কঠোর মুদ্রানীতি চালু রাখার পরামর্শ – ইউ এস বাংলা নিউজ




কঠোর মুদ্রানীতি চালু রাখার পরামর্শ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:০৪ 34 ভিউ
মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি কমাতে মুদ্রানীতিকে ব্যবহারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছে আইএমএফ। তারা বলেছে, বাজারে টাকার প্রবাহ কমানো ও সুদের হার বাড়ানোর নীতিতে মূল্যস্ফীতির হার কমলে তা বাজারে কার্যকর সুফল বয়ে আনবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি মুদ্রানীতিতে আরও সংস্কার আনার সুপারিশ করেছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ঢাকা সফররত আইএমএফ মিশনের একটি অংশের বৈঠকে এসব পরামর্শ দেওয়া হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতির হার না কমা পর্যন্ত মুদ্রানীতির কঠোরতা ধরে রাখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদের হার আর বাড়াতে চায় না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে যেটুকু বেড়েছে তা আরও কিছুটা সময় ধরে রাখতে চায়। মূল্যস্ফীতির হার কমে গেলে তখন মুদ্রানীতির

কঠোরতা শিথিল করা হবে। পাশাপাশি সুদের হারও ধীরে ধীরে কমানো হবে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণের ফলে মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করায় প্রতিনিধিদল সন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রতিনিধিদলটি বাজারে মুদ্রানীতির উপকরণগুলোর প্রভাব সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। জবাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, সব সূচকেরই প্রভাব পড়ছে, তবে তা একটু ধীরগতিতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো কিছুই দ্রুত চাপিয়ে দিতে চায় না। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার কমানোর বিষয়টি এককভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নির্ভর করে না। এর সঙ্গে পণ্যমূল্য একটি বড় বিষয়। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের খুব বেশি হাত নেই। কারণ, পণ্যের সরবরাহ ও চাহিদার ভিত্তিতে

বাজারে দাম নির্ধারিত হচ্ছে না। সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বেশি থাকলেও দাম কমে না। বরং বেড়ে যাওয়ার নজিরও রয়েছে। এ কারণে সরবরাহ বাড়িয়ে বা কমিয়ে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বৈঠকে ব্যাংকগুলোর তারল্য পরিস্থিতি, মূলধন পরিস্থিতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়লেও রিজার্ভ কেন বাড়ছে না জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আগের বৈদেশিক দেনা এখন শোধ করতে হচ্ছে। ডলারের সংকটের কারণে আমদানি দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রিত ছিল। এতে আমদানি কমেছে। এখন আমদানিতে বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার কারণে এলসি খোলা বেড়েছে। এতে ডলারের খরচও বেড়েছে। এসব কারণে চলতি ব্যয় মিটিয়ে বাড়তি ডলার থাকছে না। যে কারণে রিজার্ভ বাড়ছে না।

তবে রিজার্ভের নিম্নগতি ঠেকানো হয়েছে। আগের মতো রিজার্ভ এখন আর নিম্নমুখী হচ্ছে না। চলতি ও বকেয়া দায়দেনা মিটিয়েও রিজার্ভ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে। আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় করার ক্ষেত্রে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখতে আইএমএফের মিশন বাংলাদেশে রয়েছে। গত ৬ এপ্রিল থেকে মিশন শুরু হয়েছে। তারা আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবে। এর মধ্যে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ইসরায়েল বিজয় অর্জনের পথে : নেতানিয়াহু এএফপির বিশ্লেষণ : চূড়ান্ত সংকটে খামেনি? ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের চেষ্টা, ঝুঁকিতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র? ‘আলোচনা অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে’ ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে : মমতা এইচএসসি পরীক্ষার বাকি ১০ দিন, এলো নতুন নির্দেশনা করোনায় ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫ ৪১ চার ও ২২ ছক্কায় ৩২৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে আলোচনায় সূর্যবংশীর বন্ধু ডাকসু নির্বাচন কমিশন গঠন মে মাসে বিজিবির অভিযানে ১৩৩ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ চট্টগ্রামে করোনায় প্রথম মৃত্যু, আক্রান্ত সর্বোচ্চ সরকারি কলেজে শূন্য পদের তালিকা চেয়েছে সরকার বারবার গরম করা ঠিক নয় কোন খাবার ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে পাঁচ নাটক জরুরি বৈঠকে বসছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পারে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো ইচ্ছা নেই: ইরানের প্রেসিডেন্ট দুর্নীতি প্রমাণ করে সাইফুজ্জামানের অর্থ ফেরত আনা হবে: দুদক চেয়ারম্যান ‘সাকিব আমাকে দেখে মুখ ফিরিয়ে নেবে না, আমিও না’—তামিম