খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ফরিদপুর বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ – U.S. Bangla News




খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ফরিদপুর বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ | ৫:০৩
ফরিদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে, ফরিদপুরের মধুখালীতে উগ্রবাদী হিন্দু কর্তৃক মুসলিম হত্যা ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে তাওহীদি জনতার উপর ‌ নির্বিচারে গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা পৌনে দুইটায় শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে উক্ত কর্মসূচি পালন করা হয়। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মৌলানা লোকমান হোসেন জাফূরী। অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে ‌ বক্তব্য রাখেন, মাগুরা থেকে আগত জেলার শত্রুজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনি মুসাফিরী, সংগঠনের সহ-সভাপতি হযরত মাওলানা শামসুল হক, খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি আমজাদ হোসাইন , সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবু নাসির আইয়ুবী, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য

আলহাজ্ব শামসুদ্দিন মোল্লা, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ফরিদপুর জেলার সম্পাদক হাফেজ মিজানুর রহমান শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি , খন্দকার ওহিদুজ্জামান, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মোহাম্মদ মিরাজুল ইসলাম, ভাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হান্নান মাতুব্বর, ইসলামী আন্দোলনের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, মুফতি মাহবুবুর রহমান, মধুখালী থানার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা জিয়াদুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় সমাবেশের সভাপতি, মুফতি মোস্তফা কামাল বলেন,এদেশের হিন্দুরা আমাদের মাথা উঠে বসেছে। মনে হচ্ছে ৯৮% মুসলমানের দেশে আমরাই ভাড়াটিয়া। গত ১৮ এপ্রিল, মধুখালিতে দুই মুসলিম সহোদর কোরানে হাফেজ ভাই দুজনকে হিন্দুরা ৫ ঘন্টা বসে পিটিয়ে হত্যযজ্ঞের মিশন বাস্তবায়ন করলো মধুখালি থানার ওসিসহ বহু পুলিশের সামনে। ঐ হিন্দুদের কাছে

এমন কি ভারী অস্ত্র আছে যে তাদের পুলিশ দুটি মুসলমান হাফেজ সন্তানকে হিন্দু সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচাতে পারলো না। তবে পুলিশ একটি বিরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। হত্যাকারীদের বিচারচাইতে গিয়ে মধুখালির হাজার হাজার মানুষের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বিনা উস্কানিতে এবং বিনা কারনে তৌহিদী জনতার উপর নির্বিচারে পাখির মত গুলী চালিয়েম হত্যার মিশনে ব্যর্থ হলেও ৬/৭ জন গুলিতে আহত হয়েছে। খুশী হয়েছে দাদারা। আহতরা পুলিশের অত্যাচারে বাড়ীতে ঘুমাতে পারেনি। রাতের মধ্যে ৫ জন আটক হলো আর হিন্দু খুনি খুঁজে পায় না পুলিশ। তারা রাতের মধ্যে আটক হলেও ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও হিন্দু খুনিদের খুঁজে পাচ্ছেন না। এটা বড় লজ্জা বিষয়। ডিজিটাল

সরকারের পুলিশ প্রতিবাদকারীকে খুঁজে পায় কিন্তু খুনি পায় না। প্রশাসন মিডিয়াকে ভয় দেখিয়ে অনুরোধ করে সিংহভাগ সাংবাদিক কে সংবাদিককে সংবাদ পরিবেশ নে বিরত রাখছেন বলে আমরা খবর পেয়েছি। তিনি এ কথাও বলেন,"ঘুম ধামা চাপা দেওয়া যায়, কিন্ত রক্ত ধামা চাপা দেওয়া যায় না"। অপরদিকে, সমাবেশের প্রধান অথিতি কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসেন জাফরি,তার বক্তব্যে বলেন। প্রশাসনকে হিন্দু খুনিদের আটকের বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন, খুনীরা পালিয়েছে। পালিয়ে গেছে কোথায়? ভারতে গেছে না বাংলাদেশ আছে? সীমান্তে কি পুলিশ নাই?বাংলাদেশের আজ কোথায় যাচ্ছে? এটা কি এখন বাংলাদেশ আছে নাকি ভারতের অঙ্গ রাজ্য হয়ে গেছে? ৯৮% মুসলমানের দেশ। ২% হিন্দু। তাদের হাতে আজ আমরা জিম্মি।

সরকার বন্দি ভারতের হাতে।আমরা মুসলমান জিম্মি ২% হিন্দুর হাতে। তিন আরো বলেন,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাইরা আপনারা আমাদের প্রজা।যে বন্দুক ও রাইফেল দিয়ে আমাদেরউপরম গুলি করে মারেন আহত করেন ওটা আমাদের টাকায় কেনা। আপনার আইনের তছরূপ করলে আমরা শয়তান সোজা করব। তথা মুসলমান মারার হিন্দু ঠিক করার কৌশলগত পথে হাঁটবো। খুনিদের আটক করে মিডিয়ায় প্রকাশ করতে হবে। ধামাচাপা দিলে কোন ছাড় হবে না। সভায় বক্তারা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে ‌ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ফাঁসি দাবি করেন। তা না হলে আগামী দিনে আরো ব্যাপক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান। একই সাথে এদের পরিবারে ক্ষতিপূরণ দেবার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।

তারা বলেন, এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেফতার করে তাদেরকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের প্রকৃত চেহারা ‌ জনগণের সামনে উন্মোচিত করার ‌ আহ্বান জানান। এ ঘটনায় জড়িত মদদদাতাদের ‌ অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ স্থলে এসে উপস্থিত হলে বিশাল সমাবেশ পরিনত হয়। এই সমাবেশ কে কেন্দ্র করে ফরিদপুর,জেলা সদরের প্রত্যেকটি মোড়ে মোড়ে ব্যাপক নিরাপওার ব্যবস্হা কর হয়। জেলা পুলিশ, ডিবি পুলিশ,থানা পুলিশ,এপিবএন পুলিশ সহ বিজিবি ও মোতায়েন ছিল। পাশাপাশি মুন্সিগঞ্জের জেলা সদর থেকে জল কামান ও এনেও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল সমাবেশ স্হলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক ভীতি কাজ করছে এমনটাই দেখাগেছে।

নিছিদ্রনিরাপওা চাদরে ঢাকা ছিল পুরো শহর। এমন পরিবেশ ছিল একদিকে প্রচন্ড গরম অপরদেকে মিছিল মিটিং। পুরো শহর ছিল থমথমে। উল্লেখ্য গতকাল বৃহস্পতিবার মধুখালির স্হানীয় এমপি প্রানি সম্পদ মন্ত্রী জনাব আব্দুর রহমান সাহেব, মধুখালি উপজেলার হল রুমে ৫ ঘন্টাব্যাপী ১০ ইউনিয়নের নির্ভরযোগ্য হাজার খানেক লোক নিয়ে রুদ্বধার মিটিং করে কাউকে কোন মিছিল সমাবেশ না করে শান্তি সম্প্রতি বজায় রাখার অনুরোধ করেন। এ কানে গতকাল বিকেল ৫ ঘটিকাশ মধুখালি উপজেলা সদরে খনীদের গ্রেফতার দাবিতে স্হানীয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা একটা মানববন্ধন করেন। অপরদিকে সরকারের পক্ষের লোকেরও একটি শান্তির পক্ষে মানববন্ধন করেন এবং সবাইকে অনুরোধ করেন, কেউ বিশ্বাস ভঙ্গ করবেন না। মজার বিষয় হলো, মন্ত্রী কে

উপেক্ষা করে গতকালের সমাবেশের বিশাল মিছিলটিই ছিল মধুখালির।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন : প্রধানমন্ত্রী মহামারী মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও সাড়াদানে উচ্চ-পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য : প্রধানমন্ত্রী সব অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন ‘স্মার্ট এনআইডি’ হস্তান্তর ইসি’র যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করার লক্ষ্যে আলোচনার আগে রাফাহতে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল ইসরায়েল ও হামাসকে যুদ্ধবিরতির জন্য ‘আরো প্রচেষ্টা চালাতে’ জাতিসংঘ প্রধানের আহ্বান নিউইয়র্ক মহানগর আ.লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পেলেন নূর হোসেন ফরহাদ একপক্ষীয় প্রার্থীদের লড়াই যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি আসছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি বন উজাড়ে জড়িত বন কর্মকর্তারাই আজকের দিনটি আমার জন্য অনন্য: সংসদে প্রধানমন্ত্রী সাকিবকে দেখতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট কিশোর দুবাইগামী ফ্লাইটে মিলল পৌনে তিন কোটি টাকার বিদেশী মুদ্রা এখনো ভিসা হয়নি ৫০ হাজার হজযাত্রীর ছাত্রনেতা হিরুকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ অর্থনৈতিক সংকটে ভারতকে যে আহ্বান জানাল মালদ্বীপ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে: সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিনির্দেশ বহির্ভূত ধান-চাল-গম কিনলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী উড়ন্ত বিমানে হঠাৎ নারী যাত্রীদের হাতাহাতি, যা করলেন পাইলট