অতীতে বিচার ব্যবস্থা দুর্নীতিবাজদের প্রটেকশন দিয়েছে – ইউ এস বাংলা নিউজ




অতীতে বিচার ব্যবস্থা দুর্নীতিবাজদের প্রটেকশন দিয়েছে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭:৫১ 4 ভিউ
বিগত সরকারের আমলে গত ১৪ থেকে ১৫ বছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ঋণ খেলাপির নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। ছোট ছোট প্রকল্প থেকে মেগা প্রকল্পসহ সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতির ছায়া ছিল। আমরা দেখেছি যিনি ঋণ খেলাপি, তিনিই কর খেলাপি আবার তিনিই অর্থ পাচারকারী ও দুর্নীতিবাজ। অতীতে দেশের বিচার ব্যবস্থা দুর্নীতিবাজদের প্রটেকশন দিয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে এসব কথা বলেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন,

এস আলম বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে সালিশি মামলার যে হুমকি দিয়েছে তা নৈতিকতা বিবর্জিত। নিরাপদ দূরত্বে থেকে এসব কথা না বলে দেশে ফিরে এসে বললে ভালো হয়। শাস্তি প্রদানের জন্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ব্যাংক ধসিয়ে দেওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। তার এই হুমকিতে ভয় পাবার কোনো কারণ নেই। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত অনেক দুর্বলতা ছিল। বিগত সময়ে আমরা দেখেছি ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন হোটেলে বসে সুদহার নির্ধারণ করে দিতো। সেই সুদহারই বাংলাদেশ ব্যাংক মেনে নিতো। কিছু কিছু আমলা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদরা মিলে আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল। আমাদের এই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে হবে। আশা করি, আর্থিক খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশিত

হলে অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের নাম বেরিয়ে আসবে। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে আর্থিক খাতের যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তা কল্পনারও বাইরে। এত অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতি আর কোথাও হয়েছে কি না- তা আমার জানা নেই। মিথ্যা উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে বিগত সরকারের সুবিধাভোগীরা। জিডিপির মিথ্যা পরিসংখ্যান দেখিয়ে জনগণের সঙ্গে ধোকাবাজি করেছে। টাকা ছাপিয়ে কৃত্রিমভাবে অর্থনৈতিক সংকট সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পতিত সরকার। তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি, ব্যবসা আর বিনিয়োগ একাকার হয়ে যাচ্ছে। যিনি ব্যবসায়ী, তিনিই বাণিজ্যমন্ত্রী, যিনি রাজনীতিবিদ তিনিই ব্যবসায়ী সমিতির নেতা। ফলে ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে

এসে নিজেদের স্বার্থে নীতিনির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করছে। জাতীয় সংসদ ও রাজনীতিতে ব্যবসায়ীদের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা রক্ষায় চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। পোশাক কারখানার যে মালিক সংসদ সদস্য, তিনিই যদি শ্রমিকদের অধিকারের আইন প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে সেখানে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বাধা তৈরি হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আরও দুই-এক বছর দেখতে চাই প্রতিহিংসার আগুনে পুড়েও রাজনীতির সিংহাসনে খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে ফ্যাসিবাদ হটাতে হয়: পিনাকী ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আসছে শৈত্যপ্রবাহ, কমে আসবে তাপমাত্রা এবার ডিভোর্সের গুঞ্জনে জল ঢেলে দিলেন ঐশ্বরিয়া! নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানসহ ৬১ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা পলাতক স্বৈরাচাররা ’চট’ করে ফেরে না কখনও! থাইল্যান্ড-ভিয়েতনামসহ ৫ দেশে যাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা ভক্তদের সুখবর দিলেন হিনা খান রাজনীতিতে আলোচনায় ‘মাইনাস টু-মাইনাস ফোর’ অতীতে বিচার ব্যবস্থা দুর্নীতিবাজদের প্রটেকশন দিয়েছে ক্যারিবিয়ানে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানার সমালোচনায় বাইডেন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা: গাজায় ন্যায়বিচারের আশার ঝলক চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ কলম্বিয়ায় গেরিলা হামলায় ৫ সেনা নিহত আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা: ইসরাইল-আমেরিকা দূরত্ব কি বাড়বে? চার বছর নাটকে অভিনয় না করার কারণ জানালেন মিথিলা কুয়েতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন বাড়ি ভাড়া নিতে ব্রোকার ফি লাগবে না