গ্যাস তেল কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতে সংকট – U.S. Bangla News




গ্যাস তেল কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতে সংকট

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ৫ জুন, ২০২৩ | ৯:৪৮
মূল্যস্ফীতি আর লোডশেডিংয়ে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী গ্যাস-তেল-কয়লা সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়াতে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। টাকা দিয়েও কেনা যাচ্ছে না। এ রকমই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। যার জন্য আমি জানি, এই গরমে মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে। একদিকে মূল্যস্ফীতি আর অপরদিকে এখন বিদ্যুৎ সমস্যা- এই দুটি কষ্ট আমার দেশের মানুষ পাচ্ছে। তবে ইউরোপের মতো দুরবস্থার মধ্যে বাংলাদেশ এখনো পড়েনি। ইনশাল্লাহ পড়বেও না! রবিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকার এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে, বিগত বছরগুলোতেও পেরেছে।

২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের আমলে বাজেট ছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা। এ বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট (৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা) আমরা দিয়েছি। এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আমরা তা পারব, আওয়ামী লীগ পারবে। অনুষ্ঠান থেকে পতাকা নাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর টেনের উদ্বোধন করেন। ট্রেনটি ঢাকা-চিলাহাটি রুটে সপ্তাহে ৬ দিন চলবে। এ আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রী ধারণের সক্ষমতা ৮০০। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেল সচিব হুমায়ূন কবির। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। উদ্বোধনের

পর নীলফামারীর চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এ সময় চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য দেশের খ্যাতনামা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূরসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন নীলফামারী জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। কারণ, হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করার জন্য পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। পণ্য বোঝাই ওয়াগনের পাশাপাশি এই রুটে চলছে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস। ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে মোট ৭৪০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ স্থাপন করেছে, ২৮০ কিলোমিটার রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করেছে এবং ১৩০৮ কিলোমিটার রেলপথ

পুনঃস্থাপন করেছে। এই সময়ের মধ্যে, বাংলাদেশ রেলওয়ের (বিআর) জন্য ৬২৩টি নতুন যাত্রীবাহী গাড়ি ও ৫১৬টি পণ্যবাহী ওয়াগনসহ মোট ১১৪টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া, ১৩০টি রেলওয়ে স্টেশনের সিগন্যালিং সিস্টেম আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। এখন, যাত্রীদের চলাচলের জন্য ১৪২টি নতুন ট্রেন রয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা এবং বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, তার ওপর স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশনের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিটি পণ্যের মূল্য বেড়ে গেছে। আমাদের জ্বালানির মূল্য বেড়েছে, গ্যাসের মূল্য বেড়েছে, খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়েছে, গম-চিনি যা কিছু আমরা কিনতে যাচ্ছি, সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে, পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমরা যে ঋণ নিয়েছি, তারা সুদের হার বাড়িয়ে

দিয়েছে; যার ফলে আমাদের অর্থনীতির ওপর একটা চাপ আছে, তা মোকাবেলা করার জন্য আমাদের নিজেদেরও কিছু উদ্যোগ আছে। লোডশেডিংয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দেব, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ বিশ্বব্যাপী গ্যাস-তেল-কয়লা সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়াতে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। টাকা দিয়েও কেনা যাচ্ছে না। এ রকমই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। যার জন্য আমি জানি, এই গরমে মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে। একদিকে মূল্যস্ফীতি আর অপরদিকে এখন বিদ্যুৎ নেই-এই দুটি কষ্ট আমার দেশের মানুষ পাচ্ছে। ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থার তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, গত শীতের সময় ইউরোপের দেশগুলো, তারা গরম পানি ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ, সবকিছু ইলেক্ট্রিসিটিতে চলে। গরম

পানি বন্ধ, হিটিং বন্ধ, এ রকম তাদের দুরবস্থা। এমনকি বাজারে গেলে সীমিতভাবে কিনতে হতো। একটি পরিবার ছয়টির বেশি ডিম কিনতে পারবে না, এক লিটারের বেশি তেল কিনতে পারবে না, তিনটার বেশি টমেটো কিনতে পারবে না। ঠিক এই অবস্থাটা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখনো সেই দুরবস্থায় পড়েনি। ইনশাল্লাহ পড়বেও না! তবে সেখানে আমাদের দেশের মানুষকে একটা কাজ করতে হবে। আমি বারবার যেটা বলছি, আমাদের যত অনাবাদী জমি আছে; সব জমি চাষ করতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের যত জলাধার আছে সেখানে মাছের চাষ করতে হবে। সরকারপ্রধান বলেন, একবার যদি পাখার বাতাস খাওয়ার অভ্যাস হয়ে যায় তারপর না পেলে তো আরও কষ্ট হয়! এটাও তো

বাস্তব কথা। অভ্যাস হয়ে গেছে, এখন পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু যুদ্ধটা যদি না বাধত আর স্যাংশন যদি না থাকত-তাহলে আমাদের কোনো অসুবিধাই হতো না। আমরা ঠিকই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম। আজকে যুদ্ধের কারণেই কিন্তু বিশ্বব্যাপী প্রত্যেকটা দেশই কষ্ট পাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি, অনেকে অনেক কথাই বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমরা বাংলাদেশটাকে চিনি, বাংলাদেশটাকে জানি, আর এই বাংলাদেশের মানুষের অবস্থাটাও আমাদের জানা। আমরা এখন বিদ্যুৎ দিয়েছি,সেখানে এয়ারকন্ডিশন্ড রুমে বসে আমরা যা কাজ করি, সেখানেই একটা সমালোচনা, সেখানেই একটা কিন্তু খুঁজে বেড়ানো। আর মানুষকে হতাশ করার কতগুলো কথা তারা বলে বেড়ায়। তিনি বলেন, বাজেট দেওয়ার পর তারা

প্রতিবারই বলেন, ‘এটা সম্ভব না, এটা করতে পারবে না’ ইত্যাদি। আমরা কিন্তু তা করি এবং করে দেখাই। যারা এসব কথা প্রতিবছর বলেন, তাদের বলব, আগের বছর কী বলেছিলেন, আর আজকের বাংলাদেশ কোথায় এসেছে, একটু হিসাব করে তারা যেন দেখেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বদনাম বিদেশীদের কাছে বলে বলে তারা নিজেরা সেখান থেকে কী পায়, আমি জানি না। কিছু হাদিয়াটাদিয়া (অর্থ) জোগাড় করে কিনা, তাও বলতে পারব না। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলেই তারা যেন তৃপ্তি পায়। প্রধানমন্ত্রী এ সময় মোবাইল ফোন কানে দিয়ে রেললাইনে হাঁটা এবং রেলগেট পড়ার পরও গাড়ি চলাচলের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন

করা হয়েছে। এর ফলে অল্প খরচে মানুষ যাতায়াত করতে পারে। আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারে। তিনি বলেন, রেল দুর্ঘটনা ঘটে, ভারতে কী ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে, আপনারা দেখেছেন। এ রকম দুর্ঘটনা সচরাচর চোখে দেখা যায় না। একসঙ্গে তিনটি রেল দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে ২৮৮ জন মারা গেছেন। আমি তাদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে শোক জানিয়েছি। এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমাদের দুজন বাংলাদেশীও আহত রয়েছেন। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা সত্যি চিন্তার বিষয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে আমাদের রেলপথ, সড়কপথ, নৌপথ সবকিছু যাতে চালু হয় তার ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের বিমানবন্দরগুলো উন্নত করেছি। তিনি বলেন, এখন আমের মৌসুম ম্যাংগো এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছে। সেজন্য রেলকে ধন্যবাদ জানাই। আজকে বাংলাদেশের মানুষ উত্তরাঞ্চলের আম খেতে পারবে। আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোতে আম পাঠাব, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে আম পাঠাব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর পরে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা এদেশের উন্নয়ন চায়নি। তারা দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। জনগণের ভোটের অধিকার, খাবার অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। প্রতিরাতে কারফিউ, মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরার সুযোগ ছিল না। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার এক প্রক্রিয়া চলছিল এ দেশে। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছিলাম যে, স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। উত্তরবঙ্গে সবসময় মন্দা লেগেই থাকত, আওয়ামী লীগ যেত, তাদের জন্য লঙ্গরখানা খুলতাম। তাদের দুর্দশা আমি স্বচক্ষে দেখেছি। সেই অবস্থা আজ আর নেই। এ অঞ্চলে চা উৎপাদন না হলেও আওয়ামী লীগ সরকার তার উদ্যোগে সেখানে চা চাষ শুরু করে। এখন পঞ্চগড় থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা চা চাষের আওতায় আনা হয়েছে। তার সরকার উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য বহুবিধ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। রেল যোগাযোগ সম্পর্কে সরকারপ্রধান উল্লেখ করেছেন- ট্রেন, ট্রেন সাধারণ মানুষের পরিবহন এবং অধিকাংশ মানুষই এটি ব্যবহার করে। চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে এই ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে নীলফামারীতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভালো সুযোগ তৈরি হবে। এটি কেবল জনগণের যাতায়াতের সুবিধাই নিয়ে আসবে না, বরং পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগও বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সারাদেশে রেল নেটওয়ার্ক সম্প্রারণ করছে এবং পদ্মা সেতুতে রেল চালুর পর ভাঙ্গা থেকে বরিশালে রেল যোগাযোগ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। বরিশালের মানুষ রেললাইন দেখতে পায়নি। তাই আমাদেরও বরিশাল থেকে পায়রাবন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা করতে হবে। ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে তার সরকার বিএনপি ও অন্যান্য সরকারের হাতে বন্ধ হওয়া সমস্ত রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করে। তার প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুতে রেলট্র্যাক যুক্ত করা হয়েছে- যা আগে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এখন আমরা যমুনা নদীর ওপর একটি পৃথক রেল সেতু নির্মাণ করছি। এক সময় বিশ্বব্যাংক বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুতে রেলপথের বিরোধিতা করলেও এখন তারা নদীর ওপর রেল সেতু নির্মাণে অর্থায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার যাত্রীসেবা ও পণ্য সরবরাহের জন্য ৪৬টি নতুন ব্রডগেজ লোকোমোটিভ, ৪৬০টি নতুন ব্রডগেজ যাত্রীবাহী গাড়ি, ১৫০টি নতুন মিটারগেজ যাত্রীবাহী গাড়ি, ১২৫টি আধুনিক লাগেজ ভ্যান ও ১৩১০টি নতুন ওয়াগন সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। পরিবহনের পাশাপাশি রেলের বহুমুখী ব্যবহার। এছাড়া ২০০টি যাত্রীবাহী গাড়ির পুনর্বাসনের কাজ চলছে। আমি বিশ্বাস করি যে- এই নতুন লোকোমোটিভ, যাত্রীবাহী গাড়ি এবং ওয়াগনের মাধ্যমে রেলওয়ে পরিষেবা ৩/৪ বছরের মধ্যে একটি নতুন যুগে পা রাখবে। মানুষ এর সুফল পাবে ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আনন্দে উদ্বেলিত এলাকার মানুষ ॥ এদিকে, নীলফামারী থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার তাহমিন হক ববী জানান, চিলাহাটি-ঢাকা চলাচলের নতুন ট্রেন পেয়ে আনন্দিত এলাকাবাসী। সে কারণে উদ্বোধনস্থলে ছিল অসংখ্য মানুষের ভিড়। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, উদ্বোধনী ট্রেনটি নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত চালানো হয়। এ সময় চিলাহাটি প্রান্তের অতিথিরা ট্রেনটিতে সৈয়দপুর পর্যন্ত ভ্রমণ করেন। ট্রেনটি আগামী ৭ জুন থেকে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করবে। পথে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি দেবে ১১টি স্টেশনে। সেগুলো হলো- ডোমার, নীলফামারী, সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ি, বিরামপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার, নাটোর, ঈশ্বরদী বাইপাস, জয়দেবপুর ও ঢাকা বিমানবন্দর। চিলাহাটি রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলের ভিআইপি রেস্ট হাউজ মাঠে বিশাল প্যান্ডেলে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আলিম মাহমুদ, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
মোদির গোলামির জিঞ্জিরে দেশকে আবদ্ধ করেছে সরকার -মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর : জাতিসংঘ অসহনীয় তাপমাত্রা মানুষের গুনাহের শাস্তির সতর্ক সঙ্কেত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী রাখাল নিহত মন্দিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তভিত্তিক বিচারের দাবি শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ফরিদপুর বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ইরানের কৃষি-খাদ্য রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশ অর্থ আত্মসাতের মামলা : ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা রাশেদ বিন আমানের বিরুদ্ধে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করুন: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী তীব্র দাবদাহে গাজায় মহামারির শঙ্কা ইউক্রেনকে ৫৫০ কোটি ডলারের সহায়তা দেবে সুইজারল্যান্ড বছরে একটি বিসিএস সম্পন্ন করার পরিকল্পনা পিএসসির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ট্রাম্পের বিচার নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে বিভক্তি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা না বলতে ইমরান খানকে নির্দেশ বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী মাদকপাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা ৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল