ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: জিএম কাদের
জরিপ: আওয়ামী লীগের প্রতি ৬১ শতাংশ জনগণের আস্থা
নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সোহেল তাজ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পূজা চেরি !
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে রাজনীতি করব না: পার্থ
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা শুরু
আমাদের একটা লাশ পড়লে ওপারের দুইটা লাশ ফেলতে হবে: নুর
৪ স্ত্রীর পাশাপাশি ১০০ বাঁদি রাখা নিয়ে তোপের মুখে মুফতি কাসেমী
বাংলাদেশে সম্প্রতি একটি বিতর্কিত মন্তব্য উঠে এসেছে মুফতি মামুনুর রশীদ কাসেমী, পরিচালক, মারকাযুশ শরীয়াহ আলইসলামিয়া বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে। তিনি সেখানে প্রকাশ করেছেন, "আমার ৪ স্ত্রী কমপ্লিট হয়েছে, নিয়ত আছে আল্লাহ তায়ালা যেদিন বাঁদির ব্যবস্থা করবেন ১০০ বাঁদি রাখবো এবং সকলের থেকে বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করবো, আমার স্ত্রীরাও এতে রাজি আছে," এই মন্তব্যের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। এমন মন্তব্যের ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিশ্লেষণ এবং সমাজে এর প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচ্য বিষয়।
ইসলামী শরিয়া এবং একাধিক বিয়ে
ইসলামে একজন পুরুষের জন্য একাধিক বিয়ে করার অনুমতি রয়েছে, তবে তা নির্দিষ্ট শর্তে। শরিয়ার আলোকে, একজন মুসলিম পুরুষের জন্য চারটি স্ত্রী পর্যন্ত বিয়ে করা
বৈধ, তবে তার জন্য একটি বিশেষ শর্ত থাকে—স্ত্রীদের প্রতি ন্যায় ও সাম্যের আচরণ। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে: "তোমরা যদি ভয় পাও যে, তোমরা এত সংখ্যক স্ত্রীর মধ্যে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না, তবে একটিই রেখো বা তোমাদের অধিকারী বান্দির মধ্যে যাকে তোমরা সঠিক মনে করো তাকে বিবাহ করো।" (সূরা আন-নিসা, ৪:৩) এছাড়া, ইসলামে বাঁদি বা দাসী সম্পর্কে শর্তে কিছু বৈধতা রয়েছে, তবে তা ঐতিহাসিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে ঘটে থাকে, যা বর্তমানে আধুনিক মুসলিম সমাজের জন্য অত্যন্ত বিতর্কিত। ইসলামে বাঁদি বা দাসী নিয়ন্ত্রণের অধিকার ছিল পুরুষের, তবে সেটা শুধুমাত্র যুদ্ধবন্দী নারী কিংবা এরকম পরিস্থিতিতে ছিল। এই ধরনের ধারণা বর্তমান সমাজে গ্রহণযোগ্য নয় এবং মানবাধিকার
লঙ্ঘন হিসেবে ধরা হয়। মুফতি কাসেমীর মন্তব্য: ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ মুফতি কাসেমীর মন্তব্যের মূল সুর হচ্ছে, একাধিক বিয়ে ও শরয়ী বাঁদির ব্যাপারে ইসলামের বিধান সম্পর্কে তিনি গভীরভাবে জোর দিয়েছেন। তার মতে, যে কোনো মুসলিমের জন্য ইসলামের অনুমোদিত বিষয়ের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও সম্মান থাকা উচিত। তিনি বলেন, "হালালকে হালাল মানা ফরজ, আর হালালকে কটাক্ষ করা বা সে ব্যাপারে বিদ্রুপ করা কুফরি।" এখানে তিনি ইসলামের বিভিন্ন বিধানকে যথাযথ এবং অটুট বলে ঘোষণা করেছেন, এবং এই কথার মাধ্যমে তিনি সামাজিক ও ধর্মীয় একটি সংকট তৈরি করেছেন। ইসলামিক শরিয়াতে স্ত্রীর পাশাপাশি বাঁদি বা দাসী গ্রহণ করা বৈধ হলেও, বর্তমানে এটি অধিকাংশ মুসলিম সমাজের মধ্যে বিরোধিত। বাংলাদেশের
বর্তমান সমাজে এই ধরনের একটি মন্তব্য অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সমাজে নারীর অধিকার, মর্যাদা ও স্বাধীনতার বিষয়টি এখন সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির আওতাভুক্ত। এমন অবস্থায়, মুফতি কাসেমীর মন্তব্য নারীবাদী আন্দোলন, মানবাধিকার কর্মী, এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সামাজিক ও ধর্মীয় প্রভাব এই ধরনের মন্তব্য সামাজিকভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশের সমাজে যেহেতু নারীর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে এমন মন্তব্যের ফলে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সামাজিক নৈতিকতার মধ্যে একটি টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে ধর্মীয় নেতাদের এমন মন্তব্য সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে তারা ইসলামিক শাস্ত্রের ভুল ব্যাখ্যা পেতে
পারে। এছাড়া, মুফতি কাসেমীর মন্তব্যের ফলে একটি জাতীয় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে নারীর মর্যাদা এবং সামাজিক আইনগুলির প্রতি মানুষের অবহেলা প্রকাশ পেয়েছে। ইসলামের আদি ব্যাখ্যা এবং আধুনিক দৃষ্টিকোণগুলির মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখার চেষ্টা করা উচিত, যেন মানুষের জীবনযাত্রা এবং ইসলামিক বিশ্বাসের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা সাধারণত এমন বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন, যাতে ইসলামিক শাস্ত্রের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করা যায় এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি জনগণের আস্থা বজায় থাকে। একজন ইসলামী প্রচারকের দায়িত্ব হলো সঠিক জ্ঞান ও শিক্ষার প্রচার করা, এবং অযথা বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য থেকে বিরত থাকা। সমাজে একতা ও শান্তি বজায় রাখতে হলে, ইসলামিক
বিশ্বাসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান থাকতে হবে। মুফতি মামুনুর রশীদ কাসেমীর মন্তব্যের ফলে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা দেশের মুসলিম সমাজে ইসলামের বিধান ও শরিয়া আইন নিয়ে একটি গুরুতর আলোচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। ইসলামিক শরিয়া আইন এবং ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির মধ্যে সমন্বয় খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সমাজে শান্তি এবং সমঝোতা বজায় থাকে। তবে, এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে যে সামাজিক ও ধর্মীয় প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে, তা অত্যন্ত গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বৈধ, তবে তার জন্য একটি বিশেষ শর্ত থাকে—স্ত্রীদের প্রতি ন্যায় ও সাম্যের আচরণ। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে: "তোমরা যদি ভয় পাও যে, তোমরা এত সংখ্যক স্ত্রীর মধ্যে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না, তবে একটিই রেখো বা তোমাদের অধিকারী বান্দির মধ্যে যাকে তোমরা সঠিক মনে করো তাকে বিবাহ করো।" (সূরা আন-নিসা, ৪:৩) এছাড়া, ইসলামে বাঁদি বা দাসী সম্পর্কে শর্তে কিছু বৈধতা রয়েছে, তবে তা ঐতিহাসিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে ঘটে থাকে, যা বর্তমানে আধুনিক মুসলিম সমাজের জন্য অত্যন্ত বিতর্কিত। ইসলামে বাঁদি বা দাসী নিয়ন্ত্রণের অধিকার ছিল পুরুষের, তবে সেটা শুধুমাত্র যুদ্ধবন্দী নারী কিংবা এরকম পরিস্থিতিতে ছিল। এই ধরনের ধারণা বর্তমান সমাজে গ্রহণযোগ্য নয় এবং মানবাধিকার
লঙ্ঘন হিসেবে ধরা হয়। মুফতি কাসেমীর মন্তব্য: ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ মুফতি কাসেমীর মন্তব্যের মূল সুর হচ্ছে, একাধিক বিয়ে ও শরয়ী বাঁদির ব্যাপারে ইসলামের বিধান সম্পর্কে তিনি গভীরভাবে জোর দিয়েছেন। তার মতে, যে কোনো মুসলিমের জন্য ইসলামের অনুমোদিত বিষয়ের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও সম্মান থাকা উচিত। তিনি বলেন, "হালালকে হালাল মানা ফরজ, আর হালালকে কটাক্ষ করা বা সে ব্যাপারে বিদ্রুপ করা কুফরি।" এখানে তিনি ইসলামের বিভিন্ন বিধানকে যথাযথ এবং অটুট বলে ঘোষণা করেছেন, এবং এই কথার মাধ্যমে তিনি সামাজিক ও ধর্মীয় একটি সংকট তৈরি করেছেন। ইসলামিক শরিয়াতে স্ত্রীর পাশাপাশি বাঁদি বা দাসী গ্রহণ করা বৈধ হলেও, বর্তমানে এটি অধিকাংশ মুসলিম সমাজের মধ্যে বিরোধিত। বাংলাদেশের
বর্তমান সমাজে এই ধরনের একটি মন্তব্য অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সমাজে নারীর অধিকার, মর্যাদা ও স্বাধীনতার বিষয়টি এখন সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির আওতাভুক্ত। এমন অবস্থায়, মুফতি কাসেমীর মন্তব্য নারীবাদী আন্দোলন, মানবাধিকার কর্মী, এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সামাজিক ও ধর্মীয় প্রভাব এই ধরনের মন্তব্য সামাজিকভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশের সমাজে যেহেতু নারীর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে এমন মন্তব্যের ফলে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সামাজিক নৈতিকতার মধ্যে একটি টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে ধর্মীয় নেতাদের এমন মন্তব্য সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে তারা ইসলামিক শাস্ত্রের ভুল ব্যাখ্যা পেতে
পারে। এছাড়া, মুফতি কাসেমীর মন্তব্যের ফলে একটি জাতীয় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে নারীর মর্যাদা এবং সামাজিক আইনগুলির প্রতি মানুষের অবহেলা প্রকাশ পেয়েছে। ইসলামের আদি ব্যাখ্যা এবং আধুনিক দৃষ্টিকোণগুলির মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখার চেষ্টা করা উচিত, যেন মানুষের জীবনযাত্রা এবং ইসলামিক বিশ্বাসের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা সাধারণত এমন বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন, যাতে ইসলামিক শাস্ত্রের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করা যায় এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি জনগণের আস্থা বজায় থাকে। একজন ইসলামী প্রচারকের দায়িত্ব হলো সঠিক জ্ঞান ও শিক্ষার প্রচার করা, এবং অযথা বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য থেকে বিরত থাকা। সমাজে একতা ও শান্তি বজায় রাখতে হলে, ইসলামিক
বিশ্বাসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান থাকতে হবে। মুফতি মামুনুর রশীদ কাসেমীর মন্তব্যের ফলে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা দেশের মুসলিম সমাজে ইসলামের বিধান ও শরিয়া আইন নিয়ে একটি গুরুতর আলোচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। ইসলামিক শরিয়া আইন এবং ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির মধ্যে সমন্বয় খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সমাজে শান্তি এবং সমঝোতা বজায় থাকে। তবে, এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে যে সামাজিক ও ধর্মীয় প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে, তা অত্যন্ত গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।