হেল্প ডেস্কে যাকে দেওয়া হয় তিনিই জড়ান দালালিতে – ইউ এস বাংলা নিউজ




হেল্প ডেস্কে যাকে দেওয়া হয় তিনিই জড়ান দালালিতে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:২৯ 59 ভিউ
গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে হেল্প ডেস্কে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনিই দালালিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন। বুধবার রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিএ’র বিভাগীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক ও পরিবহণ খাতের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, বিআরটিএ’র সেবা সহজ করতে বারবার হেল্প ডেস্ক চালু করে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত যাদের ওই কাজে যুক্ত করা হয়েছে, তারা মূল কাজ বাদ দিয়ে দালালিতে যুক্ত হয়েছেন। এমনও ঘটনা ঘটেছে, একজন তার চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন বিআরটিএ’র মিরপুর অফিসে দালালি করছেন। তিনি বলেন, গ্রাহকদের ভোগান্তি ও দালালি থেকে বেরিয়ে আসতে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির নিবন্ধনসহ

অন্যান্য কার্যক্রমে সহযোগিতার কাজটি বৈধভাবে করতে আউটসোর্সিং করে দেওয়ার কথাও ভাবছে বিআরটিএ। কেননা এখানে যারা আসেন অনেকে নিজেরা অনলাইনে এসবের আবেদন ও সেবা গ্রহণের কার্যক্রম নিজেরা করতে পারেন না। অনেকে ব্যস্ততার কারণে করতে পারেন না। এজন্য দালালদের সহযোগিতাও নেন। দালালরা বহিরাগত। অনেক সময় তারা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আবার কেউ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। বিআরটিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসবের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও বদনাম পড়ছে বিআরটিএ’র ওপর। এজন্য বিষয়টি নিয়ে আমাদের খুব ভাবতে হচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ও প্রণয়নে গ্রাহক ভোগান্তি প্রসঙ্গে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন বলেন, প্রায় ৬ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ও ইস্যুর কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রিন্টজনিত জটিলতার

কারণে কাজ এগোচ্ছে না। এছাড়া অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করছে না পাসপোর্ট অফিস ও ট্রাফিক পুলিশ। একইভাবে ওই ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে যারা দেশের বাইরে গিয়েছেন, তারাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিআরটিএ’র অ্যাপসে সব ড্রাইভিং লাইসেন্সের নম্বর থাকার কথা থাকলেও কোনো কোনোটা পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ডাক বিভাগকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরণ করতে পাঠানো হলেও তারা সঠিক সময় পাঠাচ্ছে না। ফলে ভোগান্তির মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। অবৈধ ড্রাইভিং স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার কথাও জানানো হয়। সিএনজিচালিত অটোরিকশা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে। যেটার নতুন করে লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না। এজন্য

এই ব্যবসাটা গুটিকয়েক মানুষের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ৪ থেকে ৫ লাখ টাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশার বডি স্ট্রাকচার তৈরি করা সম্ভব হলেও নম্বরের দাম ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। এটার সংশোধন কীভাবে হতে পারে তা নিয়েও কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকার বাসের সম্পর্কে তিনি জানান, ঢাকার বাসের চেহারা দেখলে তা বাস বলে মনে হয় না। এটা কোনো গণপরিবহণ হতে পারে না। এখান থেকে কালো ধোঁয়া নির্গত হয়। এতে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। আগামী মে মাস থেকে সড়কে ফিটনেসবিহীন কোনো বাস-ট্রাক আর চলতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযান শুরু করা

হবে। অভিযানের প্ল্যান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। বাসচালক ও কন্ডাক্টরদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হবে। মতবিনিময় সভায় বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা পরিবহণ মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ঢাকার সড়কে কেউ নতুন বাস নামাতে চাইলে কেন নামানো সম্ভব হয় না। সে বিষয়গুলো মালিকদের ভেবে দেখতে হবে। পুরোনো বাস চলতে পারবে, কিন্তু নতুন বাস কেন চলতে পারবে না- এমন মানসিকতা পরিহার করতে হবে। ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আল লতিফ বলেন, ঢাকার বাসগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এর আগে আরও খারাপ ছিল। আপনারা আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ঢাকার পরিবহণ ব্যবস্থায় অনেক উন্নতি

দেখতে পাবেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুর রহিম বক্স দুদু বলেন, আমাদের দেশের ড্রাইভারদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেওয়া হয় না। আমাদের পাঠ্যপুস্তকে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত সতর্কতার বিষয় যুক্ত করতে হবে। বিদেশের সড়কে একটা বিড়ালও ঢুকতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে সেই অবস্থা নেই। তিনি বলেন, তারা চান এ দেশের সড়ক দুর্ঘটনা একদম কমে যাক। বিআরটিএ ইতোমধ্যেই অনেক সেবা আপগ্রেড করেছে। ভবিষ্যতেও আরও করবে বলে প্রত্যাশা করি। কন্টাক্টে গাড়ি না চালাতে বিআরটিএ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এটা করতে পারলে অনেকটা শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এছাড়া সড়কের বাম লেন ক্লিয়ার রাখতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। ঢাকা সড়ক পরিবহণ

মালিক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, তার ব্যক্তিগত ড্রাইভিং লাইসেন্স ১৯৮০ সালের। ৩ বছর আগে নবায়ন করতে দিয়েছেন, কিন্তু এখনো হাতে পাননি। ঘুস দেবেন না নিয়ত করে কাজ শুরু করেছেন। যার খেসারত তাকে গুনতে হচ্ছে। সড়ক ও পরিবহণে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিজেদের শুধরাতে হবে। একই সঙ্গে সড়ক বাস নিরাপদে চলাচল করার উপযোগী অবকাঠামো করারও পরামর্শ দেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা সকল দায় ঢাকার ওপর চাপাতে চায় জাতিসংঘ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের মোহাম্মদপুরের গ্যাং প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৪২ সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মামদানির জয়ে নিউইয়র্কের আবাসন খাতে আতঙ্ক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে বিভক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন একই অভিযোগে এনবিআরের আরও ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত শান্তির হ্যাটট্রিকে দুই ভেন্যুর ম্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয় জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর কেন ইমাম হুসাইনের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন হিন্দুরা? সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা গাড়ি থামিয়ে ঘুষের অভিযোগ, ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার