ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
চড়া মূল্যস্ফীতির চাপে নাকাল ভোক্তা
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বাড়ল
অর্থনৈতিক শুমারি শুরু ১০ ডিসেম্বর, প্রথমবারের মতো থাকছে বিদেশি কর্মীর তথ্যও
ব্যাংকে গ্রাহকের আমানতের টাকা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই -কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ট্রাম্পের জয়ের পর কমেছে স্বর্ণ ও তেলের দাম
ডিমের মূল্য স্বাভাবিক করতে নতুন ১১ উপকেন্দ্র স্থাপন
ই-কমার্স গ্রাহকদের ১৪ নভেম্বরের মধ্যে অভিযোগ দিতে হবে
হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার পেল এক্সিম ব্যাংক
সংকটে থাকা বেসরকারি এক্সিম ব্যাংককে ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটিকে সাড়ে ১০ শতাংশ সুদে ৯০ দিনের জন্য এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটির কাছে প্রচলিত পদ্ধতিতে ধার নেওয়ার মতো আর্থিক উপকরণ না থাকায় কেবল ডিমান্ড প্রমিসরি (ডিপি) নোটের বিপরীতে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে যেসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে তাদের আন্তঃব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এক্সিম ব্যাংক ছাড়াও এরই মধ্যে ১১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেবল এক্সিম ব্যাংককে কেন্দ্রীয়
ব্যাংক বিশেষ ধার দিল। আর অন্য ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে আন্তঃব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তুলনামূলক বেশি তারল্য সংকট এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল, এমন ব্যাংকগুলো। অবশ্য এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় ইসলামী ব্যাংকের নগদ প্রবাহ ইতিবাচক হওয়ায় বিশেষ ধারের প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী, বাংলাদেশ কমার্স এবং ন্যাশনাল ব্যাংকে সংকট এখনও রয়েছে। এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব ঋণাত্মক রেখে লেনদেনের সুযোগ দিয়েছিলেন সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এ সুবিধা বন্ধ হওয়ায় এসব ব্যাংক চাপে পড়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এক্সিম ব্যাংক আগে থেকেই তারল্য সংকটে ছিল। ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকে বিধিবদ্ধ তারল্য
সংরক্ষণে ব্যর্থ হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন ২০০১ সাল থেকে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসা নজরুল ইসলাম মজুমদার। গত ২৯ আগস্ট মজুমদারকে সরিয়ে ব্যাংকটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ১ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংক পরিচালিত হয় শরিয়াহ নীতিমালার আলোকে। সাধারণভাবে এ ধরনের ব্যাংক প্রচলিত সুদভিত্তিক পদ্ধতিতে টাকা নিতে পারে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদ্যমান নিয়মে সুদভিত্তিক ‘লেন্ডার অব দ্য লস্ট রিসোর্ট’ হিসেবে বিশেষ ধার দেওয়া যায়। এর বিপরীতে স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটিতে (এসএলএফ) প্রযোজ্য সাড়ে ১০ শতাংশ সুদহার কার্যকর
হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারের ১৬(৪)(ডি) ধারা এবং ১৭(১)(বি) ধারা অনুযায়ী ৯০ দিন মেয়াদে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং পরিভাষায় যা ওভারনাইট সুবিধা হিসেবে বিবেচিত। এ জন্য ব্যাংকটির কাছ থেকে সমমূল্যের ‘ডিমান্ড প্রমিসরি নোট’ নেওয়া হয়েছে। এ নোটের অর্থ হলো কোনো কারণে ব্যাংকটি দেউলিয়া হলে তার সম্পদ বিক্রি করে যে অর্থ আসবে, তা থেকে সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায় মেটানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি শর্তে এক্সিম ব্যাংককে এ অর্থ দিয়েছে। প্রথম শর্ত হলো ঋণ সুবিধার সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ৯০ দিন। দ্বিতীয়ত, এসএলএফ রেটে ঋণের সুদহার হবে সাড়ে ১০ শতাংশ। তৃতীয়ত, সুদসহ আসলের সমপরিমাণ ‘ডিমান্ড প্রমিসরি’ নোট দিতে হবে। শেষ শর্ত হলো রপ্তানি কার্যক্রম
অব্যাহত রাখার জন্য শ্রমিকের বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসেবে সরাসরি দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, বিশেষভাবে ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতিতে তেমন প্রভাব পড়বে না। কেননা অন্যদিক থেকে টাকার সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন করে সরকারকে ঋণ দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকারের ঋণ চাহিদার সবই পূরণ করা হচ্ছে বাজার থেকে। এ অবস্থায় গত জুলাই শেষে রিজার্ভ মানির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমেছে। আগের মাস জুন শেষে যা ছিল ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
ব্যাংক বিশেষ ধার দিল। আর অন্য ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে আন্তঃব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তুলনামূলক বেশি তারল্য সংকট এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল, এমন ব্যাংকগুলো। অবশ্য এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় ইসলামী ব্যাংকের নগদ প্রবাহ ইতিবাচক হওয়ায় বিশেষ ধারের প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী, বাংলাদেশ কমার্স এবং ন্যাশনাল ব্যাংকে সংকট এখনও রয়েছে। এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব ঋণাত্মক রেখে লেনদেনের সুযোগ দিয়েছিলেন সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এ সুবিধা বন্ধ হওয়ায় এসব ব্যাংক চাপে পড়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এক্সিম ব্যাংক আগে থেকেই তারল্য সংকটে ছিল। ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকে বিধিবদ্ধ তারল্য
সংরক্ষণে ব্যর্থ হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন ২০০১ সাল থেকে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসা নজরুল ইসলাম মজুমদার। গত ২৯ আগস্ট মজুমদারকে সরিয়ে ব্যাংকটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ১ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংক পরিচালিত হয় শরিয়াহ নীতিমালার আলোকে। সাধারণভাবে এ ধরনের ব্যাংক প্রচলিত সুদভিত্তিক পদ্ধতিতে টাকা নিতে পারে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদ্যমান নিয়মে সুদভিত্তিক ‘লেন্ডার অব দ্য লস্ট রিসোর্ট’ হিসেবে বিশেষ ধার দেওয়া যায়। এর বিপরীতে স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটিতে (এসএলএফ) প্রযোজ্য সাড়ে ১০ শতাংশ সুদহার কার্যকর
হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারের ১৬(৪)(ডি) ধারা এবং ১৭(১)(বি) ধারা অনুযায়ী ৯০ দিন মেয়াদে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং পরিভাষায় যা ওভারনাইট সুবিধা হিসেবে বিবেচিত। এ জন্য ব্যাংকটির কাছ থেকে সমমূল্যের ‘ডিমান্ড প্রমিসরি নোট’ নেওয়া হয়েছে। এ নোটের অর্থ হলো কোনো কারণে ব্যাংকটি দেউলিয়া হলে তার সম্পদ বিক্রি করে যে অর্থ আসবে, তা থেকে সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায় মেটানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি শর্তে এক্সিম ব্যাংককে এ অর্থ দিয়েছে। প্রথম শর্ত হলো ঋণ সুবিধার সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ৯০ দিন। দ্বিতীয়ত, এসএলএফ রেটে ঋণের সুদহার হবে সাড়ে ১০ শতাংশ। তৃতীয়ত, সুদসহ আসলের সমপরিমাণ ‘ডিমান্ড প্রমিসরি’ নোট দিতে হবে। শেষ শর্ত হলো রপ্তানি কার্যক্রম
অব্যাহত রাখার জন্য শ্রমিকের বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসেবে সরাসরি দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, বিশেষভাবে ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতিতে তেমন প্রভাব পড়বে না। কেননা অন্যদিক থেকে টাকার সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন করে সরকারকে ঋণ দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকারের ঋণ চাহিদার সবই পূরণ করা হচ্ছে বাজার থেকে। এ অবস্থায় গত জুলাই শেষে রিজার্ভ মানির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমেছে। আগের মাস জুন শেষে যা ছিল ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।