
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জামায়াত সবসময় সোচ্চার: অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশী পাসপোর্টে “ইসরায়েল ব্যতীত” শর্ত পুনর্বহাল

চার কিলোমিটার খালজুড়ে কচুরিপানা, থমকে গেছে কৃষকের নৌকা

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল

হিন্দু শিক্ষকের সাথে ৩ বছরের প্রেম, মুসলিম ছাত্রীর আত্মহত্যা

ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

হাওড়াঞ্চলে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসানে কৃষক
কুমিল্লায় কালের সাক্ষী শাহ্ সুজা মসজিদ

কুমিল্লায় চার শ বছরের মোগল ঐতিহ্য ধারণ করছে শাহ্ সুজা মসজিদ। নগরীর মোগলটুলীতে চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত এ মসজিদ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটি মোগল স্থাপত্যের অপূর্ব এক নিদর্শন। আয়তনের দিক দিয়ে এ মসজিদ খুব বেশি বড় নয়। তবে এর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সার্বিক অবয়ব আভিজাত্যের প্রতীক বহন করে। মসজিদটি প্রতিষ্ঠার প্রকৃত সাল-তারিখ কোথাও উল্লেখ নেই। তবে জনশ্রুতি আছে, ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মিত হয়েছে।
জানা যায়, শাহ সুজা মসজিদ পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। মসজিদের কেন্দ্রীয় গম্বুজটি পাশের দুটি গম্বুজ থেকে আকারে বড়। সাম্প্রতিককালে মসজিদের দুই প্রান্তে ২২ ফুট করে দুটি কক্ষ এবং সম্মুখভাগে ২৪ ফুট প্রশস্ত একটি বারান্দা নির্মাণ
করায় আদি রূপ কিছুটা নষ্ট হয়েছে। মসজিদের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি সুউচ্চ মিনারও নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদে বর্তমানে কোনো শিলালিপি নেই। শাহ সুজা যখন বাংলার সুবেদার, তখন এ মসজিদ নির্মিত হয়ে থাকতে পারে। জনশ্রুতি রয়েছে, কুমিল্লা শহর অঞ্চলে অবস্থিত মোগলঘাঁটির মুসলমান অধিবাসীদের নামাজ পড়ার সুবিধার জন্য তৎকালীন মোগল ফৌজদার এই মসজিদ নির্মাণ করেন এবং শাহ্ সুজার নামে এর নামকরণ করেন। মসজিদের চার কোণে ৪টি অষ্ট কোনাকার মিনার রয়েছে। সামনের দেওয়ালে আছে ৩টি দরজা এবং ভেতরে পশ্চিম দেওয়ালে ৩টি মেহরাব। কেন্দ্রীয় প্রবেশপথ ও মেহরাব অন্য দুটির চেয়ে অনেক বড়। কেন্দ্রীয় দরজাটির বাইরের দিকে কিছুটা প্রসারিত এবং দুপাশে আছে দুটি সরু গোলাকার মিনার। মসজিদের
সম্মুখভাগ প্যানেল দ্বারা সুশোভিত এবং কার্নিশের ওপরে ব্যাটলম্যান্ট, তার ওপরে একটি গম্বুজ। মসজিদ সম্পর্কে আরও দুটি জনশ্রুতি রয়েছে। প্রথমত, সুজা ত্রিপুরা জয় করে একে চিরস্মরণীয় করার জন্য এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, মহারাজ গোবিন্দ মানিক্য সুজার নাম চিরস্মরণীয় করার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করে এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। সরেজমিন দেখা যায়, মোটা দেওয়ালে নির্মিত মসজিদটি। পাশের সুউচ্চ ভবন আর বারান্দায় টিনের ছাউনি মসজিদের সৌন্দর্যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মসজিদের ভেতরে একটা শীতল পরিবেশ রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা এখানে নামাজ পড়তে আসেন। এখানে নামাজ পড়ে তারা শান্তি পান বলে জানান। মসজিদের খতিব মুফতি খিজির আহমেদ কাসেমী বলেন, ২০০৩ সাল থেকে আমি এ মসজিদে
ইমামতি করছি। এখানে জুমার দিন ২ হাজারের মতো মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। কালের সাক্ষী এ মসজিদটি নগরীর শান্তির প্রতীক। দূরদূরান্তের অনেক মুসল্লি মসজিদের ইতিহাস-ঐতিহ্য দেখতে এসে এখানে নামাজ আদায় করেন। শাহ্ সুজা হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল আজিজ মাসুদ বলেন, মসজিদটি কয়েক ধাপে সামনের দিকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। চুন-সুরকি দিয়ে মসজিদটি নির্মিত। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে তা হাজার বছরেও কিছু হবে না।
করায় আদি রূপ কিছুটা নষ্ট হয়েছে। মসজিদের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি সুউচ্চ মিনারও নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদে বর্তমানে কোনো শিলালিপি নেই। শাহ সুজা যখন বাংলার সুবেদার, তখন এ মসজিদ নির্মিত হয়ে থাকতে পারে। জনশ্রুতি রয়েছে, কুমিল্লা শহর অঞ্চলে অবস্থিত মোগলঘাঁটির মুসলমান অধিবাসীদের নামাজ পড়ার সুবিধার জন্য তৎকালীন মোগল ফৌজদার এই মসজিদ নির্মাণ করেন এবং শাহ্ সুজার নামে এর নামকরণ করেন। মসজিদের চার কোণে ৪টি অষ্ট কোনাকার মিনার রয়েছে। সামনের দেওয়ালে আছে ৩টি দরজা এবং ভেতরে পশ্চিম দেওয়ালে ৩টি মেহরাব। কেন্দ্রীয় প্রবেশপথ ও মেহরাব অন্য দুটির চেয়ে অনেক বড়। কেন্দ্রীয় দরজাটির বাইরের দিকে কিছুটা প্রসারিত এবং দুপাশে আছে দুটি সরু গোলাকার মিনার। মসজিদের
সম্মুখভাগ প্যানেল দ্বারা সুশোভিত এবং কার্নিশের ওপরে ব্যাটলম্যান্ট, তার ওপরে একটি গম্বুজ। মসজিদ সম্পর্কে আরও দুটি জনশ্রুতি রয়েছে। প্রথমত, সুজা ত্রিপুরা জয় করে একে চিরস্মরণীয় করার জন্য এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, মহারাজ গোবিন্দ মানিক্য সুজার নাম চিরস্মরণীয় করার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করে এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। সরেজমিন দেখা যায়, মোটা দেওয়ালে নির্মিত মসজিদটি। পাশের সুউচ্চ ভবন আর বারান্দায় টিনের ছাউনি মসজিদের সৌন্দর্যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মসজিদের ভেতরে একটা শীতল পরিবেশ রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা এখানে নামাজ পড়তে আসেন। এখানে নামাজ পড়ে তারা শান্তি পান বলে জানান। মসজিদের খতিব মুফতি খিজির আহমেদ কাসেমী বলেন, ২০০৩ সাল থেকে আমি এ মসজিদে
ইমামতি করছি। এখানে জুমার দিন ২ হাজারের মতো মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। কালের সাক্ষী এ মসজিদটি নগরীর শান্তির প্রতীক। দূরদূরান্তের অনেক মুসল্লি মসজিদের ইতিহাস-ঐতিহ্য দেখতে এসে এখানে নামাজ আদায় করেন। শাহ্ সুজা হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল আজিজ মাসুদ বলেন, মসজিদটি কয়েক ধাপে সামনের দিকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। চুন-সুরকি দিয়ে মসজিদটি নির্মিত। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে তা হাজার বছরেও কিছু হবে না।