অতীতে বিচার ব্যবস্থা দুর্নীতিবাজদের প্রটেকশন দিয়েছে – ইউ এস বাংলা নিউজ




অতীতে বিচার ব্যবস্থা দুর্নীতিবাজদের প্রটেকশন দিয়েছে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭:৫১ 97 ভিউ
বিগত সরকারের আমলে গত ১৪ থেকে ১৫ বছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ঋণ খেলাপির নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। ছোট ছোট প্রকল্প থেকে মেগা প্রকল্পসহ সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতির ছায়া ছিল। আমরা দেখেছি যিনি ঋণ খেলাপি, তিনিই কর খেলাপি আবার তিনিই অর্থ পাচারকারী ও দুর্নীতিবাজ। অতীতে দেশের বিচার ব্যবস্থা দুর্নীতিবাজদের প্রটেকশন দিয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে এসব কথা বলেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন,

এস আলম বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে সালিশি মামলার যে হুমকি দিয়েছে তা নৈতিকতা বিবর্জিত। নিরাপদ দূরত্বে থেকে এসব কথা না বলে দেশে ফিরে এসে বললে ভালো হয়। শাস্তি প্রদানের জন্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ব্যাংক ধসিয়ে দেওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। তার এই হুমকিতে ভয় পাবার কোনো কারণ নেই। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত অনেক দুর্বলতা ছিল। বিগত সময়ে আমরা দেখেছি ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন হোটেলে বসে সুদহার নির্ধারণ করে দিতো। সেই সুদহারই বাংলাদেশ ব্যাংক মেনে নিতো। কিছু কিছু আমলা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদরা মিলে আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল। আমাদের এই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে হবে। আশা করি, আর্থিক খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশিত

হলে অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের নাম বেরিয়ে আসবে। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে আর্থিক খাতের যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তা কল্পনারও বাইরে। এত অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতি আর কোথাও হয়েছে কি না- তা আমার জানা নেই। মিথ্যা উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে বিগত সরকারের সুবিধাভোগীরা। জিডিপির মিথ্যা পরিসংখ্যান দেখিয়ে জনগণের সঙ্গে ধোকাবাজি করেছে। টাকা ছাপিয়ে কৃত্রিমভাবে অর্থনৈতিক সংকট সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পতিত সরকার। তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি, ব্যবসা আর বিনিয়োগ একাকার হয়ে যাচ্ছে। যিনি ব্যবসায়ী, তিনিই বাণিজ্যমন্ত্রী, যিনি রাজনীতিবিদ তিনিই ব্যবসায়ী সমিতির নেতা। ফলে ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে

এসে নিজেদের স্বার্থে নীতিনির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করছে। জাতীয় সংসদ ও রাজনীতিতে ব্যবসায়ীদের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা রক্ষায় চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। পোশাক কারখানার যে মালিক সংসদ সদস্য, তিনিই যদি শ্রমিকদের অধিকারের আইন প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে সেখানে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বাধা তৈরি হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সত্যের পক্ষে দুগ্ধপোষ্য শিশুর সাক্ষ্য দিনভর খেলা, ফুটবলপ্রেমীদের আবার রাত না জেগে উপায় নেই দেশে ফিরেছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর খবর গুজব, বিভ্রান্ত না হবার আহ্বান ছেলে জয়ের ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া মাচাদো শনিবার ভোরে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হঠাৎ টর্নেডোর আঘাত অক্টোবরে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়, হতে পারে বন্যাও ভারতের ৯ প্রতিষ্ঠান ও ৮ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা গাজায় প্রবেশ করেছে ১৫৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক: রেড ক্রিসেন্ট সাভারে কোটি টাকার বিষ্ণুমূর্তিসহ গ্রেপ্তার ১ ১০ মিনিটে মানসিক চাপ কমাতে পারে ৬ অভ্যাস বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বড় ছাঁটাই আসছে বাজারে সবজির সেঞ্চুরি: ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই রাজনৈতিক অস্থিরতায় রপ্তানিতে ধাক্কা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি: ভয়াবহ সংকটে অর্থনীতি পুলিশি বাধায় চারুকলার পর গেণ্ডারিয়াতেও পণ্ড ‘শরৎ উৎসব’: ১৯ বছরের ধারাবাহিকতায় ছেদ তালেবান মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কাবুলে দূতাবাস চালুর ঘোষণা ভারতের, ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা আওয়ামী লীগ কি সশস্ত্র সংগ্রাম করবে? কারাবন্দীদের উপর নির্যাতন: সংবিধান ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি বেবিচকের