রমজানের সাধনা জারি থাকুক বারো মাস – U.S. Bangla News




রমজানের সাধনা জারি থাকুক বারো মাস

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২০ এপ্রিল, ২০২৩ | ৮:৩৫
রমজানের শেষভাগের প্রতিটি ক্ষণই স্মরণ করিয়ে দেয় বহুগুণ সওয়াব লাভের সুযোগ চলে যাচ্ছে। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অবারিত ধারায় সিক্ত হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ যারা হাতছাড়া করে, তাদের জন্য দুঃখ করা ছাড়া কী থাকতে পারে? এ প্রসঙ্গে একটি হাদিস উল্লেখযোগ্য। হজরত আম্মার ইবনে ইয়াসের (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন মহানবি (সা.) মিম্বরে ওঠার সময়ে প্রথম সিঁড়িতে পা রেখে বললেন ‘আমিন’, দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রেখে আবার বললেন ‘আমিন’, তৃতীয় সিঁড়িতেও পা রেখে বললেন ‘আমিন’। এভাবে তিনবার ‘আমিন’ বলার তাৎপর্য সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন সাহাবায়ে কেরাম। জবাবে নবি করিম (সা.) ইরশাদ করেন, আমি যখন মিম্বরের প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলাম, তখন জিবরাইল এসে আমাকে জানালেন, যে ব্যক্তি আপনার

নাম শুনেও দরুদ পাঠ করে না সে ধ্বংস হয়ে যাক। আমি বললাম, ‘আমিন’। তিনি আবার বললেন, যে ব্যক্তি মা-বাবা উভয়কে বা একজনকে বৃদ্ধ বয়সে পেয়েও তাদের খেদমতের বদৌলতে জান্নাতের উপযুক্ত হতে পারল না, সেও ধ্বংস হয়ে যাক। আমি বললাম, ‘আমিন’। তারপর জিবরাইল বললেন, যে ব্যক্তি রমজান পেল; কিন্তু রমজান বিদায় হয়ে গেল এ অবস্থায় যে, সে ক্ষমা লাভ করতে পারল না, তার প্রতিও আল্লাহর অভিশাপ। আমি বললাম, ‘আমিন’। এ হাদিস থেকে অনুমান করা যায়, রমজানের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে না পারা নিতান্ত হতভাগা হওয়ার আলামত। অন্যদিকে যারা অবারিত রহমতের মাসটিকে কাজে লাগাতে সক্ষম হন, তাদের নিয়ে গর্ব করেন স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।

মহানবি (সা.) ইরশাদ করেন, রমজানের শেষে মুমিন বান্দারা যখন তাকবির পাঠ করতে করতে ঈদগাহের উদ্দেশে রওয়ানা হন, আল্লাহতায়ালা তখন ফেরেশতাদের বলেন, যে বান্দা তার কর্তব্য সম্পন্ন করে, তার প্রতিদান কী হওয়া উচিত? ফেরেশতারা বলেন, তার প্রতিদান পূর্ণমাত্রায় দেওয়া উচিত। আল্লাহতায়ালা বলেন, আমার বান্দারা তাদের ওপর আরোপিত কর্তব্য পালন করে এখন আমার মহিমা ঘোষণা করতে করতে বের হয়েছে। আমি আমার মর্যাদা ও প্রতিপত্তির শপথ করে বলছি, তাদের দোয়া অবশ্যই কবুল করব। এরপর আল্লাহ ঘোষণা করেন, তোমরা ফিরে যাও। আমি তোমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমাদের পাপরাশিকে সওয়াবে পরিণত করলাম। (বায়হাকি)। মাহে রমজানে যেসব সদভ্যাস গড়ে উঠেছে, যেসব নেক কাজ পালন করা

হয়েছে, বিশেষভাবে নফল ইবাদতের প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, রমজানের পরও সেগুলো অব্যাহত রাখতে পারা বড়ই সৌভাগ্যের বিষয়। তাকওয়া, তাওয়াক্কুল ও খোদাপ্রেমের দীক্ষা রমজানের বহুল আলোচিত বিষয় হলেও এগুলোর সম্পর্ক শুধু এ মাসের সঙ্গে নয়, সারা জীবন এসব মহৎ গুণ চর্চা করা সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। দুনিয়াতে মানুষের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য আল্লাহর আদেশ ও অভিপ্রায়ের কাছে নিজেকে সমর্পণ করা। বস্তুত এরই নাম ইমান ও ইসলাম। মুমিনের প্রতিটি কাজ হতে হবে উদ্দেশ্য ও ফলাফল বিবেচনায় রেখে। পার্থিব স্বার্থ ও সুবিধার চেয়ে আখিরাতের কল্যাণকে প্রাধান্য দিতে হবে। রমজানের ৩০ বা ২৯ দিনের পর পানাহার ও কামাচার নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ রহিত হবে না। সব ক্ষেত্রেই তাকে আল্লাহর

নির্দেশ ও রাসুলুল্লাহর নির্দেশনা মেনে চলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এ প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাসের শেষভাগে মুমিন বান্দাদের একান্ত কর্তব্য।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার বিয়ে করছেন নাগা, রহস্যময় বার্তা সামান্থার সবুজ ও জলাশয় ৩১ শতাংশই দখল ভুলে ভুলে ঢাকার সর্বনাশ ঢাকাসহ যে ৫ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে হুমকি দিচ্ছে ইসরাইল ‘অভাগী’ মিথিলা ভারতের সেরা অভিনেত্রী দাবদাহে ঝরে পড়ছে আম-লিচু চট্টগ্রামে লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম তৃণমূলের বিভক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আ.লীগ সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ বন্ধের সিদ্ধান্ত সঠিক হবে না পানির দাম এক লাফে ৩০ শতাংশ বাড়ানোর উদ্যোগ বিচারকাজ শেষ হয়নি একটি জঙ্গি হামলারও অবৈধ রেলক্রসিং বন্ধে রেল ও এলজিইডির ঠেলাঠেলি বাড়তে পারে বৃষ্টি, কমবে তাপপ্রবাহ আবারো ‘বিয়ে’ করলেন হেমা মালিনী! রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া ঢাকাসহ ২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ আজ থেকে ট্রেনে গুনতে হবে বাড়তি ভাড়া সমাবেশের কাছে গুলি, যা জানালেন বদি বড় জয়ে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি