরোপের মোট গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় ছিল ৩৮১ বিলিয়ন ইউরো। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে তা ছিল ৯৪০ বিলিয়ন ডলার। উদাহরণস্বরূপ-এক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলই ৫৩.২ বিলিয়ন ডলার। সেখানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল মাত্র ৮.৩ বিলিয়ন পাউন্ড। এ নিয়ে প্রিন্সটনের ভূ-বিজ্ঞানী মাইকেল ওপেনহেইমার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সমতুল্য গবেষণা সক্ষমতা তৈরি করতে ইউরোপের কয়েক দশক লেগে যেতে পারে’। অনিশ্চয়তায় মার্কিন গবেষকরা তবে চলমান পরিস্থিতিতে অনেক
মার্কিন বিজ্ঞানী এখন ইউরোপে যাওয়ার কথা ভাবছেন। আবার কেউ কেউ ভাষাগত বাধা, আইনি জটিলতা ও কম বেতন নিয়েও চিন্তিত। তাদেরই একজনের ভাষ্য, ‘আমি যদি ইউরোপে যাই, বোধহয় অনেক কম বেতন পাব’। তবুও ফ্রান্সের মার্সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেইফ স্পেস ফর সায়েন্স’ কর্মসূচিতে ইতোমধ্যেই নাসা, স্ট্যানফোর্ডসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের ১২০ জন গবেষক আগ্রহ দেখিয়েছেন। পরিশেষে বলা যায় যে, ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোই মূলত মার্কিন অ্যাকাডেমিক জগতকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় ইউরোপের সামনে একটি বিরল সুযোগ এসেছে– বৈশ্বিক মেধাধারী ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণ করার। তবে তা অর্জন করতে হলে তাদের অর্থায়ন, অবকাঠামো ও পরিবেশকে যুক্তরাষ্ট্রের মানদণ্ডে উন্নীত করতে হবে।